ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসহায় মানুষের সহযোগিতা করেন মাজেদুল ইসলাম মিন্টু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৯৫ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর  প্রতিনিধিঃ সাধারণ মানুষেকে সহযোগিতা ও সরকারি অনুদানের সুষ্ঠু বন্টন করতেই আসন্ন উপজেলা  নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা বলে জানিয়েছেন মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী)। তিনি কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামের ঢালী পাড়ার বাসিন্দা।

জানা যায়,মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী)। বয়স ৪৬ বছর,পিতা,মৃত, তোফাজ্জেল হোসেন ঢালী। তিনি তোফাজ্জেল হোসেন ঢালীর এক মাত্র পুত্র।পারিবারিক জীবনে মাজেদুল ইসলাম ২ কণ্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক।
তাঁর লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয় বলুহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মহেশপুরের খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে মাধ্যমিকের গন্ডি পার করেন তিনি। আর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন হাজি মোহম্মদ মহাসিন কলেজ থেকে এবং এলএলবি করেছেন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর  মাজেদুল ইসলাম ভর্তি হয়েছিলেন সার্ভে কোম্পানির প্রশিক্ষনে। প্রশিক্ষন শেষে যোগদান করেছিলেন জিওডেটিক সার্ভে কোম্পানিতে।

পরে পদন্নতি লাভ করে তিনি জিওডেটিক সার্ভে কোম্পানির চট্টগ্রাম বিভাগের (বিভাগীয় প্রধানের) দ্বায়িত্ব পালন করেন ১২ বছর। করোনা বাদসাদে তাঁর চাকুরীতে। চলে আসেন কোটচাঁদপুরে।

এরপর তিনি বলুহর বাসস্ট্যান্ডের সাফদারপুর সড়কে গড়ে তোলেন ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন, এর ১ম তলা ও ২য় তলা নিজের ব্যাবসায়িক অফিস। ওই অফিসেই কঠোর পরিশ্রম আর অভিজ্ঞা কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজের সার্ভে কোম্পানি।

এ অফিস থেকে পরিচালিত হয় দেশের ৪৯৫ টি উপজেলায় সার্ভের কার্যক্রম। এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৩০ জন দক্ষ কর্মী। ৫০ টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে পারিশ্রমিক পান তিনি, তা থেকে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করেন। বেতন-ভাতা দেন তাঁর অধিনস্থদের। বাকি টাকা ব্যয় করেন মানুষের সহযোগিতায়। এ ছাড়া ইতোমধ্যে তিনি নিজের নামে গড়ে তুলেছেন ৮ টি সু-নামধন্য প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে,এবিসি ভ্যালুয়েশন কোম্পানি লিঃ,মিন্টু একতা স্পোটিং ক্লাব,মিন্টু এগ্রো ফার্ম, তোফাজ্জেল হোসেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা,বলুহর ঢালী পাড়া জামে মসজিদ, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স সার্ভেয়ার এসোসিয়েশন, মায়ান ফ্যাশান হাউজ, ঢালী পাড়া ঈদগাহ ময়দান। এরমধ্যের প্রায় প্রতিষ্ঠানে সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী) বলেন, ২০২০ সালে করোনার পর নিজ এলাকা কোটচাঁদপুর চলে আসি। এখান থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
তিনি বলেন,বেকার যুবকদের নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকুরির ব্যবস্থা করেছি। অসহায় মানুষের সহযোগিতা করে আসছি। এ সব  কারনে প্রায় দিনই আমার বাসার সামনে অনেক মানুষ আসেন একটু সহযোগিতার জন্য। সেই থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে ও সরকারের অনুদানের সুষ্ঠু বন্টনের জন্য আসন্ন উপজেলা  নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহন করা।

মিন্টু বলেন, আমার ২৪ বছরের পরিশ্রমের ফল দেখে এলাকার কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কিছু গুজব ছড়াচ্ছে।  যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। আমি শতভাগ নিশ্চিত তাদের কাছে কোন প্রমাণ নাই।

ইতোমধ্যে মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী) কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌরসভা সহ ৫ টি ইউনিয়নে সর্বত্র ব্যানার ফেস্টুনে অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়েছেন।  আর গণসংযোগ ও পথসভায় সবার থেকে নিজেকে এগিয়ে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন মিন্টু ঢালী। এ নির্বাচন অবাদ,নিরপেক্ষ ও সুষ্ট হলে জয়ের ব্যাপারেও  আশাবাদী এই তরুন সমাজ সেবক ও উদ্যেক্তা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অসহায় মানুষের সহযোগিতা করেন মাজেদুল ইসলাম মিন্টু

আপডেট সময় ০৪:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

কোটচাঁদপুর  প্রতিনিধিঃ সাধারণ মানুষেকে সহযোগিতা ও সরকারি অনুদানের সুষ্ঠু বন্টন করতেই আসন্ন উপজেলা  নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা বলে জানিয়েছেন মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী)। তিনি কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামের ঢালী পাড়ার বাসিন্দা।

জানা যায়,মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী)। বয়স ৪৬ বছর,পিতা,মৃত, তোফাজ্জেল হোসেন ঢালী। তিনি তোফাজ্জেল হোসেন ঢালীর এক মাত্র পুত্র।পারিবারিক জীবনে মাজেদুল ইসলাম ২ কণ্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক।
তাঁর লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয় বলুহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মহেশপুরের খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে মাধ্যমিকের গন্ডি পার করেন তিনি। আর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন হাজি মোহম্মদ মহাসিন কলেজ থেকে এবং এলএলবি করেছেন সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর  মাজেদুল ইসলাম ভর্তি হয়েছিলেন সার্ভে কোম্পানির প্রশিক্ষনে। প্রশিক্ষন শেষে যোগদান করেছিলেন জিওডেটিক সার্ভে কোম্পানিতে।

পরে পদন্নতি লাভ করে তিনি জিওডেটিক সার্ভে কোম্পানির চট্টগ্রাম বিভাগের (বিভাগীয় প্রধানের) দ্বায়িত্ব পালন করেন ১২ বছর। করোনা বাদসাদে তাঁর চাকুরীতে। চলে আসেন কোটচাঁদপুরে।

এরপর তিনি বলুহর বাসস্ট্যান্ডের সাফদারপুর সড়কে গড়ে তোলেন ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন, এর ১ম তলা ও ২য় তলা নিজের ব্যাবসায়িক অফিস। ওই অফিসেই কঠোর পরিশ্রম আর অভিজ্ঞা কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজের সার্ভে কোম্পানি।

এ অফিস থেকে পরিচালিত হয় দেশের ৪৯৫ টি উপজেলায় সার্ভের কার্যক্রম। এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৩০ জন দক্ষ কর্মী। ৫০ টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যে পারিশ্রমিক পান তিনি, তা থেকে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করেন। বেতন-ভাতা দেন তাঁর অধিনস্থদের। বাকি টাকা ব্যয় করেন মানুষের সহযোগিতায়। এ ছাড়া ইতোমধ্যে তিনি নিজের নামে গড়ে তুলেছেন ৮ টি সু-নামধন্য প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে,এবিসি ভ্যালুয়েশন কোম্পানি লিঃ,মিন্টু একতা স্পোটিং ক্লাব,মিন্টু এগ্রো ফার্ম, তোফাজ্জেল হোসেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা,বলুহর ঢালী পাড়া জামে মসজিদ, বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স সার্ভেয়ার এসোসিয়েশন, মায়ান ফ্যাশান হাউজ, ঢালী পাড়া ঈদগাহ ময়দান। এরমধ্যের প্রায় প্রতিষ্ঠানে সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী) বলেন, ২০২০ সালে করোনার পর নিজ এলাকা কোটচাঁদপুর চলে আসি। এখান থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
তিনি বলেন,বেকার যুবকদের নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকুরির ব্যবস্থা করেছি। অসহায় মানুষের সহযোগিতা করে আসছি। এ সব  কারনে প্রায় দিনই আমার বাসার সামনে অনেক মানুষ আসেন একটু সহযোগিতার জন্য। সেই থেকে অনুপ্রেরনা নিয়ে ও সরকারের অনুদানের সুষ্ঠু বন্টনের জন্য আসন্ন উপজেলা  নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহন করা।

মিন্টু বলেন, আমার ২৪ বছরের পরিশ্রমের ফল দেখে এলাকার কিছু মানুষ ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কিছু গুজব ছড়াচ্ছে।  যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। আমি শতভাগ নিশ্চিত তাদের কাছে কোন প্রমাণ নাই।

ইতোমধ্যে মাজেদুল ইসলাম (মিন্টু ঢালী) কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌরসভা সহ ৫ টি ইউনিয়নে সর্বত্র ব্যানার ফেস্টুনে অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়েছেন।  আর গণসংযোগ ও পথসভায় সবার থেকে নিজেকে এগিয়ে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন মিন্টু ঢালী। এ নির্বাচন অবাদ,নিরপেক্ষ ও সুষ্ট হলে জয়ের ব্যাপারেও  আশাবাদী এই তরুন সমাজ সেবক ও উদ্যেক্তা।