ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে ‘অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ’ বিষয়ক কর্মশালা কুলাউড়ায় শিশুসহ ১৪ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ হযরত মুহাম্মদ (সঃ)’কে ধর্ষক বলে কটুক্তি করায় মৌলভীবাজারে বিকাশ আটক হযরত মুহাম্মদ (সঃ)’কে ধর্ষক বলে কটুক্তি করায় মৌলভীবাজারে বিকাশ আটক কবি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি থানায় জিডি সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পেলেন যুবদল সভাপতি জাকির জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে অনূর্ধ্ব-১৫ বালকদের সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন মৌলভীবাজারের জেলা সুপারকে রাঙামাটি বদলি প্রবাসী বিএনপি নেতাদের নিয়ে মুজিবুর রহমান এর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ সমাবেশ মৌলভীবাজারে পৃথক পৃথক নিষিদ্ধ ঘোষিত দুই যুবলীগ কর্মী গ্রেফতার

আওয়ামী লীগ নেতার হাত থেকে দখল মুক্ত হল বনের জায়গা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনের প্রায় ৪একর জায়গা দখল করে রেখেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জেনার আহমেদ। অবশেষেেরোববার দিনব্যাপী বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার দখলে থাকা ৪ একর জায়গা উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী  ব্যাবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ জন শ্রমিক নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ এর পশ্চিম পাশে লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান, রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

তবে দখলদার জেনার আহমেদকে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।

মো. জেনার আহমেদ এর কাছ থেকে এই জমি বন্ধক নিয়েছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান শাহ আলম। তিনি জানান, আমি জেনারের কাছ থেকে ৫ বছরের লিজ নিয়ে এখানে লেবুর চাষ করেছি। অগ্রিম ২ বছরের ১লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা লেবু বিক্রি ও বিভিন্ন সময় দেওয়া হবে এটা লিজের এগ্রিমেন্ট বলা আছে। তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ লেবু চাষ করেই তা বিক্রি করে আমার সংসার চলে। এখন এত টাকা ধরা খাব কখনো ভাবিনি।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান জানান, ‘আমরা প্রায় ৪ একর বনের জায়গা উদ্ধার করেছি। তবে উদ্ধারের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। কেউ দাবী করতেও আসেনি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‌ আমরা জায়গাটি উদ্ধার করেছি। এখানে ৪ একর মতো জায়গা বেদখল হয়ে ছিল। সেখানে পুরা জায়গায় লেবু গাছ লাগানো ছিল। আমরা সেই জায়গা গুলোতে বন্যপ্রাণীর উপযোগী গাছের চারা লাগিয়েছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ নেতার হাত থেকে দখল মুক্ত হল বনের জায়গা

আপডেট সময় ০৯:৫০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনের প্রায় ৪একর জায়গা দখল করে রেখেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জেনার আহমেদ। অবশেষেেরোববার দিনব্যাপী বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার দখলে থাকা ৪ একর জায়গা উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী  ব্যাবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ জন শ্রমিক নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ এর পশ্চিম পাশে লাউয়াছড়ার জায়গা উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান, রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

তবে দখলদার জেনার আহমেদকে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও পাওয়া যায়নি।

মো. জেনার আহমেদ এর কাছ থেকে এই জমি বন্ধক নিয়েছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান শাহ আলম। তিনি জানান, আমি জেনারের কাছ থেকে ৫ বছরের লিজ নিয়ে এখানে লেবুর চাষ করেছি। অগ্রিম ২ বছরের ১লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা লেবু বিক্রি ও বিভিন্ন সময় দেওয়া হবে এটা লিজের এগ্রিমেন্ট বলা আছে। তিনি বলেন, আমি গরীব মানুষ লেবু চাষ করেই তা বিক্রি করে আমার সংসার চলে। এখন এত টাকা ধরা খাব কখনো ভাবিনি।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান জানান, ‘আমরা প্রায় ৪ একর বনের জায়গা উদ্ধার করেছি। তবে উদ্ধারের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। কেউ দাবী করতেও আসেনি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‌ আমরা জায়গাটি উদ্ধার করেছি। এখানে ৪ একর মতো জায়গা বেদখল হয়ে ছিল। সেখানে পুরা জায়গায় লেবু গাছ লাগানো ছিল। আমরা সেই জায়গা গুলোতে বন্যপ্রাণীর উপযোগী গাছের চারা লাগিয়েছি।