ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কাঠগড়ায় মন্ত্রী মান্নান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৯৪ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য দু’জন মন্ত্রী এবং দু’জন এমপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় আরেকজন প্রভাবশালী এমপি রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই মন্ত্রী হচ্ছেন- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। দুই এমপি হচ্ছেন নরসিংদী-১ আসনের লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক এবং নরসিংদী-৫ আসনের রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু।

গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের উপস্থাপিত সাংগঠনিক রিপোর্টে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, দু’জন মন্ত্রীর পাশাপাশি দু’জন দলীয় এমপির প্রশ্নবিদ্ধ নিষ্ফ্ক্রিয়তার কারণে সুনামগঞ্জ ও নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন বলে নেতারা অভিযোগ করেছেন। নেতারা এই বিষয়ে সাংগঠনিক দিকনির্দেশনাও চেয়েছেন।

ওই বৈঠকে বলা হয়েছে, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য দায়ী। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষে ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। এই আসনের জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৮০ ভোট পেয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছেন ১৪৪ ভোট। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৬৪। এই জেলার অন্য ১০টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল খুব কাছাকাছি। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাত্র ৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের বাড়ি জগন্নাথপুরে। তিনি নির্বাচনে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বাবা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। তিনি গত নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমনের বিরুদ্ধে জয় পান। এবার ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমনের বড় ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন ছিলেন দলীয় প্রার্থী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগের কাঠগড়ায় মন্ত্রী মান্নান

আপডেট সময় ০৯:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

সুনামগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য দু’জন মন্ত্রী এবং দু’জন এমপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের তালিকায় আরেকজন প্রভাবশালী এমপি রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই মন্ত্রী হচ্ছেন- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। দুই এমপি হচ্ছেন নরসিংদী-১ আসনের লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক এবং নরসিংদী-৫ আসনের রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু।

গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের উপস্থাপিত সাংগঠনিক রিপোর্টে এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, দু’জন মন্ত্রীর পাশাপাশি দু’জন দলীয় এমপির প্রশ্নবিদ্ধ নিষ্ফ্ক্রিয়তার কারণে সুনামগঞ্জ ও নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন বলে নেতারা অভিযোগ করেছেন। নেতারা এই বিষয়ে সাংগঠনিক দিকনির্দেশনাও চেয়েছেন।

ওই বৈঠকে বলা হয়েছে, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য দায়ী। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুটের পক্ষে ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। এই আসনের জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৮০ ভোট পেয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছেন ১৪৪ ভোট। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৬৪। এই জেলার অন্য ১০টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল খুব কাছাকাছি। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাত্র ৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের বাড়ি জগন্নাথপুরে। তিনি নির্বাচনে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বাবা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। তিনি গত নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমনের বিরুদ্ধে জয় পান। এবার ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমনের বড় ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন ছিলেন দলীয় প্রার্থী।