ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ঈদের ছুটিতে মৌলভীবাজার ঘুরে গেলেন সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ঘাতকের আত্মসমর্পণ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বর্ধিত সভা মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল ও সম্মেলন মৌলভীবাজার – হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বাস চলাচল বন্ধ আগাম নির্বাচনী হাওয়া প্রার্থীতার দৌঁড়ে জটিল সমীকরণ বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক ও সাবধান থাকতে বললেন সাবেক এমপি নাসের রহমান জুড়ীতে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে সাঁতার শিখাতে পানিতে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃ ত্যু প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে – ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৪ জুনের বক্তব্য ধামা চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা

আগাম নির্বাচনী হাওয়া প্রার্থীতার দৌঁড়ে জটিল সমীকরণ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / ৪৪০ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। হয়নি নির্বাচনী আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ। প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিল মাসে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের ডেডলাইন ঘোষণা করতে না করতেই দেশের অন্যতম আলোচিত নির্বাচনী আসন কুলাউড়া (মৌলভীবাজার -২)’য় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এমনকি সাধারণ ভোটারেরাও আগামী জাতীয় নির্বাচনের আলাপ আলোচনায় মশগুল । এখানে আগামী নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন? কোন দল থেকে কে মনোনয়ন পাবেন এ নিয়ে শহর থেকে গ্রামের চায়ের টেবিল  পর্যন্ত সরব আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সভাসমাবেশ এমনকি সালিশ বিচার চলাকালেও হঠাৎ  ভোটের আলোচনা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া আসন গঠিত। এখানের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। দেশের সকল দলের অংশগ্রহণ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মহাজোট( জাতীয় পার্টি)  প্রার্থী নবাব আলী আব্বাস খান এবং ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট( গণফোরাম) র প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এছাড়া ২০১৪ সালের একদলীয় নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মতিন(স্বতন্ত্র)  এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয়  সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পুর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে ছেড়ে আলাদা কমিটি গঠন করেন।তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেন। তখন মহাজোট এমপি নবাব আলী আব্বাস খান কাজী জাফর আহমেদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনিও অংশ গ্রহণ করেননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি( কাজী জাফর) ১২ দলীয় জোটের মাধ্যমে বিএনপির সাথে বিভিন্ন  সরকার বিরোধী আন্দোলনে শরীক হয়ে আসছে।
২০০১ সাল থেকে মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া আসনটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শরীক দলের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। বিএনপি ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীকে এবং ২০১৪ সালে গণ ফোরামকে ছেড়ে দেয়।অনুরুপভাবে আওয়ামী লীগ ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি( এরশাদ) এবং  ২০১৮ সালে বিকল্পধারাকে ছেড়ে দেয়। ফলে আগামী নির্বাচনে ওই আসনে বিএনপির জোট থেকে নবাব আলী আবাস খানের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ :
ছাত্রজনতার তীব্র গণ অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ততকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে  ভারতে আশ্রয় নেন। পালিয়ে যান দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী এমপি মন্ত্রীও। যারা দেশে আত্মগোপনে ছিলেন তাদের বেশীরভাগ এখন কারাগারে। ইতিমধ্যে জনদাবির মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী  সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এমতাবস্থায় আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি:

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন কে পাবেন এই সমীকরণ অনেক জটিল। জাতীয় পার্টি কাজী জাফর গ্রুপ এখনো বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সাথে যোগপত কর্মসূচি পালন করে আসছে। পার্টির  প্রেসিডিয়াম সদস্য  সাবেক ৩ বারের এমপি নবাব আলী আব্বাস খান এই আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে বিএনপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে আসনটি তাদের ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। আর তা হলে এই আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হওয়ার বেশী সম্ভাবনা নবাব আলী আব্বাস খানের।
এছাড়া  ২০০৮ সালের ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট আবেদ রাজা অন্যতম প্রার্থী। তবে তার পথের কাটা বহির্বিশ্ব বিএনপির সভাপতি এবং কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ড. সাইফুল আলম চৌধুরী এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু। শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান আলীও কিছু প্রচারপত্র বিলি করেছেন।

বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী:

জামায়েত ইসলামি ইতিমধ্যে জেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এবং জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান সাম্প্রতিক  ঘনঘন কুলাউড়া সফর করে বিভিন্ন সভাসমাবেশ এমনকি গণসংযোগ করায় তাকেও সম্ভাব্য প্রার্থী ধরে নির্বাচনী আলোচনা চলছে।

এছাড়া আঞ্জুমানে আল ইসলাহ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী ফজলুল হক খান শাহেদ একজন সম্ভাব্য প্রার্থী বলে জানা গেছে।
এছাড়া ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি ( এনসিপি)  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম,খেলাফত মজলিস ও  বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ ও কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল কুলাউড়া আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আগাম নির্বাচনী হাওয়া প্রার্থীতার দৌঁড়ে জটিল সমীকরণ

আপডেট সময় ১২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। হয়নি নির্বাচনী আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ। প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিল মাসে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের ডেডলাইন ঘোষণা করতে না করতেই দেশের অন্যতম আলোচিত নির্বাচনী আসন কুলাউড়া (মৌলভীবাজার -২)’য় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এমনকি সাধারণ ভোটারেরাও আগামী জাতীয় নির্বাচনের আলাপ আলোচনায় মশগুল । এখানে আগামী নির্বাচনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন? কোন দল থেকে কে মনোনয়ন পাবেন এ নিয়ে শহর থেকে গ্রামের চায়ের টেবিল  পর্যন্ত সরব আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সভাসমাবেশ এমনকি সালিশ বিচার চলাকালেও হঠাৎ  ভোটের আলোচনা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া আসন গঠিত। এখানের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। দেশের সকল দলের অংশগ্রহণ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মহাজোট( জাতীয় পার্টি)  প্রার্থী নবাব আলী আব্বাস খান এবং ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট( গণফোরাম) র প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এছাড়া ২০১৪ সালের একদলীয় নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মতিন(স্বতন্ত্র)  এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয়  সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পুর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে ছেড়ে আলাদা কমিটি গঠন করেন।তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেন। তখন মহাজোট এমপি নবাব আলী আব্বাস খান কাজী জাফর আহমেদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনিও অংশ গ্রহণ করেননি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টি( কাজী জাফর) ১২ দলীয় জোটের মাধ্যমে বিএনপির সাথে বিভিন্ন  সরকার বিরোধী আন্দোলনে শরীক হয়ে আসছে।
২০০১ সাল থেকে মৌলভীবাজার -২ কুলাউড়া আসনটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শরীক দলের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। বিএনপি ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীকে এবং ২০১৪ সালে গণ ফোরামকে ছেড়ে দেয়।অনুরুপভাবে আওয়ামী লীগ ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি( এরশাদ) এবং  ২০১৮ সালে বিকল্পধারাকে ছেড়ে দেয়। ফলে আগামী নির্বাচনে ওই আসনে বিএনপির জোট থেকে নবাব আলী আবাস খানের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ :
ছাত্রজনতার তীব্র গণ অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ততকালীন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে  ভারতে আশ্রয় নেন। পালিয়ে যান দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী এমপি মন্ত্রীও। যারা দেশে আত্মগোপনে ছিলেন তাদের বেশীরভাগ এখন কারাগারে। ইতিমধ্যে জনদাবির মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী  সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এমতাবস্থায় আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি:

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন কে পাবেন এই সমীকরণ অনেক জটিল। জাতীয় পার্টি কাজী জাফর গ্রুপ এখনো বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির সাথে যোগপত কর্মসূচি পালন করে আসছে। পার্টির  প্রেসিডিয়াম সদস্য  সাবেক ৩ বারের এমপি নবাব আলী আব্বাস খান এই আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে বিএনপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে আসনটি তাদের ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। আর তা হলে এই আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হওয়ার বেশী সম্ভাবনা নবাব আলী আব্বাস খানের।
এছাড়া  ২০০৮ সালের ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট আবেদ রাজা অন্যতম প্রার্থী। তবে তার পথের কাটা বহির্বিশ্ব বিএনপির সভাপতি এবং কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ড. সাইফুল আলম চৌধুরী এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু। শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান আলীও কিছু প্রচারপত্র বিলি করেছেন।

বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী:

জামায়েত ইসলামি ইতিমধ্যে জেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এবং জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান সাম্প্রতিক  ঘনঘন কুলাউড়া সফর করে বিভিন্ন সভাসমাবেশ এমনকি গণসংযোগ করায় তাকেও সম্ভাব্য প্রার্থী ধরে নির্বাচনী আলোচনা চলছে।

এছাড়া আঞ্জুমানে আল ইসলাহ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী ফজলুল হক খান শাহেদ একজন সম্ভাব্য প্রার্থী বলে জানা গেছে।
এছাড়া ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি ( এনসিপি)  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম,খেলাফত মজলিস ও  বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিপিবি, বাংলাদেশ জাসদ ও কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল কুলাউড়া আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।