ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
পানি বন্দি মানুয়ের মাঝে চাউল বিতরণ জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ছি ন তা ই য়ে র নাটক ছি ন তা ই কৃ ত টাকাসহ গ্রে ফ তা র -২  কমলগঞ্জে ডা/কা/তি/র রহস্য উদঘাটন, ডা/কা/ত দলের ৩ সদস্য গ্রে/ফ/তা/র কোটচাঁদপুরে, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

আগুনে পুড়ে যাওয়া মৌলভীবাজারের ফাইজাকে বাঁচানো গেল না

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২
  • / ১৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের গরীব কৃষক আজিজুর রহামানের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশু ফাইজা আক্তার পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চারমাস পর অবশেষে মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার ২ জুন সকালে ঢাকার বিশেষায়িত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ।

জানাযায়, বর্তমানে ঢাকায় ময়না তদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে শিশুটির মরদেহ নিয়ে আসা হবে গ্রামের বাড়িতে। কীভাবে আগুনে পুড়ল শিশুটি জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মহসিন জানান,টুপাটুপি খাওয়ার জন্য শিশু ফাইজাসহ কয়েক শিশু জড়ো হয়েছিলো মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে, সেখানে খড়ে আগুন লাগাতে গিয়ে আগুন লেগে যায় এই শিশুর গায়ে থাকা জামায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়ির উঠানে খেলতে যায় একই গ্রামের পাশের বাড়ির কৃষক আজিজুর রহমান এর মেয়ে শিশু ফাইজা (৬)। সেখানে সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে একপর্যায়ে নিজের গায়ে থাকা জামায় আগুন লেগে মুহূর্তেই আগুন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাড়ির লোকজন আগুন নিভাতে এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে শিশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। সেখান থেকে পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসা চলে শিশুটির। দীর্ঘদিন পুড়া শরীরের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় গরীব কৃষক আজিজুর রহমানের পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।

নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মাহমুদ মিয়া বলেন,জানতে পেরেছি শিশুটির শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুটিকে বাঁচাতে অনেকে এগিয়ে আসলেও শেষ মুহূর্তে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আগুনে পুড়ে যাওয়া মৌলভীবাজারের ফাইজাকে বাঁচানো গেল না

আপডেট সময় ০৪:২৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের গরীব কৃষক আজিজুর রহামানের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশু ফাইজা আক্তার পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চারমাস পর অবশেষে মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার ২ জুন সকালে ঢাকার বিশেষায়িত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ।

জানাযায়, বর্তমানে ঢাকায় ময়না তদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে শিশুটির মরদেহ নিয়ে আসা হবে গ্রামের বাড়িতে। কীভাবে আগুনে পুড়ল শিশুটি জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মহসিন জানান,টুপাটুপি খাওয়ার জন্য শিশু ফাইজাসহ কয়েক শিশু জড়ো হয়েছিলো মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে, সেখানে খড়ে আগুন লাগাতে গিয়ে আগুন লেগে যায় এই শিশুর গায়ে থাকা জামায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়ির উঠানে খেলতে যায় একই গ্রামের পাশের বাড়ির কৃষক আজিজুর রহমান এর মেয়ে শিশু ফাইজা (৬)। সেখানে সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে একপর্যায়ে নিজের গায়ে থাকা জামায় আগুন লেগে মুহূর্তেই আগুন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাড়ির লোকজন আগুন নিভাতে এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে শিশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। সেখান থেকে পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসা চলে শিশুটির। দীর্ঘদিন পুড়া শরীরের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় গরীব কৃষক আজিজুর রহমানের পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।

নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মাহমুদ মিয়া বলেন,জানতে পেরেছি শিশুটির শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুটিকে বাঁচাতে অনেকে এগিয়ে আসলেও শেষ মুহূর্তে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি।