ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের দোয়া মাহফিল রমজান মাসে অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা ২৮ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সেতু বন্ধ থাকবে পৌর বিএনপি ৭নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান ও পাবলিক লাইব্রেরি দখলমুক্ত করে সংস্কারের দাবি পৌর বিএনপি ২নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত খেলাধুলা সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখবে’ মহসিন মিয়া মধু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান

আগুনে পুড়ে যাওয়া মৌলভীবাজারের ফাইজাকে বাঁচানো গেল না

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২
  • / ১৩৩১ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের গরীব কৃষক আজিজুর রহামানের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশু ফাইজা আক্তার পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চারমাস পর অবশেষে মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার ২ জুন সকালে ঢাকার বিশেষায়িত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ।

জানাযায়, বর্তমানে ঢাকায় ময়না তদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে শিশুটির মরদেহ নিয়ে আসা হবে গ্রামের বাড়িতে। কীভাবে আগুনে পুড়ল শিশুটি জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মহসিন জানান,টুপাটুপি খাওয়ার জন্য শিশু ফাইজাসহ কয়েক শিশু জড়ো হয়েছিলো মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে, সেখানে খড়ে আগুন লাগাতে গিয়ে আগুন লেগে যায় এই শিশুর গায়ে থাকা জামায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়ির উঠানে খেলতে যায় একই গ্রামের পাশের বাড়ির কৃষক আজিজুর রহমান এর মেয়ে শিশু ফাইজা (৬)। সেখানে সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে একপর্যায়ে নিজের গায়ে থাকা জামায় আগুন লেগে মুহূর্তেই আগুন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাড়ির লোকজন আগুন নিভাতে এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে শিশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। সেখান থেকে পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসা চলে শিশুটির। দীর্ঘদিন পুড়া শরীরের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় গরীব কৃষক আজিজুর রহমানের পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।

নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মাহমুদ মিয়া বলেন,জানতে পেরেছি শিশুটির শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুটিকে বাঁচাতে অনেকে এগিয়ে আসলেও শেষ মুহূর্তে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আগুনে পুড়ে যাওয়া মৌলভীবাজারের ফাইজাকে বাঁচানো গেল না

আপডেট সময় ০৪:২৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের গরীব কৃষক আজিজুর রহামানের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশু ফাইজা আক্তার পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চারমাস পর অবশেষে মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার ২ জুন সকালে ঢাকার বিশেষায়িত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ।

জানাযায়, বর্তমানে ঢাকায় ময়না তদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে শিশুটির মরদেহ নিয়ে আসা হবে গ্রামের বাড়িতে। কীভাবে আগুনে পুড়ল শিশুটি জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মহসিন জানান,টুপাটুপি খাওয়ার জন্য শিশু ফাইজাসহ কয়েক শিশু জড়ো হয়েছিলো মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে, সেখানে খড়ে আগুন লাগাতে গিয়ে আগুন লেগে যায় এই শিশুর গায়ে থাকা জামায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী জিয়াউর রহমানের বাড়ির উঠানে খেলতে যায় একই গ্রামের পাশের বাড়ির কৃষক আজিজুর রহমান এর মেয়ে শিশু ফাইজা (৬)। সেখানে সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে একপর্যায়ে নিজের গায়ে থাকা জামায় আগুন লেগে মুহূর্তেই আগুন পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বাড়ির লোকজন আগুন নিভাতে এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে শিশুটির শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। সেখান থেকে পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসা চলে শিশুটির। দীর্ঘদিন পুড়া শরীরের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় গরীব কৃষক আজিজুর রহমানের পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।

নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মাহমুদ মিয়া বলেন,জানতে পেরেছি শিশুটির শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুটিকে বাঁচাতে অনেকে এগিয়ে আসলেও শেষ মুহূর্তে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি।