ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস, গণকবরে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা মৌলভীবাজারে অবৈধ ভারতীয় পন্যসহ আটক – ৩ ইমজার সভাপতি ও মাছরাঙা প্রতিনিধি তমাল ফেরদৌস দুলাল এর স্মরণে শোকসভা প্রতিবন্ধী নারীর ম র দে হ উদ্ধার দুর্গাপুরে আলেম সমাজকে নিয়ে জামায়াতের উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি গ্রে ফ তা র উপজেলা পর্যায়ে ওয়ান-স্টপ সলিউশন সেন্টার স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে সম্মেলন আল্ট্রা-পুওর গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে সুকিরাম নি হ ত কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধন ও পুনর্বাসন হয় – ডি আই জি প্রিজন্স আলতাব হোসেন

আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস, গণকবরে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক বিজয় আর উল্লাসের দিন। এই দিনে পাক হানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। একাত্তরের এই দিনে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা বাতাসে উড়তে থাকে। পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু মুক্ত এলাকা হিসেবে মৌলভীবাজারকে ঘোষণা করেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানিয় শহীদ মিনার ও শাহ মোস্তফা সড়কের গণকবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রসাসক হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) তানভীর হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন,জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।


আলোচনা সভায়,মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় আক্রমণের পর আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকা মুক্ত করে মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার ছিল।

জানা যায়, জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে জব্বার (কুলাউড়ার সাবেক এমপি) ও মুহিবের নেতৃত্বে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুঁতে রাখায় রাস্ত থেকে এগুলো অপসারণ ও নিষ্ক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস, গণকবরে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভা

আপডেট সময় ১২:৪২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ আজ ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের ঐতিহাসিক বিজয় আর উল্লাসের দিন। এই দিনে পাক হানাদারদের পরাজিত করে মৌলভীবাজারকে মুক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। একাত্তরের এই দিনে মৌলভীবাজার শহর তথা জেলার সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা বাতাসে উড়তে থাকে। পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু মুক্ত এলাকা হিসেবে মৌলভীবাজারকে ঘোষণা করেন।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানিয় শহীদ মিনার ও শাহ মোস্তফা সড়কের গণকবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রসাসক হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) তানভীর হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন,জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।


আলোচনা সভায়,মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবিন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

৪ ডিসেম্বর জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। ৫ ডিসেম্বর জেলার সর্বত্র শুরু হয় আক্রমণের পর আক্রমণ। জেলার চারদিক দিকে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক এলাকা শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দুই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও মুন্সীবাজার এলাকা মুক্ত করে মৌলভীবাজার শহর অভিমুখে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী শহর ঘেরাও করে। এখানে মহকুমা হেড কোয়ার্টার থাকার কারণে পাকবাহিনীর ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার ছিল।

জানা যায়, জেড ফোর্সের ১৭টি ইউনিটের মধ্যে জব্বার (কুলাউড়ার সাবেক এমপি) ও মুহিবের নেতৃত্বে ২টি ইউনিট কুলাউড়ার দিকে গেলেও বাকি ১৫ টি ইউনিট নিয়ে তারা মৌলভীবাজার শহরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করেন। তুমুল যুদ্ধ আর অনেক হতাহতের পর ৭ ডিসেম্বরই মৌলভীবাজার পুরো মহকুমা এলাকা থেকে পাকবাহিনীকে হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী প্রচুর মাইনসহ অস্ত্র পুঁতে রাখায় রাস্ত থেকে এগুলো অপসারণ ও নিষ্ক্রিয় করার পর ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়।