ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রকিব চৌধুরীর স্মরণে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রে প্তা র মৌলভীবাজারে ‘স্কলার্স’ ফাউন্ডেশনের জেলাব্যাপী মেধা যাচাই পরীক্ষা’২৫ অনুষ্ঠিত ভূমি দস্যু কলেজ শিক্ষকের প্রতারণার স্বীকার নারীর সংবাদ সম্মেলন লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত বিদায় আর রাষ্ট্রীয় সম্মানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হাদি জুলাই যুদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শেখানো মন্ত্রে উজ্জীবিত হবে..অন্তর্বর্তী সরকারের শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জন্য দোয়া মাহফিল মৌলভীবাজার বারকে ফেয়ার প্লেয়ার্স এওয়ার্ডে ভূষিত দেশকে অস্থিতিশীল করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে… বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির

আজ সংগীতশিল্পী জয়দ্বীপ রায় রাজুর জন্মদিন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;  আজ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীতশিল্পী, মৌলভীবাজারের কণ্ঠশিল্পী জয়দ্বীপ রায় রাজুর জন্মদিন।

দীর্ঘদিন ধরে সংগীতচর্চা, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মানবিক মূল্যবোধে অবিচল থেকে রাজু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এক নিবেদিত শিল্পী হিসেবে।

গানকে তিনি শুধু পেশা নয়—প্রাণের যাত্রা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

জয়দ্বীপ রায় রাজুর জীবনের প্রতিটি প্রভাত জেগে ওঠে সুরের নরম আলোকরেখায়, প্রতিটি সন্ধ্যা মিলিয়ে যায় গানের আবেশে।

সংগীত তাঁর কাছে ধর্ম নয়, বরং এক যাপিত উপাসনা—যে উপাসনায় শব্দ নয়, হৃদয়ই সুর তোলে, আর সেই সুরে ভেসে যায় মানুষ, সময় ও জীবন।
জয়দ্বীপ রায় রাজু সেই মানুষ, যিনি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের পথকে কোমলতার পরশে রাঙিয়ে তুলেছেন।
বাধা, অবজ্ঞা, অনাদর—সব পেরিয়ে তিনি গানে খুঁজে নিয়েছেন মুক্তি; নিজের আর সমাজের।
তাঁর সংগীত একদিকে প্রতিবাদের সুর, অন্যদিকে ভালোবাসার অনন্ত মন্ত্র।

রবীন্দ্রসংগীত, লালনগীতি কিংবা লোকগানের প্রাণোচ্ছ্বাস—সব ধারাতেই তাঁর কণ্ঠ যেন নতুন প্রাণ সঞ্চার করে।

সংগীতের কঠিন সময়ে যখন শিল্পের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসে,
তখনও জয়দ্বীপ রায় রাজু অবিচল থাকেন তাঁর বিশ্বাসে—

“যে সুর মানুষকে জাগায়, সে-ই সত্যের সুর।”

তাঁর সংগীত তাই নিঃশব্দ অথচ দীপ্ত লড়াই, যেখানে সুরই প্রতিবাদ, সুরই মুক্তি।

তাঁর জীবন সরল, অথচ গভীর। না আছে গৌরবের মোহ, না আছে আলো ঝলমলে প্রেক্ষাগৃহের লালসা।
তবু তাঁর অমলিন হাসি, বিনম্র চলন আর সত্যিকার ভালোবাসা তাঁকে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি যেন সেই শিল্পী, যিনি গান হয়ে বেঁচে থাকেন,
যার সুরে মিশে আছে মানুষের মুখ, মাটির গন্ধ, আর জীবনের স্নেহময়তা।

এই দিনে শুভানুধ্যায়ীরা জানাচ্ছেন তাঁকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।

তাঁদের কণ্ঠে একটাই কামনা, তাদের রাজুদার গানের স্রোত যেন এভাবেই বয়ে চলে, যেন প্রতিটি সুরে জন্ম নেয় নতুন জীবন, নতুন আশা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ সংগীতশিল্পী জয়দ্বীপ রায় রাজুর জন্মদিন

আপডেট সময় ১০:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক;  আজ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীতশিল্পী, মৌলভীবাজারের কণ্ঠশিল্পী জয়দ্বীপ রায় রাজুর জন্মদিন।

দীর্ঘদিন ধরে সংগীতচর্চা, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মানবিক মূল্যবোধে অবিচল থেকে রাজু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এক নিবেদিত শিল্পী হিসেবে।

গানকে তিনি শুধু পেশা নয়—প্রাণের যাত্রা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

জয়দ্বীপ রায় রাজুর জীবনের প্রতিটি প্রভাত জেগে ওঠে সুরের নরম আলোকরেখায়, প্রতিটি সন্ধ্যা মিলিয়ে যায় গানের আবেশে।

সংগীত তাঁর কাছে ধর্ম নয়, বরং এক যাপিত উপাসনা—যে উপাসনায় শব্দ নয়, হৃদয়ই সুর তোলে, আর সেই সুরে ভেসে যায় মানুষ, সময় ও জীবন।
জয়দ্বীপ রায় রাজু সেই মানুষ, যিনি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের পথকে কোমলতার পরশে রাঙিয়ে তুলেছেন।
বাধা, অবজ্ঞা, অনাদর—সব পেরিয়ে তিনি গানে খুঁজে নিয়েছেন মুক্তি; নিজের আর সমাজের।
তাঁর সংগীত একদিকে প্রতিবাদের সুর, অন্যদিকে ভালোবাসার অনন্ত মন্ত্র।

রবীন্দ্রসংগীত, লালনগীতি কিংবা লোকগানের প্রাণোচ্ছ্বাস—সব ধারাতেই তাঁর কণ্ঠ যেন নতুন প্রাণ সঞ্চার করে।

সংগীতের কঠিন সময়ে যখন শিল্পের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসে,
তখনও জয়দ্বীপ রায় রাজু অবিচল থাকেন তাঁর বিশ্বাসে—

“যে সুর মানুষকে জাগায়, সে-ই সত্যের সুর।”

তাঁর সংগীত তাই নিঃশব্দ অথচ দীপ্ত লড়াই, যেখানে সুরই প্রতিবাদ, সুরই মুক্তি।

তাঁর জীবন সরল, অথচ গভীর। না আছে গৌরবের মোহ, না আছে আলো ঝলমলে প্রেক্ষাগৃহের লালসা।
তবু তাঁর অমলিন হাসি, বিনম্র চলন আর সত্যিকার ভালোবাসা তাঁকে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি যেন সেই শিল্পী, যিনি গান হয়ে বেঁচে থাকেন,
যার সুরে মিশে আছে মানুষের মুখ, মাটির গন্ধ, আর জীবনের স্নেহময়তা।

এই দিনে শুভানুধ্যায়ীরা জানাচ্ছেন তাঁকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।

তাঁদের কণ্ঠে একটাই কামনা, তাদের রাজুদার গানের স্রোত যেন এভাবেই বয়ে চলে, যেন প্রতিটি সুরে জন্ম নেয় নতুন জীবন, নতুন আশা।