আলহারামাইন পারফিউমের মালিক মাহতাবুর রহমানের মেয়ে সামিয়ার জমকালো বিয়ে
- আপডেট সময় ০৮:৫২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৮২১ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: দুবাইয়ের সবকিছুতেই জৌলুশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই শহরে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ যায় মজা করতে। সেখানকারই অন্যতম বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেলে হয়ে গেল মহাজাঁকজমকের এক বিয়ে। বিয়ের কনে ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুবাইয়ের ধনকুবের বাংলাদেশের এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বিশ্বখ্যাত সুগন্ধি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলহারামাইন পারফিউমের মালিক মাহতাবুর রহমান নাসিরের মেয়ে সামিয়া রহমান। আর বর বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামালের ছেলে তানভীর আহমেদ।
মাহতাবুর রহমান নাসিরের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে।জানা গেছে, তিন দিন ধরে এই বিয়ের আয়োজনে অতিথি ছিলেন অন্তত ৭০টি দেশের ৯ হাজার মানুষ। আমিরি-বাদশাহি আয়োজনের এই বিয়ের খবর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে।
৮ জানুয়ারি এই বিয়ের আয়োজন হয় দুবাই শহরের পাঁচ তারকা আটলান্টিস দ্য পাম হোটেলে। যে হোটেলে এক রাত থাকতে ৪৫০ ডলার থেকে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হয়! আর সীমিত আইটেমে ডিনার করলেও ন্যূনতম ১২৫ ডলার থেকে আড়াই শ ডলার পর্যন্ত গুনতে হয়। আর আইটেম যদি ৩০-৩৫টি হয়, তাহলে এর দাম কেমন হবে, তা স্বাভাবিক ভাবনার বাইরেবিয়ের সঙ্গে জড়িত মাহতাবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, বিয়েতে শিল্পপতি মোস্তফা কামালের পক্ষে বাংলাদেশ থেকে দুবাই উড়ে গেছেন প্রায় ১০০ বরযাত্রীর বহর। মেয়ের বাবা ধনকুবের মাহতাবুর রহমানের আমন্ত্রণে তিন দিনের বিয়ের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৭০টি দেশ থেকে প্রায় ৯ হাজার অতিথি হাজির হন।এর মধ্যে গায়েহলুদে ২ হাজার, বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫ হাজার আর গানের অনুষ্ঠানে ২ হাজার অতিথি অংশ নেন বলে জানা যায়। বাংলাদেশ থেকেই মাহতাবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা, তারকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৫০০ বিশিষ্ট অতিথি বিয়েতে যোগ দেন।
এদের মধ্যে ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদ, রাজনীতিবিদ আন্দালিব রহমান পার্থসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, উদ্যোক্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিসের সবচেয়ে বিলাসবহুল সিল্ক বলরুমে বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি হয়।
গায়েহলুদ হয় আরেক বিলাসবহুল রিসোর্ট জাবেল আলিতে। বিয়ের দিনের অতিথিদের অন্তত ৩০ পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। আর গায়েহলুদে দেওয়া হয় ৩৫ রকমের খাবার।
বিশ্বের প্রায় সব মহাদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথিরা এলেও এতে বাংলাদেশ, ভারত ও আরব দেশের অতিথিদের প্রাধান্য ছিল।
এ প্রসঙ্গে মাহতাবুর রহমান নাসির সংবাদমাধ্যমকে বলেন,‘আমার মেয়ের বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি হয় ৮ জানুয়ারি দুবাইতে। এটি আমিই আয়োজন করেছি। দুবাইয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা দেশে ফিরে এসেছি। ছেলের পক্ষ থেকে বৌভাত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে।’