ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা লাখাইয়ে দিনব্যাপী কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কোটচাঁদপুরে দুইটি ডিপ টিউবওয়েলের সেকশন পাইপ কেটে দিয়েছেন দূর্বৃত্তরা মৌলভীবাজারে চোরাই গাড়ি উদ্ধার, গ্রেফতার -১ পৌরসভার উদ্যোগে জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত পানি বিতরণ মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে র‌্যালী আলোচনা সভা মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে ৭জন প্রার্থী বৈধ,বাতিল-১ কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সভাপতি শকু সাধারণ সম্পাদক শামীম কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ফের মৌলভীবাজার কারাগারে আ.লীগ নেতা চেয়ারম্যান পদে বৈধতা পেলেন তাজুল ইসলাম তাজ

ইউপি নির্বাচনের জের : জুড়ীতে ভূয়া অভিযোগের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • / ৬১২ বার পড়া হয়েছে

সিরাজুল ইসলাম : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫নং জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজাকে কলুশিত করতে একটি কুচক্রী মহল নানা রকম ফন্দি ফিকিরে লিপ্ত রয়েছে। কুচক্রী মহলটি প্রশাষনিক দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে সংবাদ পত্র ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সুনাম ক্ষুন্নের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ নিয়ে ওই চেয়ারম্যানের সমর্তক ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। জুড়ী উপজেলায় জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাছুম রেজা একজন সৎ ও ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে সু-পরিচিত।

বর্তমানে জুড়ীবাসীর একজন যোগ্য অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেয়া প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের মতো একটি গ্ররুত্বপূর্ণ অভিযোগের অভিযোগকারীকেই খুজেঁ পাননি উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত কারী কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত কর্মকর্তারা সরজমিনে উপস্থিত স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষ্য গ্রহন, প্রকল্পের খরচের বাস্তবতা ইত্যাদি খুজে পেয়েছেন বলে যৌথ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা বিশ্লেশন করে দেখা গেছে শুধু সংবাদ পত্রে রিপোর্ট প্রকাশ করাই ছিলো চক্রান্তকারী মহলের উদ্দেশ্য।

জানা গেছে হাবিবুর রহমান নামে পিতৃপরিচয় গোপন করে জনৈক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করেন, ২০২২ইং সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বেলাগাঁও রাবার ড্যামের পলি অপসারণ ও সংস্কারের নামে জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে প্রজেক্ট চেয়ারম্যান করে কমিটি দাখিল করেছেন। এতে আরও উল্লেখ করা হয় বিগত দুই বছর থেকে রাবার ড্যামে কোনো পলি অপসারণ ও সংস্কার কাজ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. মনসুর আলী, উপজেলা সমবায় অফিসার আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি গত ৪ এপ্রিল রাবার ড্যাম এলাকা পরিদর্শন করে অভিযোগকারীর পূর্ন ঠিকানা স্পষ্ট না থাকায় অভিযোগকারীকে খুজে পাননি। অভিযোগকারীর অনুপস্থিতেই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। তদন্ত কমিটি উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করে জানতে পারেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও রাবার ড্যামের পলি অপসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাবার ড্যাম চালু করা হয়।

জায়ফরনগর ইউনিয়নের প্যানেল ও রাবার ড্যাম প্রকল্প চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাবিবুর রহমান নামে পিতৃপরিচয় গোপন করে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তার অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিতরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন অভিযোগেরই ভিত্তি নাই। তিনি আরও বলেন, নাম ঠিকানাসহ অনেক অভিযোগের আইনত কোনো ব্যবস্হা উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করেন না।আর ঠিকানাবিহীন চক্রান্ত মূলক একখানা ভূয়া অভিযোগের তদন্তের রহস্য বুঝতে পারলাম না। তবে জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ মাছুম রেজার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমাকে জড়িয়ে এমন অভিযোগ করেছেন বলে আমি মনে করি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউপি নির্বাচনের জের : জুড়ীতে ভূয়া অভিযোগের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত

আপডেট সময় ০১:৫৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

সিরাজুল ইসলাম : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫নং জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাছুম রেজাকে কলুশিত করতে একটি কুচক্রী মহল নানা রকম ফন্দি ফিকিরে লিপ্ত রয়েছে। কুচক্রী মহলটি প্রশাষনিক দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে সংবাদ পত্র ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সুনাম ক্ষুন্নের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ নিয়ে ওই চেয়ারম্যানের সমর্তক ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। জুড়ী উপজেলায় জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাছুম রেজা একজন সৎ ও ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে সু-পরিচিত।

বর্তমানে জুড়ীবাসীর একজন যোগ্য অভিভাবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেয়া প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের মতো একটি গ্ররুত্বপূর্ণ অভিযোগের অভিযোগকারীকেই খুজেঁ পাননি উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত কারী কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত কর্মকর্তারা সরজমিনে উপস্থিত স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষ্য গ্রহন, প্রকল্পের খরচের বাস্তবতা ইত্যাদি খুজে পেয়েছেন বলে যৌথ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা বিশ্লেশন করে দেখা গেছে শুধু সংবাদ পত্রে রিপোর্ট প্রকাশ করাই ছিলো চক্রান্তকারী মহলের উদ্দেশ্য।

জানা গেছে হাবিবুর রহমান নামে পিতৃপরিচয় গোপন করে জনৈক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করেন, ২০২২ইং সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বেলাগাঁও রাবার ড্যামের পলি অপসারণ ও সংস্কারের নামে জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে প্রজেক্ট চেয়ারম্যান করে কমিটি দাখিল করেছেন। এতে আরও উল্লেখ করা হয় বিগত দুই বছর থেকে রাবার ড্যামে কোনো পলি অপসারণ ও সংস্কার কাজ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. মনসুর আলী, উপজেলা সমবায় অফিসার আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি গত ৪ এপ্রিল রাবার ড্যাম এলাকা পরিদর্শন করে অভিযোগকারীর পূর্ন ঠিকানা স্পষ্ট না থাকায় অভিযোগকারীকে খুজে পাননি। অভিযোগকারীর অনুপস্থিতেই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। তদন্ত কমিটি উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ-আলোচনা করে জানতে পারেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও রাবার ড্যামের পলি অপসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে রাবার ড্যাম চালু করা হয়।

জায়ফরনগর ইউনিয়নের প্যানেল ও রাবার ড্যাম প্রকল্প চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাবিবুর রহমান নামে পিতৃপরিচয় গোপন করে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তার অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিতরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন অভিযোগেরই ভিত্তি নাই। তিনি আরও বলেন, নাম ঠিকানাসহ অনেক অভিযোগের আইনত কোনো ব্যবস্হা উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করেন না।আর ঠিকানাবিহীন চক্রান্ত মূলক একখানা ভূয়া অভিযোগের তদন্তের রহস্য বুঝতে পারলাম না। তবে জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ মাছুম রেজার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমাকে জড়িয়ে এমন অভিযোগ করেছেন বলে আমি মনে করি।