ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপাধ্যক্ষ পদের পরীক্ষার্থী হলেন কম্পিউটারের এক্সপার্ট

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ নিয়োগ পরীক্ষায় উপাধ্যক্ষ পদের পরীক্ষার্থী ছিলেন মোঃ আল মারুফ। ওই পরিক্ষার কোরাম পূরন না হওয়ায় হয়ে গেলেন কম্পিউটার এক্সপার্ট।প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার এক্সপার্ট নুরুন্নাহার ভাল কাজ না পারায়,তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দাবী প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের । শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর হাজী আলতাফ হোসেন হরিণদীয়া আলিম মাদ্রাসায়।

জানা যায়, শনিবার ছিল কোটচাঁদপুর হাজী আলতাফ হোসেন হরিণদীয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭ পদে  নিয়োগ পরিক্ষা।
যার মধ্যে একটি পদ ছিল উপাধ্যক্ষ। ওই পদে নিয়োগ পাবার জন্য আবেদন করেছিল ৬ জন পরীক্ষর্থী। এরমধ্যে পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হন দুই জন। এদের একজন মোঃ আল মারুফ। তিনি সাবদারপুর দারুল উলুম আলীম মাদ্রাসার  উপাধ্যক্ষ। অন্যজন মোঃ নুরুনবী। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়াশুলা মাদ্রাসার  উপাধ্যক্ষ। নুরুনবী বলেন, কোটচাঁদপুরের রাজাপুর গ্রামে আমার বাড়ি। ঝিনাইদহে যাতায়াতের অনেক সমস্যা হচ্ছিল। এ কারনে এ মাদ্রাসায় দরখাস্ত করে ছিলাম। পরীক্ষার কোরাম পূরনে ঠিক করেছিলাম মোঃ আল মারুফ ও গুড়পাড়ার দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইব্রাহিমকে।

তিনি বলেন,এখান থেকে কেউ তাকে আসতে নিশেধ করেছেন। এ কারনে পরীক্ষার কোরাম পূরন না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করেছেন কতৃপক্ষ। মারুফ আপনার পক্সি দিতে এসে প্রার্থী হয়েছেন,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমিও শুনতে পাচ্ছি। তবে আমি তাকে জিজ্ঞেস করিনি।

বিষয়টি নিয়ে মোঃ আল মারুফ বলেন,আমি পরীক্ষার্থী ছিলাম। পরীক্ষার কোরাম পূরন না হওয়ায়, তাৎক্ষনিক ভাবে প্রিন্সিপাল স্যার কম্পিউটার এক্সপার্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বিশ্বাস বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার এক্সপার্ট ভাল কাজ করতে পারেন না। এ কারনে তাকে এক্সপার্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা দিতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁ এটা দেয়া সম্ভব।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গভানিং বডির নিয়োগে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাই। এ কারনে ওনাকে বলা হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক  সরকার বলেন,আমি তো ওই বোডের সদস্য। আপনারা কি আমাকে ওখানে দেখেচ্ছেন।  আমি নাই কেন এ প্রশ্ন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, ও অধ্যক্ষকে জিজ্ঞেস করেন।

পরিক্ষা হয়ে গেল কম্পিউটার এক্সপার্ট, এমন নিয়ম আছে কি,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, প্রথম কথা ওই নিয়োগ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। আর আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে  নয়। বিধিতে থাকলে অবশ্যই সে থাকতে পারবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

উপাধ্যক্ষ পদের পরীক্ষার্থী হলেন কম্পিউটারের এক্সপার্ট

আপডেট সময় ০৩:০৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ নিয়োগ পরীক্ষায় উপাধ্যক্ষ পদের পরীক্ষার্থী ছিলেন মোঃ আল মারুফ। ওই পরিক্ষার কোরাম পূরন না হওয়ায় হয়ে গেলেন কম্পিউটার এক্সপার্ট।প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার এক্সপার্ট নুরুন্নাহার ভাল কাজ না পারায়,তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দাবী প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রশিদ বিশ্বাসের । শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর হাজী আলতাফ হোসেন হরিণদীয়া আলিম মাদ্রাসায়।

জানা যায়, শনিবার ছিল কোটচাঁদপুর হাজী আলতাফ হোসেন হরিণদীয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭ পদে  নিয়োগ পরিক্ষা।
যার মধ্যে একটি পদ ছিল উপাধ্যক্ষ। ওই পদে নিয়োগ পাবার জন্য আবেদন করেছিল ৬ জন পরীক্ষর্থী। এরমধ্যে পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হন দুই জন। এদের একজন মোঃ আল মারুফ। তিনি সাবদারপুর দারুল উলুম আলীম মাদ্রাসার  উপাধ্যক্ষ। অন্যজন মোঃ নুরুনবী। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়াশুলা মাদ্রাসার  উপাধ্যক্ষ। নুরুনবী বলেন, কোটচাঁদপুরের রাজাপুর গ্রামে আমার বাড়ি। ঝিনাইদহে যাতায়াতের অনেক সমস্যা হচ্ছিল। এ কারনে এ মাদ্রাসায় দরখাস্ত করে ছিলাম। পরীক্ষার কোরাম পূরনে ঠিক করেছিলাম মোঃ আল মারুফ ও গুড়পাড়ার দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইব্রাহিমকে।

তিনি বলেন,এখান থেকে কেউ তাকে আসতে নিশেধ করেছেন। এ কারনে পরীক্ষার কোরাম পূরন না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করেছেন কতৃপক্ষ। মারুফ আপনার পক্সি দিতে এসে প্রার্থী হয়েছেন,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমিও শুনতে পাচ্ছি। তবে আমি তাকে জিজ্ঞেস করিনি।

বিষয়টি নিয়ে মোঃ আল মারুফ বলেন,আমি পরীক্ষার্থী ছিলাম। পরীক্ষার কোরাম পূরন না হওয়ায়, তাৎক্ষনিক ভাবে প্রিন্সিপাল স্যার কম্পিউটার এক্সপার্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বিশ্বাস বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার এক্সপার্ট ভাল কাজ করতে পারেন না। এ কারনে তাকে এক্সপার্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা দিতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁ এটা দেয়া সম্ভব।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গভানিং বডির নিয়োগে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাই। এ কারনে ওনাকে বলা হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক  সরকার বলেন,আমি তো ওই বোডের সদস্য। আপনারা কি আমাকে ওখানে দেখেচ্ছেন।  আমি নাই কেন এ প্রশ্ন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, ও অধ্যক্ষকে জিজ্ঞেস করেন।

পরিক্ষা হয়ে গেল কম্পিউটার এক্সপার্ট, এমন নিয়ম আছে কি,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, প্রথম কথা ওই নিয়োগ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। আর আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে  নয়। বিধিতে থাকলে অবশ্যই সে থাকতে পারবে।