ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার বারকে ফেয়ার প্লেয়ার্স এওয়ার্ডে ভূষিত দেশকে অস্থিতিশীল করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে… বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির একটা মামলার জন্য আমাদের ৩২ হাজার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য…প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা মান–অভিমান ভুলে ঐক্যের বার্তা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে পরামর্শ সভা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ গ্রে/ফ/তা/ র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ও সম্ভাব্য ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা আহমদ বিলাল মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ৭ নেতা গ্রে ফ তা র এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষি হলেন বাংলাদেশি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন মৌলভীবাজারে আইডিয়া’র আলো-আলো প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভা

একটা মামলার জন্য আমাদের ৩২ হাজার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য…প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, একটা ছোট্র মামলার জন্য কি হচ্ছে আমাদের ৩২ হাজার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য রয়েছে। আর প্রধান শিক্ষক পদ যদি শুন্য থাকে সেই স্কুল চলবে কি করে। আমাদের সহকারী শিক্ষকগণ কোনোও প্রমোশন ছাড়াই শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন আমরা তাদের প্রমোশন দিতে পারছিনা। আর যদি সেই ৩২ হাজার সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য হতো, ৩২ হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের হতো। শুধু মাত্র একটি ছোট্র মামলার জন্য আমি দেখছি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না।

১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক অফিসের আয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সফিউল আলম, সদর সার্কেল আবুল খায়ের প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল খয়ের প্রমুখ।
উপদেষ্ঠা বলেন, সফল স্কুলের দৃষ্টান্ত থেকে ধারণা নিয়ে বাকি স্কুলগুলো নিজেদের উন্নত করতে পারে। তিনি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষকদের সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও একাডেমিক নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে হাজার হাজার শিশুর আদর্শ হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।

মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মৌলভীবাজার শহরের আলী আমজদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্ণা রায় ভৌমিক, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দেবসহ  জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ।উপদেষ্টা আরও বলেন, একটা স্কুলই হচ্ছে গিয়া একটা কার্যক্রর ইউনিট। এর উপরে যে কার্যকর ইউনিট রয়েছে জেলা অফিস বলেন,থানা অফিস বলেন,অধিদপ্তর বলেন,মন্ত্রণালয় বলেন, বলেন, ওই বিষয়গুলি হচ্ছে সমন্বয়ের জন্য, সহযোগিতার জন্য। প্রকৃতপক্ষে মুল কাজটা পরিচালিত  হয় আমাদের স্কুলগুলোতে। আর স্কুলগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো বছর আমি কি করতাম প্রত্যেকটা স্কুলে পুরোপুরি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের রুপান্তরিত করতাম। আর যার নেতৃত্বে একজন প্রধান শিক্ষক কিন্তু একই সঙ্গে তাদের দায়বদ্বতা থাকতো বছর শেষে বেইজমেন্ট এলাকায় কতজন শিক্ষার্থীকে তারা আকৃষ্ট করতে পেরেছে তাদের স্কুলে এবং তাদের থেকে যে প্রডাক্ট বের হয়ে আসছে, তা কতটুকু মান সম্মত এটার জন্য তারা অবশ্যই দায়বদ্বতা থাকবে। কিন্তু তারা তাদের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা স্বায়ত্বশাসন গঠন করবে এবং অন্য সব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হবে তাদের সহযোগিতা করা, মনিটরিং করা এটা  এই মূহুর্তে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কিন্তু সত্যি যদি আমাদের দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই আমাদের জনগোষ্ঠির প্রয়োজন যেটা সুশঙখলতা লাগবে, তাহলেই শুধু একটা দেশ আশা করা যায়। আর সেটা হতে পারে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

একটা মামলার জন্য আমাদের ৩২ হাজার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য…প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:৩১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, একটা ছোট্র মামলার জন্য কি হচ্ছে আমাদের ৩২ হাজার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য রয়েছে। আর প্রধান শিক্ষক পদ যদি শুন্য থাকে সেই স্কুল চলবে কি করে। আমাদের সহকারী শিক্ষকগণ কোনোও প্রমোশন ছাড়াই শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন আমরা তাদের প্রমোশন দিতে পারছিনা। আর যদি সেই ৩২ হাজার সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য হতো, ৩২ হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের হতো। শুধু মাত্র একটি ছোট্র মামলার জন্য আমি দেখছি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না।

১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক অফিসের আয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সফিউল আলম, সদর সার্কেল আবুল খায়ের প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল খয়ের প্রমুখ।
উপদেষ্ঠা বলেন, সফল স্কুলের দৃষ্টান্ত থেকে ধারণা নিয়ে বাকি স্কুলগুলো নিজেদের উন্নত করতে পারে। তিনি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষকদের সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও একাডেমিক নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে হাজার হাজার শিশুর আদর্শ হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।

মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মৌলভীবাজার শহরের আলী আমজদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পূর্ণা রায় ভৌমিক, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দেবসহ  জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ।উপদেষ্টা আরও বলেন, একটা স্কুলই হচ্ছে গিয়া একটা কার্যক্রর ইউনিট। এর উপরে যে কার্যকর ইউনিট রয়েছে জেলা অফিস বলেন,থানা অফিস বলেন,অধিদপ্তর বলেন,মন্ত্রণালয় বলেন, বলেন, ওই বিষয়গুলি হচ্ছে সমন্বয়ের জন্য, সহযোগিতার জন্য। প্রকৃতপক্ষে মুল কাজটা পরিচালিত  হয় আমাদের স্কুলগুলোতে। আর স্কুলগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন, আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো বছর আমি কি করতাম প্রত্যেকটা স্কুলে পুরোপুরি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের রুপান্তরিত করতাম। আর যার নেতৃত্বে একজন প্রধান শিক্ষক কিন্তু একই সঙ্গে তাদের দায়বদ্বতা থাকতো বছর শেষে বেইজমেন্ট এলাকায় কতজন শিক্ষার্থীকে তারা আকৃষ্ট করতে পেরেছে তাদের স্কুলে এবং তাদের থেকে যে প্রডাক্ট বের হয়ে আসছে, তা কতটুকু মান সম্মত এটার জন্য তারা অবশ্যই দায়বদ্বতা থাকবে। কিন্তু তারা তাদের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা স্বায়ত্বশাসন গঠন করবে এবং অন্য সব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হবে তাদের সহযোগিতা করা, মনিটরিং করা এটা  এই মূহুর্তে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কিন্তু সত্যি যদি আমাদের দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই আমাদের জনগোষ্ঠির প্রয়োজন যেটা সুশঙখলতা লাগবে, তাহলেই শুধু একটা দেশ আশা করা যায়। আর সেটা হতে পারে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়।