এখন প্রকাশ্যে চা শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ
![](https://newssitedesign.com/newspaperpro/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় ০৯:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
![](https://moulvibazar24.com/wp-content/uploads/2023/11/Rahat-rakib-tea.jpg)
বিশেষ প্রতিনিধি: চা শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। শ্রমিকদের ১৯ মাসের বকেয়া মজুরি, নতুন চুক্তি, সদস্য চাঁদার হিসাব, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির অপসারণ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শ্রমিকরা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে সাধারণ চা শ্রমিকের ব্যানারে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারীরা বর্তমান চা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন৷ পরে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধিদল চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতির কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
সাধারণ চা শ্রমিকদের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল চা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় ঘেরাও করলে এ সময় এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷
আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর দীর্ঘসময় পেরোনোর পরও নির্বাচন না দেওয়ায় তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন৷ আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা তাদের আলটিমেটাম দিয়েছি। ওই সময়ের মধ্যে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সাধারণ চা শ্রমিকের ব্যানারে আন্দোলনকারী একাংশের নেতা রাজঘাট ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ বলেন, চা শ্রমিকরা গত আগস্ট মাসে আন্দোলন করে তাদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা আদায় করেছিল৷ কিন্তু বর্তমান চা শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটি মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে সেই টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমান কমিটি স্বেচ্ছাচারীভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ অনির্বাচিতরা চা শ্রমিক ইউনিয়নের দায়িত্ব জোর করে দখল নিয়ে রেখেছে। আমরা বারবার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু নির্বাচন তারা দিচ্ছেন না। আমরা রবিবার নির্বাচনের দাবিতে চা শ্রমিক ইউনিয়ন ঘেরাও করে আল্টিমেটাম দিয়েছি।
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যদি তারা (বর্তমান কমিটি) দায়িত্ব না ছাড়ে, যদি হিসাব না দেয়, তাহলে আমরা সারা বাংলাদেশে চা বাগান বন্ধ রাখবো, আমাদের শ্রমিক চাঁদা বন্ধ থাকবে, আমরা এই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সবাই অবস্থান নেব।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, আমরা আমাদের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের জন্য শ্রম অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের নির্বাচন আয়োজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করায় নির্বাচন হয়নি৷ এখন আমরা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সরকার এবং আমাদের যৌথ অর্থায়নে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছি৷
![](https://moulvibazar24.com/wp-content/uploads/2022/12/Untitled-6-×-4-in.gif)