ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ পালন বিএনএসবি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ডা:ছাদিক আহমদ মৌলভীবাজারে ব্যবসায়ী রুবেল হ/ত্যা/কা/ণ্ডে/র ঘটনায় মূল আসামি গ্রে/প্তা/র,আলামত উদ্ধার হাজীপুরে জব্দ করা ১৩ কোটি টাকার বালু প্রকাশ্য নিলাম স্থগিত জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন সভাপতি রেজা, সম্পাদক মতিউর সিলেটে জিপিস্টার পার্টনারদের স্বীকৃতি দিলো গ্রামীণফোন বিএনপি যদি রাস্ট্র ক্ষমতায় যায় তাহলে আমরা এই পুলিশ কে বিএনপির পুলিশ বানাবো না – জি কে গউছ সিলেটে পাথর লু ট,প্রশাসনের বি রু দ্ধে শুরু হচ্ছে অ্যাকশন ডাক্তারদের চেম্বারে ওষুধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য: ভুক্তভোগী রোগীরা বাংলাদেশে সব সময়ই হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে — এম নাসের রহমান

এবার অপসারিত হচ্ছেন দেশের ৪৫৭১ ইউপি চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৭৫ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রসহ জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করেন। বাংলাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এবার সরানো হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের। এ জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ শুরু করেছে। সারা দেশের ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের আগামী বৈঠকে তোলা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা মেয়র ও চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তৃণমূলে সাধারণ নাগরিকদের সেবার কথা বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)-এর চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দল সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানদের অধিকাংশই আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। তৈরি হয়েছে অচল অবস্থা। সে কারণে ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এবার প্রশাসক বসানোর পরিকল্পনা চলছে। চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, সারা দেশের অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের একটা সারাংশ তৈরি করা হয়েছে। এটা উপদেষ্টা পরিষদে পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হবে। উপদেষ্টা পরিষদ অপসারণের সিদ্ধান্ত দিলেই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে। এ ছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবে।

তবে শূন্য হওয়া ছাড়াও আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি বা দন্ডিত হলে, পরিষদের স্বার্থ পরিপন্থি কাজ করলে- চেয়ারম্যানদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে সরকার। এ ছাড়াও দুর্নীতি, অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদেরকে অপসারণ করতে পারে সরকার।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

এবার অপসারিত হচ্ছেন দেশের ৪৫৭১ ইউপি চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০১:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রসহ জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করেন। বাংলাদেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এবার সরানো হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের। এ জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ শুরু করেছে। সারা দেশের ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের আগামী বৈঠকে তোলা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা মেয়র ও চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তৃণমূলে সাধারণ নাগরিকদের সেবার কথা বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)-এর চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দল সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানদের অধিকাংশই আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। তৈরি হয়েছে অচল অবস্থা। সে কারণে ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এবার প্রশাসক বসানোর পরিকল্পনা চলছে। চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, সারা দেশের অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের একটা সারাংশ তৈরি করা হয়েছে। এটা উপদেষ্টা পরিষদে পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হবে। উপদেষ্টা পরিষদ অপসারণের সিদ্ধান্ত দিলেই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে। এ ছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবে।

তবে শূন্য হওয়া ছাড়াও আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি বা দন্ডিত হলে, পরিষদের স্বার্থ পরিপন্থি কাজ করলে- চেয়ারম্যানদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে সরকার। এ ছাড়াও দুর্নীতি, অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদেরকে অপসারণ করতে পারে সরকার।