কমলগঞ্জে ডা/কা/তি/র রহস্য উদঘাটন, ডা/কা/ত দলের ৩ সদস্য গ্রে/ফ/তা/র

- আপডেট সময় ০২:৩০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত চক্রকে শনাক্ত এবং আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় লুট করা ৭টি মোবাইল এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
গত ৩১ মে রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান সংলগ্ন বাঘরাবাড়ি এলাকায় ১০/১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় গাছ ফেলে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের মারধর করে লুটপাট করে। পরবর্তীতে ১ জুন এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম), শ্রীমঙ্গল সার্কেলের এএসপি, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিক রঞ্জন দাসসহ একটি টিম ডাকাতির ঘটনার পর থেকে কাজ শুরু করে।
ভিকটিমদের দেওয়া তথ্য, আমাদের সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৩ জুন ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কানাইদেশী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির সাথে জড়িত জাহান আহমেদ রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত থেকে ৩১ মে রাতে লুটকৃত একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেদিন সকালে কমলগঞ্জের বনগাঁও এলাকা থেকে জড়িত ডাকাত দলের আরেক সদস্য মহরম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত থেকেও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জুন রাতে ডাকাত বহনকারী এবং দলের অন্যতম সদস্য সিএনজি চালক সালাম মিয়াকে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অভিযান পরিচালনার সময় একটি ব্যাগে পরিত্যক্ত অবস্থায় লুট করা আরও ৫টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
সিডিআর পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি জাহান আহমেদ রাজু এবং মহরম আলীর বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতির একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
এই চক্রের আরও কিছু সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকা থেকে এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এরা বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
