ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লির মৃ*ত্যু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক মসজিদে নামাজরত অবস্থায় বশির মিয়া (৬০) নামের এক মুসল্লির মৃ*ত্যু হয়েছে।

 

শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার সময় তিনি মারা যান। পরে দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বশির মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলাইরপার গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে।

মৃত বশির মিয়ার ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম মিয়া জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে বাড়ির পাশে দক্ষিণ ধলাইরপাড় জামে মসজিদে যান। মসজিদে সুন্নত নামাজ পরা অবস্থায় হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বশির মিয়া অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের সন্তান। তবে তিনি সৎ ও প্রতিবাদী ছিলেন। কখনো নামাজ কাজা করতেন না। দ্বীনের পথে ছিলেন তিনি। বশির মিয়ার নয় সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোক ছিলেন।

বশির মিয়ার বড় ছেলে রকিব মিয়া বলেন, বাবা মসজিদে প্রতিদিনের মতো নামাজ আদায় করতে আসছিলেন। হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। তবে আমার বাবার ভাগ্যটাই ভালো। এমন মৃত্যু সবার হয় না। আল্লাহ যেন বাবাকে বেহেশত নসিব করেন।

 

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজেদুল কবির জানান, বশির মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কমলগঞ্জে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লির মৃ*ত্যু

আপডেট সময় ০৩:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক মসজিদে নামাজরত অবস্থায় বশির মিয়া (৬০) নামের এক মুসল্লির মৃ*ত্যু হয়েছে।

 

শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার সময় তিনি মারা যান। পরে দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বশির মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলাইরপার গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে।

মৃত বশির মিয়ার ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম মিয়া জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে বাড়ির পাশে দক্ষিণ ধলাইরপাড় জামে মসজিদে যান। মসজিদে সুন্নত নামাজ পরা অবস্থায় হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বশির মিয়া অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের সন্তান। তবে তিনি সৎ ও প্রতিবাদী ছিলেন। কখনো নামাজ কাজা করতেন না। দ্বীনের পথে ছিলেন তিনি। বশির মিয়ার নয় সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোক ছিলেন।

বশির মিয়ার বড় ছেলে রকিব মিয়া বলেন, বাবা মসজিদে প্রতিদিনের মতো নামাজ আদায় করতে আসছিলেন। হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। তবে আমার বাবার ভাগ্যটাই ভালো। এমন মৃত্যু সবার হয় না। আল্লাহ যেন বাবাকে বেহেশত নসিব করেন।

 

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজেদুল কবির জানান, বশির মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।