ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়ার মেয়ে শিক্ষিকা মিলির’র ঝুলন্ত লা/শ সিলেটে উদ্ধার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অ ব রো ধ, যান চলাচল বন্ধ আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ : দেখা যাবে বাংলাদেশেও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা:) উদযাপন উপলক্ষে কাশিমপুর লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার উদ্যোগে মোবারক র‍্যালি ও আলোচনা সভা পূর্বজুরি ইউনিয়নের ২নং বিটে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মৌলভীবাজার জেলা জমিয়তের বিক্ষোভ কমলগঞ্জে ডিবির অভিযানে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আটক -২ মৌলভীবাজারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস মোবারক র‍্যালী শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আর নেই মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের শোক

কমলগঞ্জ ধলাই নদীর ভাঙনে ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৩২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদ : কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর ভাঙনে দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিতে আছেন নদী পারের পরিবারগুলো। প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমী ভাঙনের ফলে ভিটামাটি হারিয়ে অনেক পরিবার ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানেও এ গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

 

এলাকাবাসীর সাথে আলাপ ও সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্লক দ্বারা বাঁধ নির্মাণ তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু আজও তাদের এ দাবি পূরণ হয়নি। বছর বছর নদী থেকে ২০-৩০ ফুট সরিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়। আবার তা ভেঙে বসতবাড়ির সাথে লেগে যায়। ফলে বসতবাড়ি ও সহায় সম্পদ হারাতে হয় অনেককে। বর্তমানে নিখিল চন্দ্র মালাকারের বাড়ি ভায়া রফিক বখতের বাড়ি পর্যন্ত অংশটুকু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, রামপাশা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ধলাই নদীর ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এটি রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে মানুষের বাড়ি-ঘর, ভিটে-মাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

 

ধলাই নদী পারের বাসিন্দা নিখিল মালাকার বলেন, এ পর্যন্ত ৭-৮ বার নদীর পাশ থেকে সরিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি। বর্তমানে আর সরানোর জায়গা নেই। আমার বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাই।

 

মনির মিয়া বলেন, একদম নদীর পার ঘেঁষে আমার বসতঘর। ভেঙে নিলে আর যাওয়ার জায়গা নেই। সুশীল দেবনাথ বলেন, ভিটা বাড়ি অনেক আগেই হারিয়েছি। বর্তমানে যেখানে আছি তাও অন্যের জায়গা, এটা ভেঙে নিলে আর যাওয়ার জায়গা নেই। মিন্টু মালাকার বলেন, আমি শৈশব থেকে দেখছি নদী ভাঙছে আর আমার পরিবারও বসতবাড়ি সরিয়ে বসবাস করার চেষ্টা করছে। এখন আর সরানোর জায়গা নেই। রফিক বক্ত বলেন, আমারও অনেক জমি জমা নদীভাঙনে হারিয়েছি।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রামপাশা এলাকাও অন্তর্ভূক্ত আছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে টেন্ডার আহবান করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কমলগঞ্জ ধলাই নদীর ভাঙনে ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০১:৩২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব সংবাদ : কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর ভাঙনে দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিতে আছেন নদী পারের পরিবারগুলো। প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমী ভাঙনের ফলে ভিটামাটি হারিয়ে অনেক পরিবার ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানেও এ গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

 

এলাকাবাসীর সাথে আলাপ ও সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্লক দ্বারা বাঁধ নির্মাণ তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু আজও তাদের এ দাবি পূরণ হয়নি। বছর বছর নদী থেকে ২০-৩০ ফুট সরিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়। আবার তা ভেঙে বসতবাড়ির সাথে লেগে যায়। ফলে বসতবাড়ি ও সহায় সম্পদ হারাতে হয় অনেককে। বর্তমানে নিখিল চন্দ্র মালাকারের বাড়ি ভায়া রফিক বখতের বাড়ি পর্যন্ত অংশটুকু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, রামপাশা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ধলাই নদীর ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এটি রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে মানুষের বাড়ি-ঘর, ভিটে-মাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

 

ধলাই নদী পারের বাসিন্দা নিখিল মালাকার বলেন, এ পর্যন্ত ৭-৮ বার নদীর পাশ থেকে সরিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি। বর্তমানে আর সরানোর জায়গা নেই। আমার বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাই।

 

মনির মিয়া বলেন, একদম নদীর পার ঘেঁষে আমার বসতঘর। ভেঙে নিলে আর যাওয়ার জায়গা নেই। সুশীল দেবনাথ বলেন, ভিটা বাড়ি অনেক আগেই হারিয়েছি। বর্তমানে যেখানে আছি তাও অন্যের জায়গা, এটা ভেঙে নিলে আর যাওয়ার জায়গা নেই। মিন্টু মালাকার বলেন, আমি শৈশব থেকে দেখছি নদী ভাঙছে আর আমার পরিবারও বসতবাড়ি সরিয়ে বসবাস করার চেষ্টা করছে। এখন আর সরানোর জায়গা নেই। রফিক বক্ত বলেন, আমারও অনেক জমি জমা নদীভাঙনে হারিয়েছি।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ব্লক নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রামপাশা এলাকাও অন্তর্ভূক্ত আছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে টেন্ডার আহবান করা হবে।