কমলগঞ্জ শমশেরনগর গেজেট প্রকাশের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
- আপডেট সময় ০৩:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩০৪ বার পড়া হয়েছে
কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১০ আগষ্ট ২০২৩ ইং৫ শতাংশ গেজেট প্রকাশের চুক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকাল (১ সেপ্টেম্বর ) সকালে অফিস গেইট শমশেরনগর চা বাগানের ৫ টি বাগানের কানিহাটি, দেওছড়া, ডবল ছড়া, বাঘিচড়া, শমশেরনগর চা বাগান, চা শ্রমিক ও কর্মচারী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অংশ গ্রহন করেন।
চা শ্রমিক বড় সর্দার এম এ আহাদ সভাপতিত্বে ও লছমন মাদ্রাজি সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি শ্রীকান্ত কানু গোপাল, সাবেক ইউপি সদস্য সিতারাম বিন,মনু অঞ্চল সার্কেল সভাপতি তানবির হাসান, মনু সার্কেল সাধারণ সম্পাদক আশা অর্নাল, বাবুল মাদ্রাজী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চা-বাগানের শ্রমি কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি প্রজ্ঞাপন ১০ আগস্ট ২০২৩ শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের মজুরি বোর্ড গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্যের যখন চরম উর্ধগতি তখন সরকার চা-শ্রমিকদের পূর্বের মজুরি দৈনিক ১৭০ টাকা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের সকল চা-বাগানের শ্রমিকরা দু’বেলা দুমুঠো খাবারের নিশ্চয়তার দাবিতে যখন দীর্ঘদিন ন্যুনতম মজুরি দৈনিক ৫০০ টাকার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তখন সরকারের পক্ষ থেকে মজুরি পূর্বের ন্যায় ১৭০ টাকা ঘোষণা চা-শ্রমিকদের সাথে তামাশা। কোন আলোচনা ব্যতীত একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিফলন।
৫ শতাংশ হারে প্রতি বছর চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেখানে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় সেখানে প্রতি বছর ৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির সরকারি ঘোষণা চরম অমানবিক, শ্রমিকের স্বার্থ বিরোধী এবং পক্ষপাতদুষ্ট।
গেজেটে চা-শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি বাদ দেয়া হয়েছে যা শ্রম আইনের পরিপন্থী। অবিলম্বে গেজেট প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে সমাবেশে , সরকারকে অনুরোধ জানান।