কমেনি স্যারের প্রতি ছাত্র ছাত্রীদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসা

- আপডেট সময় ০৯:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ অবসরে যাবার ২৪ মাস পর স্যারকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত বিদ্যালয়ের ছাত্র /ছাত্রীরা। এতদিন পরও স্যারের প্রতি কমেনি তাদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। তারই বহির প্রকাশ ওই সময় কামেরা বন্দী স্যার ও ছাত্র / ছাত্রীদের কিছু ছবি।
বলছিলাম কোটচাঁদপুরের বেনেপাড়ার বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক জাকির হোসেনের কথা।
জানা যায়,জাকির হোসেন,বয়স ৬১ বছর। পিতা মৃত মুনসুর আহাম্মদ। তিনি গেল ৭/০১/৮৮ সালে যোগদান করেন মহেশপুরের আলামপুর ৪ নম্বর কলোনি কাশেম মুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সে থেকে দীর্ঘ ৩৩ বছর বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকতা করেন জাকির হোসেন। গেল ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি থেকে পেনশনে যান তিনি। ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে দুই বছর। তবে একটু ভালবাসা কমেনি ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে। এর বহির প্রকাশ ঘটে শনিবার বিকেলে।
ওই বিদ্যালয় মাঠে ছিল ধর্মসভা। সেই ধর্মসভা শুনতে যান শিক্ষক জাকির হোসেন। যা দুর থেকে দেখতে পান বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। মহুত্বের মধ্যে সবাই ছুটে আসেন স্যারের কাছে। বিদ্যালয় মাঠে সৃষ্টি হয় এক আবেঘন মুহুর্ত। আবেগে কেউ স্যার জড়িয়ে ধরেন। কেউ কুশল বিনিময় করেন।আবার কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে কামেরা বন্দী হন স্যারের সঙ্গে সেলফি তুলে।
এ সব ছাত্র/ ছাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ,দ্বিতীয় শ্রেণীর জাকিয়া খাতুন,অষ্টম শ্রেণীর শারমিন আক্তার ও মরিয়ম খাতুন। এ ছাড়া নাম না জানা অনেকেই ছিল ওই মুহুর্তের স্বাক্ষী হতে। জাকির হোসেন পারিবারিক জীবনে দুই ছেলে মেয়ের জনক। যার মধ্যে ছেলে সৌরভ আহমেদ এমএসসি করেছেন কুষ্টিয়ার কলেজ থেকে আর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস জুই এমএম কলেজ অনার্স পড়ছেন। জাকির হোসেন শুধু একজন শিক্ষকই নন। তিনি একজন গণমাধ্যম কর্মী,কবি ও লেখক।
তিনি বলেন,শনিবার ছিল আলামপুর ৪ নম্বর কলোনি কাশেম মুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধর্মসভা। যেখানে আমি আমার ৩৩ বছর কাটিয়েছি। জানতে পেরে বিকেলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যায় আমি ও আমার সহযোদ্ধা গণমাধ্যম কর্মী কাজী মৃদুল। এরপর আমাকে বিদ্যালয় মাঠে পেয়ে খুশিতে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে। কেউ ছবি তোলেন,কেউ কুশল বিনিময় করেন।
এক আবেগঘন মুতুত্বের অবতারনা হয় ওই সময় টা। দেখে মনে হচ্ছিল আমি এখনও তাদের স্যার আছি। তাদের ভালবাসায় আমার আবারও ফিরে যেতে মন চাইছিল বিদ্যালয়ে স্যার হয়ে ফিরে যেতে। তিনি বলেন,গেল ৭/০১/৮৮ সালে যোগদান আলামপুর ৪ নম্বর কলোনি কাশেম মুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করেছিলাম। আর ২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পেনশনে যায় বিদ্যালয়টি থেকে। মাঝখানে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও একটু কমেনি তাদের প্রতি আমার ভালবাসা। আর আমার প্রতি তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা।
