ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মান–অভিমান ভুলে ঐক্যের বার্তা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে পরামর্শ সভা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ গ্রে/ফ/তা/ র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ও সম্ভাব্য ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা আহমদ বিলাল মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ৭ নেতা গ্রে ফ তা র এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষি হলেন বাংলাদেশি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন মৌলভীবাজারে আইডিয়া’র আলো-আলো প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভা শ্রীমঙ্গলে আ.লীগ নেতা ডা. হরিপদ রায় গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটসহ পায়ে হেঁটে ১৫০ কি. মি. পথ পরিভ্রমণে – ৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় মৌলভীবাজারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ  স্কুল শিক্ষক আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মঈন উদ্দিন খান: কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্কুল শিক্ষক আলা উদ্দিন (আলার) বিরুদ্ধে।  তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না ওই কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের কুল্লাগাছার আসলাম মোড়ের সামনের মাঠের সড়ক এটি। এ সড়কের কিছু দুরে সাবেক স্কুল শিক্ষক আলা উদ্দিনের রয়েছে সড়কের পাশের একটা  জমি।
সম্প্রতি ওই সড়কের পাশের ১৩ টি অপরিপক্ক কাঠের গাছ কেটে বিক্রি করেছেন ওই শিক্ষক। যার মধ্যে ছিল ১২ টি মেহগনি ও একটি লম্বু গাছ।

ওই গ্রামের খলিল মন্ডল বলেন, গাছগুলো মাস্টার সাহেব লাগিয়ে ছিল। তবে বর্তমানে গাছ গুলো রাস্তার মধ্যে পড়েছে।
তিনি বলেন, মোট ১৩ টি গাছ কেটে দিয়েছেন। এরমধ্যে একটা লম্বু ও ১২ টি মেহগনি গাছ ছিল। মাস্টার সাহেব গাছ গুলো মেরে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাধা দিয়ে ছিলেন  কিনা,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, আর বাবা,আমরা বাধা দিয়ে কি করবো। হ্যালো করলেই শেষ। কারন ওনারা তো নেতা মানুষ।

একই কথা বলেন,কামারুল ইসলাম, তিনি বলেন, গাছগুলো বেশ বড় হয়েছিল। কয়েক দিন আগে তিনি আসাননগর গ্রামের ওসমান ব্যাপারি কাছে বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষক বলেন,গাছগুলো আমার লাগানো ছিল। জমি মাপার পরও দেখা গেছে গাছ গুলো আমার জমির মধ্যে পড়েছে। এরপরও আমি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে গিয়েছি। পরে ওনাকে নিয়ে এ্যাসিলান্ড,বনবিভাগ ও নায়েব সাহেবের কাছে ও গিয়েছিলাম। নায়েব সাহেব আমাকে জমি মাপার পর গাছ কেটে নিতে বলেছেন।

আলা উদ্দিন (আলা) ছিলেন গুড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার ( ভুমি) শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানিনা। আপনাদেরকে মিথ্যা বলেছেন। খোঁজ খবর নিয়ে  ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই কথা বলেন, উপজেলা বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের নাম নিয়ে ওনার কার্যসিদ্ধি করেছেন। এ

বিষয়ে কিছুই জানা নাই। ইউএনও স্যারের বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ বলেন,আমার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। ওনি কিসের বলে,কিভাবে গাছ কেটেছেন। অনিয়ম করে গাছ কাটলে ওনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ  স্কুল শিক্ষক আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৪:১৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

মোঃ মঈন উদ্দিন খান: কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্কুল শিক্ষক আলা উদ্দিন (আলার) বিরুদ্ধে।  তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না ওই কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের কুল্লাগাছার আসলাম মোড়ের সামনের মাঠের সড়ক এটি। এ সড়কের কিছু দুরে সাবেক স্কুল শিক্ষক আলা উদ্দিনের রয়েছে সড়কের পাশের একটা  জমি।
সম্প্রতি ওই সড়কের পাশের ১৩ টি অপরিপক্ক কাঠের গাছ কেটে বিক্রি করেছেন ওই শিক্ষক। যার মধ্যে ছিল ১২ টি মেহগনি ও একটি লম্বু গাছ।

ওই গ্রামের খলিল মন্ডল বলেন, গাছগুলো মাস্টার সাহেব লাগিয়ে ছিল। তবে বর্তমানে গাছ গুলো রাস্তার মধ্যে পড়েছে।
তিনি বলেন, মোট ১৩ টি গাছ কেটে দিয়েছেন। এরমধ্যে একটা লম্বু ও ১২ টি মেহগনি গাছ ছিল। মাস্টার সাহেব গাছ গুলো মেরে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাধা দিয়ে ছিলেন  কিনা,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, আর বাবা,আমরা বাধা দিয়ে কি করবো। হ্যালো করলেই শেষ। কারন ওনারা তো নেতা মানুষ।

একই কথা বলেন,কামারুল ইসলাম, তিনি বলেন, গাছগুলো বেশ বড় হয়েছিল। কয়েক দিন আগে তিনি আসাননগর গ্রামের ওসমান ব্যাপারি কাছে বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষক বলেন,গাছগুলো আমার লাগানো ছিল। জমি মাপার পরও দেখা গেছে গাছ গুলো আমার জমির মধ্যে পড়েছে। এরপরও আমি চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে গিয়েছি। পরে ওনাকে নিয়ে এ্যাসিলান্ড,বনবিভাগ ও নায়েব সাহেবের কাছে ও গিয়েছিলাম। নায়েব সাহেব আমাকে জমি মাপার পর গাছ কেটে নিতে বলেছেন।

আলা উদ্দিন (আলা) ছিলেন গুড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন সহকারী কমিশনার ( ভুমি) শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানিনা। আপনাদেরকে মিথ্যা বলেছেন। খোঁজ খবর নিয়ে  ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একই কথা বলেন, উপজেলা বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের নাম নিয়ে ওনার কার্যসিদ্ধি করেছেন। এ

বিষয়ে কিছুই জানা নাই। ইউএনও স্যারের বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ বলেন,আমার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। ওনি কিসের বলে,কিভাবে গাছ কেটেছেন। অনিয়ম করে গাছ কাটলে ওনার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।