ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
তারেক রহমানের কাছে সন্ত্রাসবাদ-চাঁদাবাজের ঠাই নেই ঝুলন যাত্রা পূজা মন্ডপে- বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু ভারতীয় ক্রিমসহ আটক -২ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত কাউকে মেরে ফেলা নৃশংশভাবে এসব তো মৌলভীবাজারে আগে কখনো দেখিনি – এম নাসের রহমান ব্যবসায়ী রুবেল হত্যায় দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদল নেতার ম/র/দে/হ উ/দ্ধা/র বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক “জেলা কর্মশালা-২০২৫” তারেক রহমান চান আপনারা সব সময় ভাল থাকেন কমলগঞ্জের আলিনগর চা বাগানে – মহসিন মিয়া মধু ট্রাইব্রেকারের রোমাঞ্চে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের শিরোপা জয় ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা ছাড়লেন ‘সিলেটী’রুশনারা আলী

কাউকে মেরে ফেলা নৃশংশভাবে এসব তো মৌলভীবাজারে আগে কখনো দেখিনি – এম নাসের রহমান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার শহরের সদাইপাতি ব্যবসায়ি শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল হত্যাকান্ড নিয়ে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন- ‘‘কিছুদিন আগেও একজন ইয়াং এডভোকেটকে মারা হলো পৌরসভার সামনে। কারও সঙ্গে কারও ডিসপোর্ট থাকতেই পারে কিন্তু গিয়ে কাউকে মেরে ফেলা নৃশংশভাবে এটাতো কারও কাম্য নয়। এসব তো আমাদের মৌলভীবাজারে আগে কখনো দেখিনি। এখন জানিনা কেন এগুলি হচ্ছে। এটা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক। যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে,আমার তো মনে হয়না এরা মৌলভীবাজারের মানুষ। বাইরের হতে পারে। কয়েকমাস আগে এক এডভোকেটকে মেরেছিল এরা টোকাই বাচ্চারা ছিল’।

নাসের রহমান বলেন-‘এগুলির ব্যাপারে সকলে সচেতন হওয়া দরকার। যারা পৌরসভার বান্দিারা

আছেন,গুন্ডাছেলেফেলেদের ব্যাপারে এগুলোরে ধরিয়ে দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব। আপনার সামনে যদি এখন কাউকে পিটিয়ে মারে আর আপনি বসে বসে ভিডিও করেন তাহলে আপনিও তো মানুষ না। আর যদি নির্লিপ্ত থাকি তাহলে এধরণের ঘটনা আরও ঘটবে। এবং নির্লিপ্ততা অত্যান্ত ডেঞ্জারেস জিনিস। অপকর্ম যারা করে তাদের সহায়তা করার মতো। ব্যবসায়ি এ ভদ্রলোক নিশ্চই ভাল মানুষ ছিলেন। আমি আশা করবো,পুলিশ খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের ধরতে সম্ভব হবে। এধরনের হত্যাকারিদের খুব শিগগিরই ধরা দরকার এবং এই ব্যাপারে আমি পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।
তিনি আরও বলেন-‘এই ধরনের হত্যাকান্ডের যদি কঠিন শায়েস্তা না করতে পারি তাহলে এই মৌলভীবাজারের শান্তিপ্রিয় এলাকার পরিবেশের মর্যাদা নষ্ঠ হবে। এজন্য সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্ঠা যেন থাকে’।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর দুইটারদিকে বর্ষিজোড়া মাইজপাড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে শহরের রুবেল হার্ডওয়্যার ও সদাইপাতি এর স্বত্বাধিকারী শাহ ফয়জুর রহমান রুবেলের জানাজার নামাযের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুর করিম ময়ূন বলেন-‘এ ধরণের নৃশংশ হত্যাকান্ডের আমরা প্রতিবাদ করি। বড় ভাল মানুষ ছিলেন তিনি’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা বলবো যত দ্রত সম্ভব আইনের আওতায় এনে হত্যাকারীদের বিচার হোক’।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ব্যবসায়ি রুবেলকে তার সহপাঠি জানিয়ে বলেন-‘আপনারা সকলে সচেতন হোন, ইতিমধ্যে দুইটা মাথা মৌলভীবাজারে গেছে।
নিহতের ছেলে সোহান বলেন- এ রাস্ট্রের কাছে,আমাদের আস্থা আছে,আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল নিজ দোকানে বসে ছিলেন ব্যবসায়ী রুবেল। এসময় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ এর বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন- এখন পর্যন্ত এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি জানান, খুনিদের বের করার জন্য আমরা কাজ করতেছি,আমরা উদঘাটনের চেষ্টা করতেছি। ইনশাআল্লাহ দ্রুতই এটা উদঘাটন করতে পারবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কাউকে মেরে ফেলা নৃশংশভাবে এসব তো মৌলভীবাজারে আগে কখনো দেখিনি – এম নাসের রহমান

আপডেট সময় ০৮:১০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজার শহরের সদাইপাতি ব্যবসায়ি শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল হত্যাকান্ড নিয়ে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন- ‘‘কিছুদিন আগেও একজন ইয়াং এডভোকেটকে মারা হলো পৌরসভার সামনে। কারও সঙ্গে কারও ডিসপোর্ট থাকতেই পারে কিন্তু গিয়ে কাউকে মেরে ফেলা নৃশংশভাবে এটাতো কারও কাম্য নয়। এসব তো আমাদের মৌলভীবাজারে আগে কখনো দেখিনি। এখন জানিনা কেন এগুলি হচ্ছে। এটা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক। যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে,আমার তো মনে হয়না এরা মৌলভীবাজারের মানুষ। বাইরের হতে পারে। কয়েকমাস আগে এক এডভোকেটকে মেরেছিল এরা টোকাই বাচ্চারা ছিল’।

নাসের রহমান বলেন-‘এগুলির ব্যাপারে সকলে সচেতন হওয়া দরকার। যারা পৌরসভার বান্দিারা

আছেন,গুন্ডাছেলেফেলেদের ব্যাপারে এগুলোরে ধরিয়ে দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব, সামাজিক দায়িত্ব। আপনার সামনে যদি এখন কাউকে পিটিয়ে মারে আর আপনি বসে বসে ভিডিও করেন তাহলে আপনিও তো মানুষ না। আর যদি নির্লিপ্ত থাকি তাহলে এধরণের ঘটনা আরও ঘটবে। এবং নির্লিপ্ততা অত্যান্ত ডেঞ্জারেস জিনিস। অপকর্ম যারা করে তাদের সহায়তা করার মতো। ব্যবসায়ি এ ভদ্রলোক নিশ্চই ভাল মানুষ ছিলেন। আমি আশা করবো,পুলিশ খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের ধরতে সম্ভব হবে। এধরনের হত্যাকারিদের খুব শিগগিরই ধরা দরকার এবং এই ব্যাপারে আমি পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।
তিনি আরও বলেন-‘এই ধরনের হত্যাকান্ডের যদি কঠিন শায়েস্তা না করতে পারি তাহলে এই মৌলভীবাজারের শান্তিপ্রিয় এলাকার পরিবেশের মর্যাদা নষ্ঠ হবে। এজন্য সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্ঠা যেন থাকে’।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর দুইটারদিকে বর্ষিজোড়া মাইজপাড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে শহরের রুবেল হার্ডওয়্যার ও সদাইপাতি এর স্বত্বাধিকারী শাহ ফয়জুর রহমান রুবেলের জানাজার নামাযের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুর করিম ময়ূন বলেন-‘এ ধরণের নৃশংশ হত্যাকান্ডের আমরা প্রতিবাদ করি। বড় ভাল মানুষ ছিলেন তিনি’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা বলবো যত দ্রত সম্ভব আইনের আওতায় এনে হত্যাকারীদের বিচার হোক’।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ব্যবসায়ি রুবেলকে তার সহপাঠি জানিয়ে বলেন-‘আপনারা সকলে সচেতন হোন, ইতিমধ্যে দুইটা মাথা মৌলভীবাজারে গেছে।
নিহতের ছেলে সোহান বলেন- এ রাস্ট্রের কাছে,আমাদের আস্থা আছে,আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল নিজ দোকানে বসে ছিলেন ব্যবসায়ী রুবেল। এসময় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ এর বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন- এখন পর্যন্ত এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি জানান, খুনিদের বের করার জন্য আমরা কাজ করতেছি,আমরা উদঘাটনের চেষ্টা করতেছি। ইনশাআল্লাহ দ্রুতই এটা উদঘাটন করতে পারবো।