কাল থেকে মৌলভীবাজার শুরু হচ্ছে জেলা ইজতেমা
- আপডেট সময় ১১:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৭ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ তাবলীগ জামাতের ৩দিন ব্যাপী মৌলভীবাজার জেলা ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে। এবারের ইজতেমায় বিদেশী জামাতসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন তাবলীগ জামাতের সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্বশীল সূত্র।
বৃহস্পতিবার বাদ ফজর শহরতলীর পুলিশ লাইন্সের পাশে তাবলীগ জামাতের জেলা মারকাজের নিজস্ব মাঠে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে ৩ দিন ব্যাপী জেলা ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। আর ১৪ ডিসেম্বর শনিবার ফজরের নামাজের পর হেদায়াতের বয়ান শুরু হয়ে এর পর আখেরী মুনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিনদিনের আনুষ্ঠানিকতা।
মাঠের বিশাল অংশ জুড়ে সামিয়ানা তৈরি করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে তাবলীগের সাথীরা জামাতবন্দী হয়ে আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড থেকে ৯ জনের একটি জামাত এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জেলা তাবলীগ জামাতের আমির মোঃ আব্দুল হাই।
জেলার শীর্ষ এই দ্বায়িত্বশীল জানান,তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমায় কাকরাইল মসজিদ থেকে ১০সদস্য’র একটি টিম অংশ নেবে। এছাড়াও তিন দিনে এই আয়োজনের চুড়ান্ত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তাবলীগ সূত্রে জানা যায়, ৯০ এর দশকে শহরের কাজিরগাঁও এলাকায় তাবলীগ জামাতের জেলা মারকাজের যাত্রা শুরু করলেও ২০১৮ সালের দিকে দেশে তাবলীগ জামাতের মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্দলবীর অনুসারীদের মধ্যে চরম বিভক্তি দেখা দেয়। এর ফলে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের পাশে গোমড়া এলাকায় দেড় একর ভুমি ক্রয় করে তাবলিক জামাতের মারকাজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০২৩ সালে এই মারকাজ প্রতিষ্ঠার পর এখান থেকেই চলে আসছে জেলাব্যাপী দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ। এর পর একই বছর ওই মাঠে হয় জেলা ইজতেমা। ২০১৮ সালের ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম বারের মতো তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা শহরতলীর জগন্নাথপুর এলাকার গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব জায়গার উপর অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লী অংশ নেন। একই বছর দু’পক্ষের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এর পর বছরের শেষের দিকে ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করতে চাইলে মাওলানা জুবায়ের পন্থীদের বাঁধায় একদিনের ইজতেমা করে সম্পন্ন করেন।