ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
উৎসবমুখর পরিবেশ ও জমকালো আয়োজনের ৭১ টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালা তৃনমুলই বিএনপির চালিকা শক্তি! মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল! মৌলভীবাজার অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে জেল কুলাউড়ায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে ভূমি পুনরায় বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন শ্রীমঙ্গল জাতীয়তাবাদী যুবদল,ছাত্রদল,সেচ্ছাসেবক ও জাসাসের আয়োজনে ঈদ পূনর্মিলনী মৌলভীবাজার ডিবির নতুন ওসি সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য মৌলভীবাজার জেলা জামে মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজের উদ্বোধন কোটচাঁদপুর উপজেলা চত্বরে জাতীয় ফল মেলা ৩ দিনব্যাপী মৌলভীবাজারে জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন

কুলাউড়ায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে ভূমি পুনরায় বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ অভিযানে বসতবাড়ি ভাঙচুর বন্ধ করে উক্ত খাস ভূমি পুনরায় বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

 

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে কর্মধা ইউনিয়নের তুতবাড়ী বাজারে টাট্টিউলী, মুরইছড়া, গণকিয়া, জুগিটিলা, হেবাইরতল, তুতবাড়ীসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক শতাধিক পরিবারের পক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সরকারের কাছে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে কর্মধা ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিপন আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, হারিছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ হেলাল, যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাহির, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুল মুতলিব, পঞ্চায়েত সভাপতি নেছার আহমদ, সমাজসেবক মুসলেম উদ্দিন, ইউনুস মিয়া, যুব সমাজের প্রতিনিধি রিপন আহমদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পুনর্বাসন ছাড়াই বসতবাড়ি ভাঙচুর ও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা এইসব এলাকায় সাড়ে ১৩শ পরিবার বসবাস করছি। আমরা ভূমিহীন, পরিবার পরিজন নিয়ে শত বছর আগে থেকে বসবাস করে আসছি। এই জায়গা ব্রিটিশরা দিয়েছে জমিদারকে আর জমিদারের কাছ থেকে আমাদের পূর্বসুরিরা ক্রয় করে বসবাস করছেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমল, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছি। আমাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মানবিক দিকগুলো বিবেচনায় এনেও আমাদেরকে উক্ত ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে দিন।

স্থানীয় বাসিন্দা হারিছ আলী, জুবায়ের আহমদ হেলাল, লুৎফর রহমান কয়ছর, রিপন আহমদসহ কয়েকজন বলেন, নবাব পরিবারের কাছ থেকে টুকা পারগের মাধ্যমে জায়গার মালিকানা নিশ্চিত হয়ে বসবাস করছি। আমরা সবাই ভূমিহীন। আমরা সরকার থেকে ভোটাধিকার পেয়েছি। আমরা এদেশের নাগরিক। আমরা ভারত বা পাকিস্তান থেকে আসি নাই। এলাকায় শত বছরের পুরনো মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল রয়েছে। আমরা তো রোহিঙ্গা নয়। সরকার তো ৪ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। পাহাড়ে বনবিভাগের হাজার হাজার এক জায়গা খাসিয়া- গারোরা জবর দখল করে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ভূমি উপদেষ্টাসহ জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসিল্যান্ড এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।আমাদেরকে উক্ত ভূমি পুনরায় বন্দোবস্ত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

এলাকাবাসী জানান, গত ১৫ জুন দক্ষিণ টাট্টিউলী গ্রামের কনাই মিয়া (৭৫) বসতবাড়ীর পাকা দেয়াল ভাঙচুর ও গাছপালা কেটে ফেলেছেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। এর পূর্বে গণকিয়া গ্রামে মজমিল মিয়ার বাড়িতে অভিযানে ঘরের টিনের চাল খুলে নেওয়া হয়।

উচ্ছেদের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, আমরা কোনো প্রকৃত ভূমিহীনকে উচ্ছেদ করছি না। বরং যারা প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ধরে সরকারি খাস জমি দখল করে রেখেছেন, তাদের কাছ থেকে এসব জায়গা উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।প্রভাবশালী বিত্তশালীদের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে ভূমি পুনরায় বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১২:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ অভিযানে বসতবাড়ি ভাঙচুর বন্ধ করে উক্ত খাস ভূমি পুনরায় বন্দোবস্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

 

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে কর্মধা ইউনিয়নের তুতবাড়ী বাজারে টাট্টিউলী, মুরইছড়া, গণকিয়া, জুগিটিলা, হেবাইরতল, তুতবাড়ীসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক শতাধিক পরিবারের পক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সরকারের কাছে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে কর্মধা ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিপন আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, হারিছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমদ হেলাল, যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাহির, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুল মুতলিব, পঞ্চায়েত সভাপতি নেছার আহমদ, সমাজসেবক মুসলেম উদ্দিন, ইউনুস মিয়া, যুব সমাজের প্রতিনিধি রিপন আহমদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পুনর্বাসন ছাড়াই বসতবাড়ি ভাঙচুর ও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা এইসব এলাকায় সাড়ে ১৩শ পরিবার বসবাস করছি। আমরা ভূমিহীন, পরিবার পরিজন নিয়ে শত বছর আগে থেকে বসবাস করে আসছি। এই জায়গা ব্রিটিশরা দিয়েছে জমিদারকে আর জমিদারের কাছ থেকে আমাদের পূর্বসুরিরা ক্রয় করে বসবাস করছেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমল, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছি। আমাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মানবিক দিকগুলো বিবেচনায় এনেও আমাদেরকে উক্ত ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে দিন।

স্থানীয় বাসিন্দা হারিছ আলী, জুবায়ের আহমদ হেলাল, লুৎফর রহমান কয়ছর, রিপন আহমদসহ কয়েকজন বলেন, নবাব পরিবারের কাছ থেকে টুকা পারগের মাধ্যমে জায়গার মালিকানা নিশ্চিত হয়ে বসবাস করছি। আমরা সবাই ভূমিহীন। আমরা সরকার থেকে ভোটাধিকার পেয়েছি। আমরা এদেশের নাগরিক। আমরা ভারত বা পাকিস্তান থেকে আসি নাই। এলাকায় শত বছরের পুরনো মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল রয়েছে। আমরা তো রোহিঙ্গা নয়। সরকার তো ৪ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। পাহাড়ে বনবিভাগের হাজার হাজার এক জায়গা খাসিয়া- গারোরা জবর দখল করে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে। আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ভূমি উপদেষ্টাসহ জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসিল্যান্ড এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।আমাদেরকে উক্ত ভূমি পুনরায় বন্দোবস্ত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

এলাকাবাসী জানান, গত ১৫ জুন দক্ষিণ টাট্টিউলী গ্রামের কনাই মিয়া (৭৫) বসতবাড়ীর পাকা দেয়াল ভাঙচুর ও গাছপালা কেটে ফেলেছেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। এর পূর্বে গণকিয়া গ্রামে মজমিল মিয়ার বাড়িতে অভিযানে ঘরের টিনের চাল খুলে নেওয়া হয়।

উচ্ছেদের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, আমরা কোনো প্রকৃত ভূমিহীনকে উচ্ছেদ করছি না। বরং যারা প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ধরে সরকারি খাস জমি দখল করে রেখেছেন, তাদের কাছ থেকে এসব জায়গা উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।প্রভাবশালী বিত্তশালীদের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। অভিযান অব্যাহত থাকবে।