ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি দাঁড়িপাল্লার পক্ষে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার

কুলাউড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী লাপাত্তাঃ বোনকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভাই

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
  • / ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে গত ০৩ জুন থেকে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী জুনাব আলীর স্ত্রী দিলারা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে লাপাত্তা রয়েছে। স্বামীর পরিবারের লোকজন মারপিট করে দিলারা বেগমকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন তার ভাই আব্দুল কালাম।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানাসহ স্থাণীয় লোকজনের কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি বলে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।

আবুল কালাম ওরফে কুটন মিয়া অভিযোগ করেন, তার ছোট বোন দিলারা বেগমের স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকে। তার দুটি ছেলে সন্তান ও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো। তাদের টাকায় বিদেশ যান জুনাব আলী। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পরও যৌতুক চাওয়া বন্ধ হয়নি। এবার পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালায়। পরিকল্পিতভাবে দিলারা বেগমে চরিত্রহীন সাজাতে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও তার স্বামীর কাছে পাঠায়। তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে জুনাব আলী একটি তালাকনামা পাঠায়।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ মে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দিলারা বেগমকে তার ভাশুর (স্বামীর বড় ভাই) আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলীর জিম্মায় রাখা হয়। গত ০৩ জুন রাত ১১ টায় দিলারা বেগমকে মারপিট করে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রাখে। আমি বিষয়টি এলাকার লোকজনকে অবগত করে রাখি এবং কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
পূর্ব টাট্রিউলি এলাকার সাবেক মেম্বার রশিদ মিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি জালাল মিয়া, ইউনুছ মিয়া, জসিম মিয়া সর্দার, আব্দুল হান্নান, মছলু মিয়া ও নজরুল ইসলাম জানান, দিলারা বেগমকে তার ভাশুর (স্বামীর বড় ভাই) আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলীর জিম্মায় রাখা হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। কিন্তু এর আগে হঠাৎ করে গৃহবধু দিলারা বেগমকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি পক্ষ বিষয়টির সমাধান করতে চায় না।

এদিকে অভিযুক্ত আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলী জানান, আমরা আলাদা বাড়িতে থাকি। আমরা জিম্মা নিতে রাজি হইনি। কুটন মিয়া তার বোনকে আত্মগোপন করে রেখেছে। হয়রানি করতে নাটক সাজাচ্ছে। তারা চান, দিলারা বেগমকে উদ্ধার করলে বিষয়টি আসল রহস্য উদঘাটন হবে।

কুলাউড়া থানার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস ঘটনার তদন্ত করেন। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করছি। মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। কোন ক্লুও উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী লাপাত্তাঃ বোনকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভাই

আপডেট সময় ০১:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

কুলাউড়া প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে গত ০৩ জুন থেকে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী জুনাব আলীর স্ত্রী দিলারা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে লাপাত্তা রয়েছে। স্বামীর পরিবারের লোকজন মারপিট করে দিলারা বেগমকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন তার ভাই আব্দুল কালাম।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানাসহ স্থাণীয় লোকজনের কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাননি বলে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।

আবুল কালাম ওরফে কুটন মিয়া অভিযোগ করেন, তার ছোট বোন দিলারা বেগমের স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকে। তার দুটি ছেলে সন্তান ও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো। তাদের টাকায় বিদেশ যান জুনাব আলী। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পরও যৌতুক চাওয়া বন্ধ হয়নি। এবার পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালায়। পরিকল্পিতভাবে দিলারা বেগমে চরিত্রহীন সাজাতে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও তার স্বামীর কাছে পাঠায়। তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে জুনাব আলী একটি তালাকনামা পাঠায়।

বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ মে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দিলারা বেগমকে তার ভাশুর (স্বামীর বড় ভাই) আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলীর জিম্মায় রাখা হয়। গত ০৩ জুন রাত ১১ টায় দিলারা বেগমকে মারপিট করে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রাখে। আমি বিষয়টি এলাকার লোকজনকে অবগত করে রাখি এবং কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
পূর্ব টাট্রিউলি এলাকার সাবেক মেম্বার রশিদ মিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি জালাল মিয়া, ইউনুছ মিয়া, জসিম মিয়া সর্দার, আব্দুল হান্নান, মছলু মিয়া ও নজরুল ইসলাম জানান, দিলারা বেগমকে তার ভাশুর (স্বামীর বড় ভাই) আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলীর জিম্মায় রাখা হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। কিন্তু এর আগে হঠাৎ করে গৃহবধু দিলারা বেগমকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি পক্ষ বিষয়টির সমাধান করতে চায় না।

এদিকে অভিযুক্ত আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলী জানান, আমরা আলাদা বাড়িতে থাকি। আমরা জিম্মা নিতে রাজি হইনি। কুটন মিয়া তার বোনকে আত্মগোপন করে রেখেছে। হয়রানি করতে নাটক সাজাচ্ছে। তারা চান, দিলারা বেগমকে উদ্ধার করলে বিষয়টি আসল রহস্য উদঘাটন হবে।

কুলাউড়া থানার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস ঘটনার তদন্ত করেন। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করছি। মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। কোন ক্লুও উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না।