কুলাউড়ার হাজীপুরে বিএনপির সম্মেলন নিয়ে উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা!

- আপডেট সময় ০১:৫৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / ৭৩ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল আগামী বুধবার (৪ জুন) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে উৎফুল্লতা বিরাজ করছে।
দ্বি-বার্ষিক এই সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার খবরে আরও উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াই হবে জমজমাট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অতীত রাজনৈতিক অবদানের কর্মকাণ্ড নিয়ে চলছে চুলছাঁটা বিশ্লেষণ।
তবে, এর বিপরীতে অনেকে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, অবদান অনেকের আছে। কিন্তু ধারাবাহিকতা নেই। অপর সভাপতি প্রার্থী ফারুক আহমেদ পান্নাও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনিও রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার ধারণা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াইয়ের অভাস পাওয়া গেছে। এ পদে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান হেলাল এবং যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান রুমেনের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে এমন ধারণা কাউন্সিলরদের।
১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজির মিয়া, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মাওলানা নোমান আহমদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মনাফ আলী, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ানিছ আলীসহ অনেকেই জানান, সম্পাদক পদের অপর প্রার্থী জুবেদ আলমের একটা ভোটব্যাংক রয়েছে। বর্তমানে তিনি নিস্ক্রিয় থাকায় তাঁর মতাদর্শী ভোটগুলো হেলালের পক্ষে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল। জুবেদ আলম সমর্থিত বেশ কয়েকজন ভোটার মনিরুজ্জামান হেলালকে ভোট প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি মনিরুজ্জামান হেলাল বিজয়ী হবেন বলেও জোর দাবী করেছেন তারা।
হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, কাউন্সিলরদের অভিমত ভিন্ন ভিন্ন থাকে, সময় সময় তা পরিবর্তনও হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে কে বিজয়ের হাসি হাসবেন কারা পাচ্ছেন আগামী দুইবছরের জন্য হাজীপুর বিএনপির অভিভাবকত্ব সেটা জানার জন্য ৪ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে!
