জানা যায়,দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সারাদেশে দরিদ্র মানুষের মাঝে টিসিবি কার্ড বিতরন করেছেন।
এর ধারাবাহিকতায় কোটচাঁদপুরেও টিসিবি কার্ড বিতরন করা হয়েছে।
তবে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে এ কার্ড বিতরনে। এর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ৭ দপ্তরে আবেদনও করেছেন ভুক্তভোগীরা। যার মধ্যে রয়েছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব,সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ -৩, ঝিনাইদহ দূর্নীতি দমন কর্মকর্তা,জেলার রেব -৬,কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের আব্দুল করিম,আসলাম হোসেন বলেন,সরকার দ্রব্য মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দরিদ্র মানুষের টিসিবি কার্ড দিয়েছেন। সে কার্ড বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ,ইউপির সদস্য ফরিদুল ইসলাম সহ একটি সিন্ডিকেট।
তারা বলেন, চেয়ারম্যানের আপন ভাই মাহফুজুর রহমান,আপন চাচা আব্দুল হামিদ,অপর চাচাত চাচা জাকির হোসেনকে টিসিবির কার্ড দেয়া হয়েছে। যাদের রয়েছে পাকা ভবন,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ওই গ্রামের জায়গা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকদের মধ্যে ৩৫ জনের নামে দেয়া হয়েছে কার্ড।
অন্যদিকে ফ্লাট বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও বহরমপুর গ্রামের ৩০ জন,গালিমপুর গ্রামের ৭/৮ জন,বকশিপুর গ্রামের ১৫/১৬ জনকে টিসিবির কার্ড দেয়া হয়েছে।
অথচ ওই ওয়ার্ডের প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষকে দেয়া হয়নি টিসিবির কার্ড। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন তারা এমন দাবি তাদের। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান (সবুজ) বলেন,এটা ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের ঘটনা।অভিযোগ উঠেছে,আপনারা যাচাই-বাছাই করেন।
একটা পক্ষ তো অভিযোগ করবেই,তারা পেলে হইতো অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রশ্ন উঠতো না।
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,অভিযোগ দিলে দিতে পারেন। আমার ঠিক খেয়াল নাই। তবে ডাক ফাইলে আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখছি। থাকলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হবে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।