ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোটচাঁদপুরে দিনে দুপুরে চুরি ছিনতাইসহ প্রতারক চক্রের প্রতারণার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে এসব ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হলেও ভুক্তভোগীরা পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। অন্যদিকে থানা পুলিশ সব রকম পাওনা টাকা, বিদেশ লোক পাঠানোর অর্থ আদায়, জমি-জমা নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক কলহ, মারামারিসহ ছোট-খাটো অভিযোগের শালিস বিচার নিয়েই পার করছেন সময়। এ সমস্ত শালিস বিচার করার নামেও পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে যথেচ্ছ অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ।

দুবাই ফেরত ফারুক, সুজন, মোশারফ ও সাইফুলের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে প্রবাসী সাইদুর রহমানের শশুর ইসমাইল হোসেনের নামে শালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ২২ সেপ্টেম্বর বিদেশ ফেরত ফারুককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইসমাইল হোসেন ১ লক্ষ টাকা দেবেন। শেষ পর্যন্ত ইসমাইল হোসেন টাকার ব্যবস্থা করতে না পেরে গা ঢাকা দিয়েছেন। ইসমাইল হোসেনের দাবি জামাতা সাইদুর রহমান শশুর বাড়ি এলাকা থেকে ৪ যুবককে দুবাই নিতে তাদের নামে কোম্পানীর বৈধ ভিসা পাঠান। তাদের দুবাই নেবার পর কাজ না করে তারা বাড়ি চলে আসেন। এ অপরাধে জামাতার অবর্তমানে শশুরের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ইসমাইল হোসেনের অভিযোগ এ ৪ জন সহ আরো অনেককেই জামাতা সাইদুর দুবাই নিয়ে গেছেন। অন্যরা কাজ করলেও এ ৪ জন চলে আসেন। এ অপরাধে শশুরকে গুনতে হবে ১ লক্ষ  টাকা। অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাইফুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি কিছুই বলতে পারব না। বিষয়টি পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তদারকি করছেন।

এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হলেও তা প্রতিকারে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। সাম্প্রতিককালে এ থানায় মাদক উদ্ধারের কোন খবরও নেই। এরপরও প্রায়ই চুরি ছিনতাইয়ের মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে চললেও তা বন্ধে নেই থানা পুলিশের নেই কোন ভূমিকা।

আইন শৃঙ্খলা অবনতির ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিনের সাথে কথা হলে ইদানিং চুরি ছিনতাই কিছুটা বেড়ে যাওযার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর ছোট খাটো ঘটনায় অনেকেই অভিযোগ করেন না। ইতোমধ্যেই কিছু চোর ধরা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালও উদ্ধার হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ২০ জুলাই রাতে হোটেল ব্যবসায়ী ফিরোজ আহাম্মেদ বাড়ি ফেরার পথে চাঁদপাড়া গ্রামে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে তার কাছে থাকা ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৭ আগষ্ট বিকালে ভাংড়ী ব্যবসায়ী মোমিন এর কাছ থেকে ব্রীজঘাট এলাকা থেকে ছিনতাইকারীরা ২৭’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৮ আগষ্ট দুপুরে কলেজ বাসষ্ট্যান্ড এলাকার প্রয়াত শিক্ষকের বাড়ী বাপ্পী কটেজের তালা ভেঙে চোরেরা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দায়িত্ব শেষ করেন। ১০ আগষ্ট কলেজ বাসষ্ঠ্যান্ড এলাকার মর্জিনা খাতুন কোটচাঁদপুর হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে এসে ৪ হাজার টাকার চুরি হয়। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা রামচন্দ্রপুর মাঠপাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৭০ হাজার টাকা, স্বর্ণের দুল ও চেইন নিয়ে যায়। এ সময় নুরুল ইসলামের বাড়িতে কোন লোক ছিল না। সন্ধ্যার আগে একই পাড়ার সুলতানের বাড়িতে চোরেরা হানা দেয়। সুলতানের স্ত্রী বুলবুলি আক্তার চোর দেখে চিৎকার শুরু করলে চোর পালিয়ে যায়। পালানোর সময় চোরেরা তাদের একটি মোবাইল ফোন ফেলে যায়। নুরুল ইসলাম থানায় চুরির ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করেন ও ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন থানায় জমা দেন। ওই রাতেই পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের পাকা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জনি (২৫) এর বাড়িতে যায়। জনিকে না পেয়ে পুলিশ বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে থানায় দেখা করার জন্য বলেন। পরদিন ১৬ আগষ্ট জনি কোটচাঁদপুর থানায় আসলে পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। আদালত জনির একদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করে। রিমান্ডে আনার পর সুলতানের স্ত্রী জনিকে চোর শনাক্ত করে। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরিদ নুরুল ইসলামকে জানান, এ চুরির সাথে জনির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। ১৭ আগষ্ট এস আই ফরিদ নুরুল ইসলামের বাড়িতে তদন্তে যান। নুরুল ইসলামের অভিযোগ তদন্তের নামে এস আই ফরিদ তার কাছে টাকা দাবী করেন। তবে তিনি তাকে কোন টাকা দেননি বলে জানিয়েছেন। ৭ জুলাই লক্ষীকুন্ডু গ্রামের নজরুল ইসলামের একটি সিটি-১০০, একই গ্রামের মন্ডল পাড়ার আলম মন্ডলের ডিসকভার-১০০ মটর সাইকেল চুরি হয়। ১ আগষ্ট বিকালে রাঙ্গীয়ারপোতায় রাসেল নামে এক ব্যবসায়ীর হিরো হাংক ১৫০ সিসি মটর সাইকেল, ৭ আগষ্ট শ্রীরামপুর গ্রামের হামিদুর রহমানের পালসার মটর সাইকেল চুরি হয়েছে। ৮ আগষ্ট মামুনসিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ডিসকভার-১২৫ সিসি মটর সাইকেল,  ১৩ আগষ্ট দুপুরে হরিন্দীয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা মন্টুর ডিসকভার-১২৫ সিসি চুরি হয়। ১৭ আগষ্ট কোটচাঁদপুর ফিলিং স্টেশন নামে একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ঝিনাইদহ-ট-১১-১০২১ একটি ট্রাক চুরি হয়। এরপর ৫ দিন পর চুরি হওয়া ট্রাকটি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা একটি রাস্তার পাশ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। চোরেরা ৪টি টায়ারসহ খুচরা যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। একই দিনে শহরের সিনেমা হল পাড়ার শিক্ষক আবির হোসেন ডিসকভার-১২৫ সিসি চুরি হয়, ২৯ আগষ্ট শহরের ব্রীজঘাট এলাকা থেকে যাত্রী সেজে প্রতারক চক্র একটি ইজিবাইক নিয়ে যায়। ৩১ আগষ্ট তালসার আশ্রম থেকে আতিয়ারের ব্যাটারী চালিত ভ্যান যাত্রীবেশে ভাড়া করে পথিমধ্যে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ১ সেপ্টেম্বর তালসারের ঘাগা গ্রামের আবু বকরের ব্যাটারী চালিত ভ্যান সন্ধ্যার দিকে আশ্রম এলাকা থেকে ছিনতাই হয়। এছাড়া মাছ বাজার, হাসপাতাল বিভিন্ন মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টারসহ শহরের বিভিন্ন জনসমাগম স্থল থেকে সাইকেলের পাশাপাশি ভ্যানও চুরির ঘটনা ঘটছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় ০৫:১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোটচাঁদপুরে দিনে দুপুরে চুরি ছিনতাইসহ প্রতারক চক্রের প্রতারণার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে এসব ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হলেও ভুক্তভোগীরা পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। অন্যদিকে থানা পুলিশ সব রকম পাওনা টাকা, বিদেশ লোক পাঠানোর অর্থ আদায়, জমি-জমা নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক কলহ, মারামারিসহ ছোট-খাটো অভিযোগের শালিস বিচার নিয়েই পার করছেন সময়। এ সমস্ত শালিস বিচার করার নামেও পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে যথেচ্ছ অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ।

দুবাই ফেরত ফারুক, সুজন, মোশারফ ও সাইফুলের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে প্রবাসী সাইদুর রহমানের শশুর ইসমাইল হোসেনের নামে শালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ২২ সেপ্টেম্বর বিদেশ ফেরত ফারুককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ইসমাইল হোসেন ১ লক্ষ টাকা দেবেন। শেষ পর্যন্ত ইসমাইল হোসেন টাকার ব্যবস্থা করতে না পেরে গা ঢাকা দিয়েছেন। ইসমাইল হোসেনের দাবি জামাতা সাইদুর রহমান শশুর বাড়ি এলাকা থেকে ৪ যুবককে দুবাই নিতে তাদের নামে কোম্পানীর বৈধ ভিসা পাঠান। তাদের দুবাই নেবার পর কাজ না করে তারা বাড়ি চলে আসেন। এ অপরাধে জামাতার অবর্তমানে শশুরের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ইসমাইল হোসেনের অভিযোগ এ ৪ জন সহ আরো অনেককেই জামাতা সাইদুর দুবাই নিয়ে গেছেন। অন্যরা কাজ করলেও এ ৪ জন চলে আসেন। এ অপরাধে শশুরকে গুনতে হবে ১ লক্ষ  টাকা। অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাইফুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি কিছুই বলতে পারব না। বিষয়টি পুলিশের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা তদারকি করছেন।

এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হলেও তা প্রতিকারে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। সাম্প্রতিককালে এ থানায় মাদক উদ্ধারের কোন খবরও নেই। এরপরও প্রায়ই চুরি ছিনতাইয়ের মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে চললেও তা বন্ধে নেই থানা পুলিশের নেই কোন ভূমিকা।

আইন শৃঙ্খলা অবনতির ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিনের সাথে কথা হলে ইদানিং চুরি ছিনতাই কিছুটা বেড়ে যাওযার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর ছোট খাটো ঘটনায় অনেকেই অভিযোগ করেন না। ইতোমধ্যেই কিছু চোর ধরা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালও উদ্ধার হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ২০ জুলাই রাতে হোটেল ব্যবসায়ী ফিরোজ আহাম্মেদ বাড়ি ফেরার পথে চাঁদপাড়া গ্রামে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে তার কাছে থাকা ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৭ আগষ্ট বিকালে ভাংড়ী ব্যবসায়ী মোমিন এর কাছ থেকে ব্রীজঘাট এলাকা থেকে ছিনতাইকারীরা ২৭’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৮ আগষ্ট দুপুরে কলেজ বাসষ্ট্যান্ড এলাকার প্রয়াত শিক্ষকের বাড়ী বাপ্পী কটেজের তালা ভেঙে চোরেরা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দায়িত্ব শেষ করেন। ১০ আগষ্ট কলেজ বাসষ্ঠ্যান্ড এলাকার মর্জিনা খাতুন কোটচাঁদপুর হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে এসে ৪ হাজার টাকার চুরি হয়। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা রামচন্দ্রপুর মাঠপাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৭০ হাজার টাকা, স্বর্ণের দুল ও চেইন নিয়ে যায়। এ সময় নুরুল ইসলামের বাড়িতে কোন লোক ছিল না। সন্ধ্যার আগে একই পাড়ার সুলতানের বাড়িতে চোরেরা হানা দেয়। সুলতানের স্ত্রী বুলবুলি আক্তার চোর দেখে চিৎকার শুরু করলে চোর পালিয়ে যায়। পালানোর সময় চোরেরা তাদের একটি মোবাইল ফোন ফেলে যায়। নুরুল ইসলাম থানায় চুরির ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করেন ও ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন থানায় জমা দেন। ওই রাতেই পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের পাকা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জনি (২৫) এর বাড়িতে যায়। জনিকে না পেয়ে পুলিশ বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে থানায় দেখা করার জন্য বলেন। পরদিন ১৬ আগষ্ট জনি কোটচাঁদপুর থানায় আসলে পুলিশ তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। আদালত জনির একদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করে। রিমান্ডে আনার পর সুলতানের স্ত্রী জনিকে চোর শনাক্ত করে। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরিদ নুরুল ইসলামকে জানান, এ চুরির সাথে জনির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। ১৭ আগষ্ট এস আই ফরিদ নুরুল ইসলামের বাড়িতে তদন্তে যান। নুরুল ইসলামের অভিযোগ তদন্তের নামে এস আই ফরিদ তার কাছে টাকা দাবী করেন। তবে তিনি তাকে কোন টাকা দেননি বলে জানিয়েছেন। ৭ জুলাই লক্ষীকুন্ডু গ্রামের নজরুল ইসলামের একটি সিটি-১০০, একই গ্রামের মন্ডল পাড়ার আলম মন্ডলের ডিসকভার-১০০ মটর সাইকেল চুরি হয়। ১ আগষ্ট বিকালে রাঙ্গীয়ারপোতায় রাসেল নামে এক ব্যবসায়ীর হিরো হাংক ১৫০ সিসি মটর সাইকেল, ৭ আগষ্ট শ্রীরামপুর গ্রামের হামিদুর রহমানের পালসার মটর সাইকেল চুরি হয়েছে। ৮ আগষ্ট মামুনসিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ডিসকভার-১২৫ সিসি মটর সাইকেল,  ১৩ আগষ্ট দুপুরে হরিন্দীয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা মন্টুর ডিসকভার-১২৫ সিসি চুরি হয়। ১৭ আগষ্ট কোটচাঁদপুর ফিলিং স্টেশন নামে একটি পেট্রোল পাম্প থেকে ঝিনাইদহ-ট-১১-১০২১ একটি ট্রাক চুরি হয়। এরপর ৫ দিন পর চুরি হওয়া ট্রাকটি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা একটি রাস্তার পাশ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। চোরেরা ৪টি টায়ারসহ খুচরা যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। একই দিনে শহরের সিনেমা হল পাড়ার শিক্ষক আবির হোসেন ডিসকভার-১২৫ সিসি চুরি হয়, ২৯ আগষ্ট শহরের ব্রীজঘাট এলাকা থেকে যাত্রী সেজে প্রতারক চক্র একটি ইজিবাইক নিয়ে যায়। ৩১ আগষ্ট তালসার আশ্রম থেকে আতিয়ারের ব্যাটারী চালিত ভ্যান যাত্রীবেশে ভাড়া করে পথিমধ্যে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ১ সেপ্টেম্বর তালসারের ঘাগা গ্রামের আবু বকরের ব্যাটারী চালিত ভ্যান সন্ধ্যার দিকে আশ্রম এলাকা থেকে ছিনতাই হয়। এছাড়া মাছ বাজার, হাসপাতাল বিভিন্ন মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টারসহ শহরের বিভিন্ন জনসমাগম স্থল থেকে সাইকেলের পাশাপাশি ভ্যানও চুরির ঘটনা ঘটছে।