কোটচাঁদপুরে ঋণ প্রদান কারি প্রতিষ্ঠানের কারসাজি বেকায়দায় স্কুল শিক্ষক খাইরুল ইসলাম
- আপডেট সময় ১১:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মঈন উদ্দিন খান; কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক ও কর্মচারী কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ’র কাছ থেতে ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক স্কুল শিক্ষক। উপজেলার কাগমারী বারোমাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাইরুল ইসলাম জানান শিক্ষক ও কর্মচারী কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ’র কাছ থেকে তিনি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার সময় ঋণ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি কালে স্টাম্পের সাথে ২টি ফাকা চেক সংযুক্ত করা হয়। যার নম্বর যথাক্রমে ১৭৫৮৪৯৯ ও ১৭৫৮৫০০। ২০২১ সালে ২২ জুন ঋণ নেওয়ার পরে নানা কারণে শিক্ষক খাইরুল ইসলাম ঋণের টাকা শোধ করতে ব্যার্থ হন। যে কারণে খাইরুল ইসলামের নামে চুক্তি পত্রের সাথে দেওয়া প্রথম চেক ১৭৫৮৪৯৯ ডিজঅনার মামলা করেন। এ মামলায় খাইরুল ইসলাম ৫লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ২লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা আদালোতে জমা দিয়ে জামিনে রয়েছেন । তার অভিযোগ ঋণ প্রদান কারি প্রতিষ্ঠান ষড়যন্ত্র করে ২ নম্বর চেকটি ১৭৫৮৫০০ নাছির উদ্দিন লিয়ন নামে এক ব্যবসায়ীর কাচে চেকটি হস্তান্তর করে। চেকটি নেওয়ার পর নাছির উদ্দিন লিয়ন গত ২১ আক্টোবর ইসলামি ব্যাংক মিরপুর ১নং ঢাকা শাখায় ৩০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার করেন। সাথে সাথে তিনি ২৩ আক্টোবর এ টাকা পরিশেধের জন্য শিক্ষক খাইরুল ইসলামের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ পেয়ে খাইরুল ইসলাম ২৪ আক্টোবর ঝিনাইদহ আতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে চেক উদ্ধারের মামলা করেন। উক্ত মামলায় ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন লিয়নসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক ও কর্মচারি কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ’র সভাপতি মাষ্টার মোশারেফ হোসেন ও ম্যানেজার রাইসুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশে গত ৩০ আক্টোবর কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ চেক উদ্ধারের জন্য ঋণ প্রদান কারি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে পুলিশ জানিছে তারা কোন চেক উদ্ধার করতে পারেনি। শিক্ষক খাইরুল ইসলাম বলছেন শিক্ষক কর্মচারীদেও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে গভির ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছ।




















