ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বড়লেখায় নারী শিক্ষা কলেজে অভিভাবক নির্বাচন: বিএনপি পেল ২,জামায়াত -১ বড়লেখায় গ্রেফতার -২ লুটকৃত মোবাইল ও নগদ অর্থ উদ্ধার আনন্দ মিছিল ও মোটরসাইকেল র‍্যালির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ মৌলভীবাজার জেলা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের হাসপাতাল ও একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর চা বাগান লেক থেকে বৃদ্ধার লা/শ উ/দ্ধা/র অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী মৌলভীবাজারে মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জুড়ীতে দক্ষিণ বড়ধামাইয়ের একমাত্র সড়ক এখন মরণফাঁদ — দুর্ভোগে শতাধিক পরিবা মামুনুল হক’কে নিয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে খেলাফত যুব মজলিস বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমেদ শাহীনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তরুণ প্রজন্ম দল

কোটচাঁদপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

মঈন উদ্দীন: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের এন.কে.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরিক্ষার্থী সহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের দাবী ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে আসায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পৌর শহরের নওদাগা-কাশিপুর-রাঙ্গিয়ারপোতা (এন.কে.আর) বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাস রুমে আসে।

এসময় তাদের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এবং মৌখিক ভাবে তাদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এমনকি স্কুলে আসলে পুলিশে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। (আজ) মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীরা পূনরায় স্কুলে আসলে,তাদের কে বাহিরে রোদের মধ্যে দাঁড়ান করিয়ে রাখা হয়। পরবর্তিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকারিয়া হোসেনের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি স্টোর রুমে আটকে রাখেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এরপরও তারা মোবাইল নিয়ে ক্লাসে আসে। পরে শাস্তিমূলক তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু শিক্ষার্থী দুই শিক্ষকের মোটরসাইলের ছিট কেটে গাড়ির প্লাগের তার কেটে দেয়। এবং ওয়াটার রুমের বেসিন উল্টে রাখে। মঙ্গলবার সেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা কিছু জানি না। এঘটনায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রতন মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা নিষেধ। কিন্তু তাদেরকে আটকে রাখা ঠিক হয়নি। ঘটনাটি আমি জানি না! খোঁজ নিয়ে দেখছি।

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৪৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

মঈন উদ্দীন: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের এন.কে.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরিক্ষার্থী সহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের স্টোর রুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের দাবী ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে আসায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার পৌর শহরের নওদাগা-কাশিপুর-রাঙ্গিয়ারপোতা (এন.কে.আর) বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাস রুমে আসে।

এসময় তাদের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এবং মৌখিক ভাবে তাদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এমনকি স্কুলে আসলে পুলিশে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। (আজ) মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীরা পূনরায় স্কুলে আসলে,তাদের কে বাহিরে রোদের মধ্যে দাঁড়ান করিয়ে রাখা হয়। পরবর্তিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকারিয়া হোসেনের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি স্টোর রুমে আটকে রাখেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। এরপরও তারা মোবাইল নিয়ে ক্লাসে আসে। পরে শাস্তিমূলক তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু শিক্ষার্থী দুই শিক্ষকের মোটরসাইলের ছিট কেটে গাড়ির প্লাগের তার কেটে দেয়। এবং ওয়াটার রুমের বেসিন উল্টে রাখে। মঙ্গলবার সেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা কিছু জানি না। এঘটনায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রতন মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা নিষেধ। কিন্তু তাদেরকে আটকে রাখা ঠিক হয়নি। ঘটনাটি আমি জানি না! খোঁজ নিয়ে দেখছি।