ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । কাজ শেষ না করেও প্রত্যয়ন নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। প্রত্যয়ন দিয়ে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগও রয়েছে প্রকৌশলী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়,২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কোটচাঁদপুর উপজেলার ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্ধ পান।
যার মধ্যে রয়েছে,কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়,বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম কাগমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দুতিয়ার কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,গুড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইকড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়গুলো ভ্যাট আইটি কেটে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। যা দিয়ে তারা কাজগুলো করেছেন। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে  ৫ টি  বিদ্যালয় কাজ শেষ করে বিল তুলতে পেরেছেন।
তবে প্রত্যায়ন নিয়েও বিল তুলতে পারেননি ২ টি বিদ্যালয়। এরমধ্যে কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও দক্ষিণ বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও কাজ শেষ না করেও প্রত্যায়ন নিয়ে বিল তুলেছেন বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিকে আটকে গেছেন কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজিনা খাতুন বলেন,সামান্য একটু কাজ বাকি ছিল। এ কারনে প্রত্যয়ন নিয়ে বিল তুলেছি। অফিস ম্যানেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তাদের তেমন কোন টাকা দেয়নি। বিদ্যালয়ে এসেছিল, তাই তেল খরচ দিয়ে ছিলাম।
কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধা রানী বলেন,আপনারা বোঝেন তো অফিস কে কিছু দিতেই হয়। তবে তিনি কত দিয়েছেন সেটা এ প্রতিবেদককে পরে বললেন বলে জানান।
সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম খাতুন বলেন,আমি টাকা দিচ্ছিলাম না। সবার শেষে ১ হাজার ১ হাজার টাকা দিয়েছি।আর প্রক্কলন তৈরির জন্য অফিস কে ৫ শ টাকারদিয়েছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত কুমার কুন্ডু বলেন,জুন মাস হওয়ায় আমি বিদ্যালয় গুলোয় যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমার এসও ও সার্ভেয়ার বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করে,আমাকে এসে বলেছেন সব কিছু ওকে আছে। এরপর প্রত্যয়ন দেয়া হয়েছে।  তবে সবগুলো বিদ্যালয়ের দেয়া হয়েছে  কিনা সেটা আমাকে দেখে বলতে হবে।
প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে প্রত্যয়ন নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এতে আর ম্যানেজের কি আছে।
 তিনি  বলেন, আপনারা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটা আমি স্বরজমিনে গিয়ে দেখছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,২০২৩/২৪ অর্থ বছরে এ উপজেলার ৮ টি বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২ টি বিদ্যালয়ের আংশিক কাজ বাকি ছিল,যেটা আমি দেখে ছিলাম।
তবে আমার পরিদর্শনের আগেই তারা অফিস থেকে প্রত্যায়ন নিয়েছেন ওই কাজের। আর দক্ষিণ বলুহরের কাজ ভাল না করেও প্রত্যায়ন নিয়েছেন। তবে তাঁর বিল আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন টাকার তুলনায় বেশি কাজ করেছেন। যা তিনি নিজের পকেট থেকে খরচ করেছে ন।  তবে কাজের মান ভাল না করা পর্যন্ত বিল ছাড় করা হবে না।
তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনের সময় জানতে পারলাম,শিক্ষকরা ইঞ্জিনিয়ার অফিসকে ম্যানেজ করে প্রত্যয়ন নিয়েছেন। আমি শিক্ষকদের বলেছিলাম তারা তো কোন কাজ করে নাই,কেন তাদেরকে ৪ হাজার ২ হাজার করে টাকা দিবেন। তারা আসলে তেৱ খরচের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে পারেন। ওনারা আমাকে না জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ৪ হাজার ও হিসাব রক্ষন অফিসকে ২ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মের মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আপডেট সময় ১০:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  কোটচাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । কাজ শেষ না করেও প্রত্যয়ন নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। প্রত্যয়ন দিয়ে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগও রয়েছে প্রকৌশলী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়,২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কোটচাঁদপুর উপজেলার ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্ধ পান।
যার মধ্যে রয়েছে,কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণ বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়,বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম কাগমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দুতিয়ার কুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,গুড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইকড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়গুলো ভ্যাট আইটি কেটে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। যা দিয়ে তারা কাজগুলো করেছেন। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে  ৫ টি  বিদ্যালয় কাজ শেষ করে বিল তুলতে পেরেছেন।
তবে প্রত্যায়ন নিয়েও বিল তুলতে পারেননি ২ টি বিদ্যালয়। এরমধ্যে কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও দক্ষিণ বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও কাজ শেষ না করেও প্রত্যায়ন নিয়ে বিল তুলেছেন বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিকে আটকে গেছেন কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে বহিরগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজিনা খাতুন বলেন,সামান্য একটু কাজ বাকি ছিল। এ কারনে প্রত্যয়ন নিয়ে বিল তুলেছি। অফিস ম্যানেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তাদের তেমন কোন টাকা দেয়নি। বিদ্যালয়ে এসেছিল, তাই তেল খরচ দিয়ে ছিলাম।
কোটচাঁদপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধা রানী বলেন,আপনারা বোঝেন তো অফিস কে কিছু দিতেই হয়। তবে তিনি কত দিয়েছেন সেটা এ প্রতিবেদককে পরে বললেন বলে জানান।
সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম খাতুন বলেন,আমি টাকা দিচ্ছিলাম না। সবার শেষে ১ হাজার ১ হাজার টাকা দিয়েছি।আর প্রক্কলন তৈরির জন্য অফিস কে ৫ শ টাকারদিয়েছি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত কুমার কুন্ডু বলেন,জুন মাস হওয়ায় আমি বিদ্যালয় গুলোয় যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমার এসও ও সার্ভেয়ার বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করে,আমাকে এসে বলেছেন সব কিছু ওকে আছে। এরপর প্রত্যয়ন দেয়া হয়েছে।  তবে সবগুলো বিদ্যালয়ের দেয়া হয়েছে  কিনা সেটা আমাকে দেখে বলতে হবে।
প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে প্রত্যয়ন নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,এতে আর ম্যানেজের কি আছে।
 তিনি  বলেন, আপনারা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটা আমি স্বরজমিনে গিয়ে দেখছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,২০২৩/২৪ অর্থ বছরে এ উপজেলার ৮ টি বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২ টি বিদ্যালয়ের আংশিক কাজ বাকি ছিল,যেটা আমি দেখে ছিলাম।
তবে আমার পরিদর্শনের আগেই তারা অফিস থেকে প্রত্যায়ন নিয়েছেন ওই কাজের। আর দক্ষিণ বলুহরের কাজ ভাল না করেও প্রত্যায়ন নিয়েছেন। তবে তাঁর বিল আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন টাকার তুলনায় বেশি কাজ করেছেন। যা তিনি নিজের পকেট থেকে খরচ করেছে ন।  তবে কাজের মান ভাল না করা পর্যন্ত বিল ছাড় করা হবে না।
তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনের সময় জানতে পারলাম,শিক্ষকরা ইঞ্জিনিয়ার অফিসকে ম্যানেজ করে প্রত্যয়ন নিয়েছেন। আমি শিক্ষকদের বলেছিলাম তারা তো কোন কাজ করে নাই,কেন তাদেরকে ৪ হাজার ২ হাজার করে টাকা দিবেন। তারা আসলে তেৱ খরচের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে পারেন। ওনারা আমাকে না জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ৪ হাজার ও হিসাব রক্ষন অফিসকে ২ হাজার করে টাকা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মের মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।