ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরে প্রেমিকার বাড়িতে নিয়ে প্রেমিককে কুপিয়ে আহত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৩৪ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়িতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন প্রেমিক। অভিভাবকের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই প্রেমিক।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের আলোকদিয়া গ্রামে। ওই ঘটনায় স্থানীয় থানায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রাম। ওই গ্রামের বকুলের মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে তুষারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুই জনই অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাদের এ সম্পর্ক মেনে না নিয়ে ছেলেকে শায়েস্তা করতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় মেয়েকে দিয়ে। এরপর তাকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেন মাথায়,দুই হাতে,পিঠে। এতে করে গুরুতর আহত হন তুষার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
যশোর হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে দেখার পর তুষার কে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুষারের মা রেহানা খাতুন। তিনি বলেন,ছেলে মেয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তারা এক সঙ্গে লেখা পড়াও করেন ছোট থেকে। শুক্রবার রাতে বকুল তার মেয়েকে দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আমার ছেলেকে ধারালো দা দিয়ে সারা শরীল কুপিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমার ছেলে কে মেরে ফেলার। আমি তাদের বিচার চাই।
তিনি বলেন,ওই ঘটনার পর ছেলেকে প্রথমে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে যশোর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা দেখে ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার ছেলে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী জামাল হোসেন বলেন,ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি জানতে পারলাম তাদের বিয়েও হয়ে গেছে। তবে মেয়ে পক্ষ মেনে নেয়নি। শুক্রবার রাতে ওই ছেলে কে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর মেয়েকে দিয়ে। এরপর তাকে মেরে আহত করেছেন।
মেয়ের চাচা অহেদুল ইসলাম বলেন, ওই ছেলে মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে গ্রামে কয়েক বার বিচার শালিশও হয়েছে।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে জানতে পারলাম ওই ছেলেকে রাতে ডেকে নিয়ে আসে বাড়িতে। এরপর তারা তাকে মেরে আহত করেন। ওই ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, ওই সময় আমার জরুরি ডিউটি চলছিল। তারা এসে অভিযোগ করার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন,বকুল হোসেনের মেয়ের সঙ্গে তুষারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা ওই মেয়ের পিতা মেনে নেয়নি। শুক্রবার রাতে তাঁর মেয়েকে দিয়ে তুষার কে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মেরে জখম করেছেন। ওই ঘটনায়  ছেলে পক্ষও রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুরে প্রেমিকার বাড়িতে নিয়ে প্রেমিককে কুপিয়ে আহত

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়িতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন প্রেমিক। অভিভাবকের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই প্রেমিক।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের আলোকদিয়া গ্রামে। ওই ঘটনায় স্থানীয় থানায় উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রাম। ওই গ্রামের বকুলের মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে তুষারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুই জনই অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাদের এ সম্পর্ক মেনে না নিয়ে ছেলেকে শায়েস্তা করতে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় মেয়েকে দিয়ে। এরপর তাকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেন মাথায়,দুই হাতে,পিঠে। এতে করে গুরুতর আহত হন তুষার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
যশোর হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে দেখার পর তুষার কে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুষারের মা রেহানা খাতুন। তিনি বলেন,ছেলে মেয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তারা এক সঙ্গে লেখা পড়াও করেন ছোট থেকে। শুক্রবার রাতে বকুল তার মেয়েকে দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আমার ছেলেকে ধারালো দা দিয়ে সারা শরীল কুপিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমার ছেলে কে মেরে ফেলার। আমি তাদের বিচার চাই।
তিনি বলেন,ওই ঘটনার পর ছেলেকে প্রথমে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে যশোর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা দেখে ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার ছেলে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী জামাল হোসেন বলেন,ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি জানতে পারলাম তাদের বিয়েও হয়ে গেছে। তবে মেয়ে পক্ষ মেনে নেয়নি। শুক্রবার রাতে ওই ছেলে কে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর মেয়েকে দিয়ে। এরপর তাকে মেরে আহত করেছেন।
মেয়ের চাচা অহেদুল ইসলাম বলেন, ওই ছেলে মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে গ্রামে কয়েক বার বিচার শালিশও হয়েছে।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে জানতে পারলাম ওই ছেলেকে রাতে ডেকে নিয়ে আসে বাড়িতে। এরপর তারা তাকে মেরে আহত করেন। ওই ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে বাড়িতে দেখা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, ওই সময় আমার জরুরি ডিউটি চলছিল। তারা এসে অভিযোগ করার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন,বকুল হোসেনের মেয়ের সঙ্গে তুষারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা ওই মেয়ের পিতা মেনে নেয়নি। শুক্রবার রাতে তাঁর মেয়েকে দিয়ে তুষার কে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে মেরে জখম করেছেন। ওই ঘটনায়  ছেলে পক্ষও রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।