ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে প্রবাসীদের অর্থায়নে গেইট স্থাপন চাঁদা নিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আটক ৫ শেখ মোঃ আতিকুর রহমানকে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন

কোটচাঁদপুর কাঠের তৈরী শিল্পকর্ম 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯২৯ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মনের ভিতরের ছবি গুলো কাঠের মাধ্যমে গড়ে চলেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি আপন মনে এ শিল্পকর্মটি করছেন কোটচাঁদপুরের খন্দকারপাড়ার নিজ বাড়িতেই।গড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে কয়েকটি শেষ হলেও চলমান রয়েছে বেশ কয়েকটি। মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া কাঠের শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা আছে জানিয়েছেন ওইশিল্পী।
জানা যায়, গরুর ফার্ম,তেলের ব্যবসা সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম। করোনা মহামারিতে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। প্রায় লোকসান হচ্ছিল। এ কারনে অবসরে যাবার পরের কাজটি শুরু করেছেন তিনি। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও, মনের ভিতরের ছবিগুলো কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন তিনি। আর এ কাজটি করছেন নিজ বাড়িতেই কাঠ দিয়ে গড়া ছোট একটি ঘরে।
ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি শিল্পকর্ম শেষ করেছেন। যা মানুষের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে,মাঠ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন গাছি,ঈগল পাখি,বগ পাখি। চলমান রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি শিল্প কর্ম। যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একটি বড় শিল্পকর্ম।
তিনি বলেন, সব কিছু একটা ছক ছিল আমার। জীবনের একটা সময় আমি অবসরে যাব। ওই সময় এ কাজগুলো করব। তবে করোনার কারনে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অবসরের আগেই জীবনে অবসর চলে এসেছে।
তিনি বলেন,আমি শারিরীক ভাবে একটু অসুস্থ্য। এ কারনে করোনার ভিতর বাইরে যায় না। এ ছাড়া শিল্প কর্ম আমার ভিতরে ছোট বেলা থেকে ছিল। সেটাই করার চেষ্টা করছি। কাজ করে যাচ্ছি,যদি ভাল কিছু করতে পারি। তাহলে তো একটা ভাল কিছু আশা করতেই পারি।
এ শিল্প কর্মগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা রয়েছে আমার।
ঝিনু জানান,অনেক আগে থেকে ফলের বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এ কারনে আম আর লিচুর বাগান আছে ৩০ বিঘা। যা থেকে চলে আমার জীবিকা। শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,এ কাজগুলো করতে কিছু কাঠ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর কিছু কাঠ আমার বাগান থেকে কাটা হয়েছে। একটা শিল্প কর্ম শেষ করতে প্রায় ৫/৭ হাজার টাকার ব্যয় হয়েছে
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুর কাঠের তৈরী শিল্পকর্ম 

আপডেট সময় ০৮:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মনের ভিতরের ছবি গুলো কাঠের মাধ্যমে গড়ে চলেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি আপন মনে এ শিল্পকর্মটি করছেন কোটচাঁদপুরের খন্দকারপাড়ার নিজ বাড়িতেই।গড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে কয়েকটি শেষ হলেও চলমান রয়েছে বেশ কয়েকটি। মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া কাঠের শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা আছে জানিয়েছেন ওইশিল্পী।
জানা যায়, গরুর ফার্ম,তেলের ব্যবসা সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম। করোনা মহামারিতে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। প্রায় লোকসান হচ্ছিল। এ কারনে অবসরে যাবার পরের কাজটি শুরু করেছেন তিনি। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও, মনের ভিতরের ছবিগুলো কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন তিনি। আর এ কাজটি করছেন নিজ বাড়িতেই কাঠ দিয়ে গড়া ছোট একটি ঘরে।
ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি শিল্পকর্ম শেষ করেছেন। যা মানুষের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে,মাঠ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন গাছি,ঈগল পাখি,বগ পাখি। চলমান রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি শিল্প কর্ম। যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একটি বড় শিল্পকর্ম।
তিনি বলেন, সব কিছু একটা ছক ছিল আমার। জীবনের একটা সময় আমি অবসরে যাব। ওই সময় এ কাজগুলো করব। তবে করোনার কারনে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অবসরের আগেই জীবনে অবসর চলে এসেছে।
তিনি বলেন,আমি শারিরীক ভাবে একটু অসুস্থ্য। এ কারনে করোনার ভিতর বাইরে যায় না। এ ছাড়া শিল্প কর্ম আমার ভিতরে ছোট বেলা থেকে ছিল। সেটাই করার চেষ্টা করছি। কাজ করে যাচ্ছি,যদি ভাল কিছু করতে পারি। তাহলে তো একটা ভাল কিছু আশা করতেই পারি।
এ শিল্প কর্মগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা রয়েছে আমার।
ঝিনু জানান,অনেক আগে থেকে ফলের বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এ কারনে আম আর লিচুর বাগান আছে ৩০ বিঘা। যা থেকে চলে আমার জীবিকা। শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,এ কাজগুলো করতে কিছু কাঠ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর কিছু কাঠ আমার বাগান থেকে কাটা হয়েছে। একটা শিল্প কর্ম শেষ করতে প্রায় ৫/৭ হাজার টাকার ব্যয় হয়েছে