ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী সেং কুটস্নেম উৎসব মাথা গরম করে রাজনীতি করা চলবে না যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক সভাপতি…..মাহিদুর রহমান যুবদল নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার বাঁচানো গেল না সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কলেজছাত্রী রিমিকে নাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ঢাকা থেকে ৬ জন গ্রেফতার খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কুশল বিনিময় কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে বৃটেন প্রবাসী মাফিকুর রাজার সংবাদ সম্মেলন বিসমিল্লাহ ইউকে চ্যারিটি সংস্থা উদ্যোগ গভীর নলকূপ প্রদান

কোটচাঁদপুর কাঠের তৈরী শিল্পকর্ম 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৮১৫ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মনের ভিতরের ছবি গুলো কাঠের মাধ্যমে গড়ে চলেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি আপন মনে এ শিল্পকর্মটি করছেন কোটচাঁদপুরের খন্দকারপাড়ার নিজ বাড়িতেই।গড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে কয়েকটি শেষ হলেও চলমান রয়েছে বেশ কয়েকটি। মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া কাঠের শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা আছে জানিয়েছেন ওইশিল্পী।
জানা যায়, গরুর ফার্ম,তেলের ব্যবসা সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম। করোনা মহামারিতে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। প্রায় লোকসান হচ্ছিল। এ কারনে অবসরে যাবার পরের কাজটি শুরু করেছেন তিনি। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও, মনের ভিতরের ছবিগুলো কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন তিনি। আর এ কাজটি করছেন নিজ বাড়িতেই কাঠ দিয়ে গড়া ছোট একটি ঘরে।
ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি শিল্পকর্ম শেষ করেছেন। যা মানুষের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে,মাঠ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন গাছি,ঈগল পাখি,বগ পাখি। চলমান রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি শিল্প কর্ম। যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একটি বড় শিল্পকর্ম।
তিনি বলেন, সব কিছু একটা ছক ছিল আমার। জীবনের একটা সময় আমি অবসরে যাব। ওই সময় এ কাজগুলো করব। তবে করোনার কারনে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অবসরের আগেই জীবনে অবসর চলে এসেছে।
তিনি বলেন,আমি শারিরীক ভাবে একটু অসুস্থ্য। এ কারনে করোনার ভিতর বাইরে যায় না। এ ছাড়া শিল্প কর্ম আমার ভিতরে ছোট বেলা থেকে ছিল। সেটাই করার চেষ্টা করছি। কাজ করে যাচ্ছি,যদি ভাল কিছু করতে পারি। তাহলে তো একটা ভাল কিছু আশা করতেই পারি।
এ শিল্প কর্মগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা রয়েছে আমার।
ঝিনু জানান,অনেক আগে থেকে ফলের বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এ কারনে আম আর লিচুর বাগান আছে ৩০ বিঘা। যা থেকে চলে আমার জীবিকা। শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,এ কাজগুলো করতে কিছু কাঠ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর কিছু কাঠ আমার বাগান থেকে কাটা হয়েছে। একটা শিল্প কর্ম শেষ করতে প্রায় ৫/৭ হাজার টাকার ব্যয় হয়েছে
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুর কাঠের তৈরী শিল্পকর্ম 

আপডেট সময় ০৮:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ঃ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মনের ভিতরের ছবি গুলো কাঠের মাধ্যমে গড়ে চলেছেন কাজী মনিরুল ইসলাম। তিনি আপন মনে এ শিল্পকর্মটি করছেন কোটচাঁদপুরের খন্দকারপাড়ার নিজ বাড়িতেই।গড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম। এর মধ্যে কয়েকটি শেষ হলেও চলমান রয়েছে বেশ কয়েকটি। মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া কাঠের শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা আছে জানিয়েছেন ওইশিল্পী।
জানা যায়, গরুর ফার্ম,তেলের ব্যবসা সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম। করোনা মহামারিতে ব্যবসা ভাল হচ্ছিল না। প্রায় লোকসান হচ্ছিল। এ কারনে অবসরে যাবার পরের কাজটি শুরু করেছেন তিনি। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও, মনের ভিতরের ছবিগুলো কাঠের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছেন তিনি। আর এ কাজটি করছেন নিজ বাড়িতেই কাঠ দিয়ে গড়া ছোট একটি ঘরে।
ইতোমধ্যে তিনি কয়েকটি শিল্পকর্ম শেষ করেছেন। যা মানুষের মনে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে,মাঠ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন গাছি,ঈগল পাখি,বগ পাখি। চলমান রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি শিল্প কর্ম। যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে একটি বড় শিল্পকর্ম।
তিনি বলেন, সব কিছু একটা ছক ছিল আমার। জীবনের একটা সময় আমি অবসরে যাব। ওই সময় এ কাজগুলো করব। তবে করোনার কারনে একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। অবসরের আগেই জীবনে অবসর চলে এসেছে।
তিনি বলেন,আমি শারিরীক ভাবে একটু অসুস্থ্য। এ কারনে করোনার ভিতর বাইরে যায় না। এ ছাড়া শিল্প কর্ম আমার ভিতরে ছোট বেলা থেকে ছিল। সেটাই করার চেষ্টা করছি। কাজ করে যাচ্ছি,যদি ভাল কিছু করতে পারি। তাহলে তো একটা ভাল কিছু আশা করতেই পারি।
এ শিল্প কর্মগুলোর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার উপর গড়া শিল্পকর্মটি সুযোগ হলে ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা যাদু ঘরে দেবার ইচ্ছা রয়েছে আমার।
ঝিনু জানান,অনেক আগে থেকে ফলের বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ বেশি। এ কারনে আম আর লিচুর বাগান আছে ৩০ বিঘা। যা থেকে চলে আমার জীবিকা। শিল্পকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,এ কাজগুলো করতে কিছু কাঠ বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। আর কিছু কাঠ আমার বাগান থেকে কাটা হয়েছে। একটা শিল্প কর্ম শেষ করতে প্রায় ৫/৭ হাজার টাকার ব্যয় হয়েছে