কোটচাঁদপুর কলেজ রেল গেটের গেটম্যান সাব্বির আহম্মেদ বলেন,মঙ্গলবার রাত ১১ সময় স্টেশন মাস্টার আমাকে মোবাইল করেছিল। বলছিল স্টেশনের আশা-পাশে কোথাও কোন মৃত দেহ আছে কিনা। ওই সময় খোজ করে কোন মৃত দেহ দেখতে পায়নি।
বুধবার ২৫ জানুয়ারি সকালে পথচারীদের মাধ্যমে জানতে পারি মৃত দেহের কথা। এরপর আমি স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে কখন কিভাবে ঘটেছে বলতে পারবো না।
মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, মনির হোসেন পাতরা ঢাকা পাড়ার মৃত মফেজ উদ্দিনের ছেলে। তবে তারা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন না। বেশ কিছুদিন আগে নোয়াখালী অথবা নারানগঞ্জ থেকে এখানে এসেছিল।
তাঁর বউ ও দুই মেয়ে আছে। তবে বউয়ের সঙ্গে দুই বছর আগে ছাড়া হয়ে গেছে। আর দুই মেয়ের মধ্যে একটা পাতরা গ্রামে থাকেন। আরেকটি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন। মনির হোসেন গেল এক সপ্তাহ আগে এ গ্রামে এসেছিল।
স্টেশন মাস্টার ইয়াছির আরাফাত বলেন,রাতেই খবর পেয়ে ছিলাম। তবে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি রাতে। বুধবার সকালে গেটম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়তে পারে ওই ব্যক্তির। জিআরপি পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
যশোর জিআরপি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে এসে দেখলাম মনির হোসেনের দ্বি-খন্ডিত মৃত দেহ। তদন্ত শুরু হয়েছে, শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব না। এটা হত্যা না আত্মহত্যা।