ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
পুবালি ব্যাংক পিএলসি-এর ৭৩৩তম বুথের শুভ উদ্বোধন অরণ্য ফাউন্ডেশন”-এর উদ্যোগে কাঙ্গালী ভোজ নিলামে উঠলো হাজীপুরে জব্দ করা ১৩ কোটি টাকার বালু খালেদা জিয়ার জন্মদিনে মৌলভীবাজারে দোয়া মাহফিল মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের শুভেচ্ছা কুলাউড়ায় বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন সভাপতি মধু, সম্পাদক হেলাল খান মৌলভীবাজারে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ মৌলভীবাজারে বিএনপির এক কর্মীবান্ধব নেতা ফখরুল ইসলাম জুড়ীতে সানাবিল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স এর সার্টিফিকেট বিতরণ কমলগঞ্জ হযরত শাহ আজম রহ এর ৪৬তম উরুস ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

কোটচাঁদপুর থেকে  গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তিন প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে  গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট,ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট ও আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকররা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভুক্তভোগীদের।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোটচাঁদপুরে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেটের শাখা খোলা হয়। এই আউটলেট শাখার দ্বায়িত্বে ছিলেন,আহসানগীর (সাবলু)। অল্প দিনেই ব্যাংকের সু-নাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
সেই সুযোগে ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন (সাবলু)। অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখান  গ্রাহকদের। ওই সময় ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পৃথক স্ট্যাম্প করে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গা ঢাকা দেন আহসানগীর ( সাবলু)।
ওই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ভূট্রো নামের এক যুবক ও কোটচাঁদপুরের আল- আমিন আদালত মামলা করেছেন। গ্রাহক ভূট্রোর মামলায় আদালতে সাজাও হয়েছে আহসানগীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আল-আমিন।
তিনি বলেন, আহসানগীরের কথামত সরল বিশ্বাসে আমি  ব্যাংকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ছিলাম। চুয়াডাঙ্গার ভুট্টো নামের আরেক গ্রাহক দিয়ে ছিল  ৩০ লাখ। এ ভাবে তিনি ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ভূট্রো ও আমি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এরমধ্যে ভূট্রোর মামলায় সাজাও হয়েছে সাবলুর।
সে মহেশপুর উপজেলার কাকিলা দাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমান ছেলে।
এরপর ২০১৯ সালে ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট খোলা হয় কোটচাঁদপুরে। ওই সময় ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। এরপর ২০২১ সালের ব্যাংকের দায়িত্ব নেন তাঁর বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির (রাজিব)। ওই সময়  তাঁর অনুরোধে কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়। যার হিসাব নাম্বার ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়। ওই গ্রাহককে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক।
সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা।অথচ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার ব্যাংকের ৩ টি হিসাব নাম্বারের টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী রোকনুজ্জামান (রোকন) এজেণ্ট ব্যাংকিং ডিভিশন,ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ঢাকা,ব্যাংক এশিয়া ঝিনাইদহ শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোকন বলেন,গেল ২০ বছর ধরে কুয়েতে ছিলাম। ২০১৯ সালে দেশে এসে কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়া এজেণ্ট ব্যাংকে একটি সঞ্চায়ী হিসাব খুলে লেনদেন করেছিল। যার হিসাব নং-১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬। এ সময় এজেণ্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ মার্চে ব্যাংক এশিয়ার এজেণ্ট আউটলেটে আরো দুইটি মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়।
হিসাব নং- ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়।
আমাকে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক। সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা।
রাজিবুল ইসলাম কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর গ্রামের মৃত কাওসার আলীর ছেলে।
এর আগে ২০২০ সালে কোটচাঁদপুরে আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড ৩৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাহকরা টাকা ফেরতের দাবীতে ওই সময় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করেন।
এ ভাবে গেল ৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা ও হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকরা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিকট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন  ভুক্তভোগীরা।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর থেকে  গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তিন প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে  গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট,ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট ও আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকররা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভুক্তভোগীদের।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোটচাঁদপুরে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেটের শাখা খোলা হয়। এই আউটলেট শাখার দ্বায়িত্বে ছিলেন,আহসানগীর (সাবলু)। অল্প দিনেই ব্যাংকের সু-নাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
সেই সুযোগে ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন (সাবলু)। অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখান  গ্রাহকদের। ওই সময় ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পৃথক স্ট্যাম্প করে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গা ঢাকা দেন আহসানগীর ( সাবলু)।
ওই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ভূট্রো নামের এক যুবক ও কোটচাঁদপুরের আল- আমিন আদালত মামলা করেছেন। গ্রাহক ভূট্রোর মামলায় আদালতে সাজাও হয়েছে আহসানগীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আল-আমিন।
তিনি বলেন, আহসানগীরের কথামত সরল বিশ্বাসে আমি  ব্যাংকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ছিলাম। চুয়াডাঙ্গার ভুট্টো নামের আরেক গ্রাহক দিয়ে ছিল  ৩০ লাখ। এ ভাবে তিনি ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ভূট্রো ও আমি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এরমধ্যে ভূট্রোর মামলায় সাজাও হয়েছে সাবলুর।
সে মহেশপুর উপজেলার কাকিলা দাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমান ছেলে।
এরপর ২০১৯ সালে ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট খোলা হয় কোটচাঁদপুরে। ওই সময় ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। এরপর ২০২১ সালের ব্যাংকের দায়িত্ব নেন তাঁর বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির (রাজিব)। ওই সময়  তাঁর অনুরোধে কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়। যার হিসাব নাম্বার ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়। ওই গ্রাহককে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক।
সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা।অথচ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার ব্যাংকের ৩ টি হিসাব নাম্বারের টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী রোকনুজ্জামান (রোকন) এজেণ্ট ব্যাংকিং ডিভিশন,ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ঢাকা,ব্যাংক এশিয়া ঝিনাইদহ শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোকন বলেন,গেল ২০ বছর ধরে কুয়েতে ছিলাম। ২০১৯ সালে দেশে এসে কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়া এজেণ্ট ব্যাংকে একটি সঞ্চায়ী হিসাব খুলে লেনদেন করেছিল। যার হিসাব নং-১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬। এ সময় এজেণ্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ মার্চে ব্যাংক এশিয়ার এজেণ্ট আউটলেটে আরো দুইটি মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়।
হিসাব নং- ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়।
আমাকে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক। সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা।
রাজিবুল ইসলাম কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর গ্রামের মৃত কাওসার আলীর ছেলে।
এর আগে ২০২০ সালে কোটচাঁদপুরে আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড ৩৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাহকরা টাকা ফেরতের দাবীতে ওই সময় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করেন।
এ ভাবে গেল ৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা ও হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকরা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিকট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন  ভুক্তভোগীরা।