ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুর নয়ন জুুলি দখল করে গড়ে উঠেছে বাজার 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
মোঃ মঈন উদ্দিন খান : সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নয়ন জুুলি দখল করে কোটচাঁদপুরে গড়ে উঠেছে দোকান,বাজার,স মিল,রাইচ মিল,ভরাট হয়েছে পৌরসভার বর্জ্যে। এতে করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় হুমকিতে পড়েছে ৯ শ একর আবাদি জমির ফসল। অবৈধ্য দখল থাকলে উচ্ছেদ করা হবে বললেন, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর -কালিগঞ্জ মহাসড়কের কোটচাঁদপুর অংশের সড়কের পাশ ছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নয়ন জুলি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের তদারকি না থাকায় নয়ন জুলি দখল হয়ে গড়ে উঠেছে দোকান,মার্কেট,স মিল রাইচ,কাঠের মিল। এতে করে ব্যহত হচ্ছে পানিনিস্কাশন ব্যবস্থা। ফলে ক্ষতি গ্রস্থ্য হচ্ছে ওই এলাকার প্রায় ৯ শ একর জমির ফসল।
এ ব্যাপারে কলেজ বাসস্ট্যান্ডের ভুক্তভোগী চাষি সেলিম হোসেন বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করি। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায়  প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এ কারনে এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকার চাষিদের স্বাক্ষরিত দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, কৃষি কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে।
তিনি ওই দরখাস্তে দাবী করেছেন বর্ষার মৌসুমে এ এলাকার প্রায় ৯ শ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
চাষি হারুন অর রশিদ বলেন, আমি নিজে ওই ব্লকে ৩ বিঘা জমি চাষ করি। এ ছাড়া আরো ৬ বিঘা অন্যের জমিও দেখা শোনা করে দিই। এর আগে নয়ন জলি দখল করে নির্মিত হয়েছে, দোকান,স মিল,রাইচ মিল। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়েছিল। বর্তমানে পৌর সভার ময়লা আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে নয়ন জুলি। এতে করে আরো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময় এ ব্লকের সব ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ কারনে চাষিরা প্রতিবছরই লোকসান করছেন আবাদ করে। তিনি এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চেয়েছেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,ওই জমিটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। এটা সলেমানপুর মৌজার ২৩৫ দাগের জমি। ওই দাগে ১ একর ৪ শতক জমি রয়েছে। যেটা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নয়ন জুলি নামে রয়েছে।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ জানান,অনেক জায়গার জমি অনেকে দখল করে রেখেছে। এ বিষয়টি কেউ কোন দিন নজরে আনেন নাই।
এ কারনে আমার জানাও ছিল না। তবে আমি খোজ খবর নিতে অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠাব। অবৈধ্য দখল থাকলে তা উচ্ছেদ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সার্ভেয়ারকে পাঠানো হয়ে ছিল। সে দেখে এসেছে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটচাঁদপুর নয়ন জুুলি দখল করে গড়ে উঠেছে বাজার 

আপডেট সময় ০১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
মোঃ মঈন উদ্দিন খান : সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নয়ন জুুলি দখল করে কোটচাঁদপুরে গড়ে উঠেছে দোকান,বাজার,স মিল,রাইচ মিল,ভরাট হয়েছে পৌরসভার বর্জ্যে। এতে করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় হুমকিতে পড়েছে ৯ শ একর আবাদি জমির ফসল। অবৈধ্য দখল থাকলে উচ্ছেদ করা হবে বললেন, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর -কালিগঞ্জ মহাসড়কের কোটচাঁদপুর অংশের সড়কের পাশ ছিল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নয়ন জুলি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের তদারকি না থাকায় নয়ন জুলি দখল হয়ে গড়ে উঠেছে দোকান,মার্কেট,স মিল রাইচ,কাঠের মিল। এতে করে ব্যহত হচ্ছে পানিনিস্কাশন ব্যবস্থা। ফলে ক্ষতি গ্রস্থ্য হচ্ছে ওই এলাকার প্রায় ৯ শ একর জমির ফসল।
এ ব্যাপারে কলেজ বাসস্ট্যান্ডের ভুক্তভোগী চাষি সেলিম হোসেন বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করি। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায়  প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এ কারনে এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকার চাষিদের স্বাক্ষরিত দরখাস্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, কৃষি কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে।
তিনি ওই দরখাস্তে দাবী করেছেন বর্ষার মৌসুমে এ এলাকার প্রায় ৯ শ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
চাষি হারুন অর রশিদ বলেন, আমি নিজে ওই ব্লকে ৩ বিঘা জমি চাষ করি। এ ছাড়া আরো ৬ বিঘা অন্যের জমিও দেখা শোনা করে দিই। এর আগে নয়ন জলি দখল করে নির্মিত হয়েছে, দোকান,স মিল,রাইচ মিল। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়েছিল। বর্তমানে পৌর সভার ময়লা আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে নয়ন জুলি। এতে করে আরো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময় এ ব্লকের সব ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ কারনে চাষিরা প্রতিবছরই লোকসান করছেন আবাদ করে। তিনি এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চেয়েছেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,ওই জমিটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। এটা সলেমানপুর মৌজার ২৩৫ দাগের জমি। ওই দাগে ১ একর ৪ শতক জমি রয়েছে। যেটা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নয়ন জুলি নামে রয়েছে।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ জানান,অনেক জায়গার জমি অনেকে দখল করে রেখেছে। এ বিষয়টি কেউ কোন দিন নজরে আনেন নাই।
এ কারনে আমার জানাও ছিল না। তবে আমি খোজ খবর নিতে অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠাব। অবৈধ্য দখল থাকলে তা উচ্ছেদ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সার্ভেয়ারকে পাঠানো হয়ে ছিল। সে দেখে এসেছে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।