ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মেঝো ভাইসাবকে ভুলতে পারি না হাফিজ সাব্বির আহমদ ৩০ বছরে পদার্পণ করল ঢাকা ব্যাংক পিএলসি মৌলভীবাজার শাখায় জমকালো আয়োজন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির শোক বার্তা কমলগঞ্জে পবিত্র আশুরা অনুষ্ঠান পালিত উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আলোচনা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল চুরি হওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার,চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির ঈদ পূনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন সোমবার আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাওর রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কোটচাঁদপুর পিঠা উৎসব পালিত 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  পিঠার ঐতিহ্য,ইতিহাস ধরে রাখতে ও মানুষকে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে কোটচাঁদপুর দিনব্যাপী হয়ে গেল পিঠা উৎসব। বৃহস্পতিবার এর আয়োজন করেন সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজে।
জানা যায়,২০১৮ সাল থেকে এ পিঠা উৎসব করছেন
 সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজে। আর প্রতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এ উৎসবটির আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের তৈরি করা পিঠা এ উৎসবে স্থান পায়। উৎসবে রকমারি  পিঠার সঙ্গে বাহারি নামও  ছিল দোকানগুলো।
এরমধ্যে ছিল নানির হাতের পিঠা,দাদির হাতের পিঠা, রকমারি পিঠা ঘর,রংধনু পিঠা,হাও মাও পিঠা খাও। এ ছাড়া রকমারি পিঠার মধ্যে ছিল, ভাপা পিঠা,রসের পিঠা,পুলি পিঠা,চিতই পিঠা।
বৃহস্পতিবার সকালে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আর সকাল থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতা আগমন শুরু হয়। যা ছিল চোখে পড়ার মত।
মেলায় পিঠে কিনতে আসা বলুহর গ্রামের জেসমির আরা বলেন,পিঠা উৎসব হয় জানতাম না। এ বছর এ স্কুলে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি। এ কারনে জানতে পারলাম। পিঠা উৎসবে এসে ভালই লাগছে। সব দোকানগুলো ঘুরে দেখলাম। কিছু পিঠাও কিনেছি। এমন আয়োজন হলে এ যুগের ছেলে /মেয়েরা পিঠা সম্পর্কে জানতে পারবে, খেতে পারবে।
ওই স্কুলের শিক্ষক হাজেরা খাতুন বলেন, পিঠা এ স্কুলের,ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবকরা বানিয়ে দেন, এছাড়া আমরা শিক্ষকরাও বানায়। বিক্রির পর সব তাদের দিয়ে দেয়া হয়। এ বছরও ভাল বিক্রি হবার আশা প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শিশির আজম শিলন বলেন,২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এ প্রতিষ্ঠানটি ১৭ জন ছাত্র /ছাত্রী নিয়ে পথ চলা শুরু করেন। ৭ বছরে আজ প্রতিষ্টানে ৫শ জন ছাত্র /ছাত্রী লেখা-পড়া করছেন।
আর পিঠা উৎসব শুরু হয় ২০১৮ সালে ২৬ শে জানুয়ারি। মূলত বাঙ্গালি ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও মানুষকে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ পিঠা উৎসব করা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর আয়োজন ভালো হয়েছে। সামনে দিনে এটা আরো সমৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর পিঠা উৎসব পালিত 

আপডেট সময় ০২:৩১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  পিঠার ঐতিহ্য,ইতিহাস ধরে রাখতে ও মানুষকে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে কোটচাঁদপুর দিনব্যাপী হয়ে গেল পিঠা উৎসব। বৃহস্পতিবার এর আয়োজন করেন সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজে।
জানা যায়,২০১৮ সাল থেকে এ পিঠা উৎসব করছেন
 সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজে। আর প্রতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এ উৎসবটির আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের তৈরি করা পিঠা এ উৎসবে স্থান পায়। উৎসবে রকমারি  পিঠার সঙ্গে বাহারি নামও  ছিল দোকানগুলো।
এরমধ্যে ছিল নানির হাতের পিঠা,দাদির হাতের পিঠা, রকমারি পিঠা ঘর,রংধনু পিঠা,হাও মাও পিঠা খাও। এ ছাড়া রকমারি পিঠার মধ্যে ছিল, ভাপা পিঠা,রসের পিঠা,পুলি পিঠা,চিতই পিঠা।
বৃহস্পতিবার সকালে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আর সকাল থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতা আগমন শুরু হয়। যা ছিল চোখে পড়ার মত।
মেলায় পিঠে কিনতে আসা বলুহর গ্রামের জেসমির আরা বলেন,পিঠা উৎসব হয় জানতাম না। এ বছর এ স্কুলে ছেলেকে ভর্তি করিয়েছি। এ কারনে জানতে পারলাম। পিঠা উৎসবে এসে ভালই লাগছে। সব দোকানগুলো ঘুরে দেখলাম। কিছু পিঠাও কিনেছি। এমন আয়োজন হলে এ যুগের ছেলে /মেয়েরা পিঠা সম্পর্কে জানতে পারবে, খেতে পারবে।
ওই স্কুলের শিক্ষক হাজেরা খাতুন বলেন, পিঠা এ স্কুলের,ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবকরা বানিয়ে দেন, এছাড়া আমরা শিক্ষকরাও বানায়। বিক্রির পর সব তাদের দিয়ে দেয়া হয়। এ বছরও ভাল বিক্রি হবার আশা প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে সব্দুল সরদার মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শিশির আজম শিলন বলেন,২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এ প্রতিষ্ঠানটি ১৭ জন ছাত্র /ছাত্রী নিয়ে পথ চলা শুরু করেন। ৭ বছরে আজ প্রতিষ্টানে ৫শ জন ছাত্র /ছাত্রী লেখা-পড়া করছেন।
আর পিঠা উৎসব শুরু হয় ২০১৮ সালে ২৬ শে জানুয়ারি। মূলত বাঙ্গালি ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও মানুষকে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ পিঠা উৎসব করা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর আয়োজন ভালো হয়েছে। সামনে দিনে এটা আরো সমৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।