কোটচাঁদপুর পৌর সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীকে গলা ধাক্কা ও হেনস্তা করার অভিযোগ
- আপডেট সময় ১০:৫১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১৩ বার পড়া হয়েছে
মোঃ মঈন উদ্দিন খানঃ কোটচাঁদপুর পৌর সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারীকে গলা ধাক্কা ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী ও থানা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বলেন, নিম্ন তফশীলভুক্ত জমা-জমির সুষ্ঠ বন্টন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাহী আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করি। যাহার কোটচাঁদপুর পিটিশন নং: ৯৬৭/২০২৪, ধারা-১৪৪। বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নং: ২৫৭৬(২), তারিখ: ১৫/১২/২০২৪ইং। এর পেরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পৌর সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে তফশীল বর্ণিত জমির বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন। তিনি গেল ৩১/১২/২০২৪ইং তারিখ দুপুরে
ওই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নায়েব সাহেব তাঁর অফিসে আমাকে ডেকে নিয়ে যান।
এরপর আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে সহি স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি স্বাক্ষর দিতে অসস্মতি জানালে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। পরে তিনি অফিস সহায়ক ইমরানকে আমার গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে বলেন।
তিনি বলেন, ওই সহায়ক আমাকে গলা ধাক্কা না দেয়ায় তিনি নিজেই আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ওই অফিস থেকে বের করে দেন। ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রাবেয়া খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। রাবেয়া খাতুন কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনপাড়ার মৃত: বছির খানের মেয়ে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট।
কোটচাঁদপুর পৌর সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন,রাবেয়ার সাথে আমার রাস্তায় দেখা হয়েছিল। ওনি আমার কাছে দাখিলা কাটা যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, সার্ভার সমস্যায় কাটা যাচ্ছে না বলে আমি তাকে জানায়। এরপর আমি তাঁর মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে,তিনি আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান। ওই সময় আমি মামলার হাজিরা দিয়ে যেতে বলি। এতে করে রাবেয়া খাতুন আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। পরে আমি ইমরানকে ডেকে তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলি। তবে তাঁকে কোন রকম হেনস্তা করা হয়নি বলে দাবি ওই কর্মকর্তার।
ওই ঘটনায় থানায় রাবেয়া খাতুন নামের ওই নারী কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আল- আমীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে যদি নায়েব সাহেব ওই নারীকে গলা ধাক্কা দেন, তাহলে কাজটা তিনি ঠিক করেননি। এ ছাড়া সকালে আমি ডাক ফাইল দেখেছি,আমার দপ্তরে কোন চিঠি দেখলাম না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি প্রকৃত পক্ষে কি হয়েছে।