ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুর বেডে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন রাবিয়া সে বাঁচাতে চায়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে ঘরে শুয়ে আছে স্বামী।

আর মেয়ে হার্ডের ছিদ্র জনিত সমস্যা নিয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে। এদিকে চিকিৎসা করানোর শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে, মেয়েকে বাঁচাতে,তাঁর পাশে বসে দিন-রাত কাঁদছেন আর আকুতি জানাচ্ছেন, যাকে কাছে পাচ্ছেন,তাকে ধরে। দ্রুত ভাল চিকিৎসা করালে,বাঁচতে পারেন রাবিয়া খাতুন(১৭),বলে জানিয়েছেন তাঁর মা সালেহার বেগম।
জানা যায়,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর বাজার পাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালেহার বেগম।  অল্প বয়সেই বিয়ে হয়,তাঁর সঙ্গে। সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক তারা।

তাদের এক মেয়ে সাথী খাতুন (২২) আরেক মেয়ে রাবিয়া খাতুন (১৭)। পারিবারিক জীবনে বেশ সুখী ছিল তারা। হঠাৎ করে স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে যায় শহিদুল ইসলাম। থমকে যেতে থাকে সংসারের চাকা। পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যায় দুই মেয়ে।
বিয়ে দিয়ে দেন সাথীকে। এরমধ্যে হার্ডের ছিদ্র জনিত সমস্যা ধরা পড়ে রাবিয়ার।

চিকিৎসা শুরু করেন তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছে রাবিয়ার। এতে করে সহায় সম্বল হারিয়েছেন সালেহার। হঠাৎ করে  রাবিয়ার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যাওয়ায় যশোর হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দেখে ঢাকা পিজিতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলেছেন। যশোর তাঁর চিকিৎসা সম্ভব না।
এ অবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন তার মা সালেহার। বর্তমানে রাবিয়া কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন । আর পাশে বসে আকুতি করছেন আর কাদছেন তাঁর মা সালেহা বেগম। যাকে কাছে পাচ্ছেন, তাকে ধরেই মেয়েকে বাঁচানোর আকুতি জানাচ্ছেন।

সালেহার বেগম বলেন,জন্মের পর থেকে রাবিয়ার সমস্যা ছিল। যা ওই সময় বোঝা যায়নি। তাঁর বয়স যখন ১১ বছর,ওই সময় ধরা পড়ে এ সমস্যা। সে থেকে চিকিৎসা আর পরিক্ষা নিরিক্ষা করে আসছিলাম।
হঠাৎ স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে যায় তাঁর পিতা।
সেও ঘরের বিছনায় শুয়ে আছেন। এদিকে ওই দুই জনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে। আছে শুধু সাবদারপুর বাজারের পাশের ভিটে মাটিটুকু।
হঠাৎ করে মেয়ে রাবিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা দেখে ঢাকা পিজিতে নিতে বলেছেন। বলেছেন দ্রুত ভাল চিকিৎসা করাতে পারলে,সে বাঁচতে পারে।
তিনি বলেন, স্বামী শুয়ে কাতরাচ্ছেন বাড়ির বিছানায় আর মেয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে।

সালেহার বলেন,রাবিয়াকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। যা ম্যানেজ করা আমার পক্ষে অসম্ভব। এ কারনে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। বেঁচে আছেন  অক্সিজেনের উপর। সালেহার সমাজের বৃত্তবান কাছে সহায়তা কামনা করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর বেডে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন রাবিয়া সে বাঁচাতে চায়

আপডেট সময় ০৩:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে ঘরে শুয়ে আছে স্বামী।

আর মেয়ে হার্ডের ছিদ্র জনিত সমস্যা নিয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে। এদিকে চিকিৎসা করানোর শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে, মেয়েকে বাঁচাতে,তাঁর পাশে বসে দিন-রাত কাঁদছেন আর আকুতি জানাচ্ছেন, যাকে কাছে পাচ্ছেন,তাকে ধরে। দ্রুত ভাল চিকিৎসা করালে,বাঁচতে পারেন রাবিয়া খাতুন(১৭),বলে জানিয়েছেন তাঁর মা সালেহার বেগম।
জানা যায়,ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর বাজার পাড়ার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালেহার বেগম।  অল্প বয়সেই বিয়ে হয়,তাঁর সঙ্গে। সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক তারা।

তাদের এক মেয়ে সাথী খাতুন (২২) আরেক মেয়ে রাবিয়া খাতুন (১৭)। পারিবারিক জীবনে বেশ সুখী ছিল তারা। হঠাৎ করে স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে যায় শহিদুল ইসলাম। থমকে যেতে থাকে সংসারের চাকা। পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যায় দুই মেয়ে।
বিয়ে দিয়ে দেন সাথীকে। এরমধ্যে হার্ডের ছিদ্র জনিত সমস্যা ধরা পড়ে রাবিয়ার।

চিকিৎসা শুরু করেন তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছে রাবিয়ার। এতে করে সহায় সম্বল হারিয়েছেন সালেহার। হঠাৎ করে  রাবিয়ার অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যাওয়ায় যশোর হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে দেখে ঢাকা পিজিতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলেছেন। যশোর তাঁর চিকিৎসা সম্ভব না।
এ অবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন তার মা সালেহার। বর্তমানে রাবিয়া কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন । আর পাশে বসে আকুতি করছেন আর কাদছেন তাঁর মা সালেহা বেগম। যাকে কাছে পাচ্ছেন, তাকে ধরেই মেয়েকে বাঁচানোর আকুতি জানাচ্ছেন।

সালেহার বেগম বলেন,জন্মের পর থেকে রাবিয়ার সমস্যা ছিল। যা ওই সময় বোঝা যায়নি। তাঁর বয়স যখন ১১ বছর,ওই সময় ধরা পড়ে এ সমস্যা। সে থেকে চিকিৎসা আর পরিক্ষা নিরিক্ষা করে আসছিলাম।
হঠাৎ স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে যায় তাঁর পিতা।
সেও ঘরের বিছনায় শুয়ে আছেন। এদিকে ওই দুই জনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল সব শেষ হয়ে গেছে। আছে শুধু সাবদারপুর বাজারের পাশের ভিটে মাটিটুকু।
হঠাৎ করে মেয়ে রাবিয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা দেখে ঢাকা পিজিতে নিতে বলেছেন। বলেছেন দ্রুত ভাল চিকিৎসা করাতে পারলে,সে বাঁচতে পারে।
তিনি বলেন, স্বামী শুয়ে কাতরাচ্ছেন বাড়ির বিছানায় আর মেয়ে মৃত্যুর দিন গুনছেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে।

সালেহার বলেন,রাবিয়াকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। যা ম্যানেজ করা আমার পক্ষে অসম্ভব। এ কারনে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। বেঁচে আছেন  অক্সিজেনের উপর। সালেহার সমাজের বৃত্তবান কাছে সহায়তা কামনা করেছেন।