তিনি বলেন,সিডিউল অনুযায়ী সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দেয়ার কথা। আমরা সেটাই করছি। আর ওই কাজ করতে গিয়ে সড়কের কিছু গাছ মারতে হয়েছে,তা না হলে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা সম্ভব হচ্ছিল না।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,কালিগঞ্জের শিশুতলা থেকে বালিয়াডাঙ্গা সড়কে একইভাবে সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে দেয়া হয়েছে। তারা কোন অভিযোগ করেননি। চাষিদের ক্ষতি নিয়ে প্রশ্নে করলে তিনি বলেন,চাষিরা আমার কাছে কোন করেননি।
এ ব্যাপারে তালিনা গ্রামের শান্তি সর্দার বলেন,আমার মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ভূট্রার চাষ ছিল। মাটি কাটার স্বার্থে অর্ধেক জমির কাঁচা ভূট্রার গাছ কেটে নিতে হয়েছে। কাঠা পড়েছে আমার বেশ কয়েকটি কড়াইসহ অন্যান্য গাছও।
তিনি বলেন,ভেকু দিয়ে মাটি না কেটে কোদাল দিয়ে মাটি কাটলে চাষিদের এত বেশি ক্ষতি হত না। গাছ পালাও বিনষ্ট হত না। এত ক্ষতিপূরন কে দিবে আমাদের। কে আছে আমাদের কথা শোনার। আমরা এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
তালিনা গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন,মজিদ নামের ১ জনেরই ১ শ খেজুর গাছ কাটা পড়েছে। এ ছাড়া আরো অনেক চাষিরও কাটা পড়েছে গাছ।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন,ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন আমি জানতাম না। এরপর জানতে পারলাম গাছ মারার ঘটনা। এরপর কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে ঠিকাদারকে। তিনি কাজ করেননি। আপনারা ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
তিনি বলেন, আমি তো ঠিকাদারের সঙ্গে মারামারি করতে পারবো না। আমি তাকে কাজ করতে না করেছি, এরপরও তিনি এগুলো করছেন। তবে আমি স্যারকে বলেছি, স্যার ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। নির্বিচারে গাছ কাটা ও ফসল নষ্টের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর ঠিকাদারকে এ সব বন্ধ করতে বলেছিলাম।তিনি বন্ধ করেননি,তাহলে এ সবের দায়ভারও ওনাকে নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নায়েব সাহেবকে পাঠানো হয়েছে। তিনি দেখে আসার পর রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।