কোটচাঁদপুর লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এবার প্রত্যাহার হলেন এ এস আই লুৎফর রহমান

- আপডেট সময় ১২:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মঈন উদ্দিন খান
কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এবার প্রত্যাহার হলেন সহউপপরিদর্শক(এএসআই) লুৎফর রহমান। বুধবার তাকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুরের পাঁচলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান (উজ্জ্বল) একই গ্রামের সোলাইমান হোসেনের নামে মটর সাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন।
গেল সোমবার (৭ এপ্রিল) সেই অভিযোগ তদন্তে সোলাইমান হোসেনের বাড়িতে যান লক্ষিপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক(এএসআই) লুৎফর রহমান ও পুলিশ সদস্য সবুজ হোসেন। এ সময় স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়েন পুলিশের ওই কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য। সে সময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পিস্তল উচিয়ে গুলি করতে যান উত্তেজিত জনতাদের। পরে ওই ঘটনার ভিড়িও চিত্র ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম(ফেসবুকে)। এতে করে বুধবার পুলিশের ওই সহউপপরিদর্শক(এএসআই) লুৎফর রহমানকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। তবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি পুলিশ সদস্য সবুজ হোসেনের বিরুদ্ধে।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক(এএসআই) লুৎফর রহমান বলেন,পাঁচলিয়া স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাফিজুর আর সোলাইমান হোসেনের মধ্যে বিরোধ। সেই বিরোধের জেরে সোলাইমান হাফিজুরের মটর সাইকেল কেড়ে নেন বলে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এরপেক্ষিতে ৭ এপ্রিল সোলাইমানের বাড়িতে অভিযোগ তদন্তে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমি তখন পিস্তল দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনি। এর বাইরে আর কিছু না।সেই ঘটনাটি রং লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে, সেটা ঠিক না। আমি ট্যাপের শিকার হয়েছি।
তিনি বলেন,পানি সব সময় নিচের দিকে যায়। আমি ওই ঘটনা তদন্তের সময় ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। অথচ এখন শুধু পাঠার বলি হলাম আমি একা।
এর আগে লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার হন পুলিশের
সহউপপরিদর্শক(এএসআই) শামসুল ইসলাম। তিনিও পাঁচলিয়া গ্রামের একটি চুরির ঘটনায় সালাম নামের এক যুবককে ধরে এনে মারপিট করেন। এরপর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এমন অভিযোগ উঠে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় বেশ কিছু পত্রিকায় সংবাদ ও প্রকাশিত হয় । পরে ওনাকে ওই পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর। এ সময় তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের দেখান ওই ঘটনার দুইটি ভিড়িও চিত্র। যার একটি ছিল ঘটনার দিন যা ঘটেছিল। আর অন্যটি ছিল একটি ফেসবুক পেজের সংবাদ।
