ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
যুব গার্লস গাইড বাংলাদেশ স্কাউটস এর স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার বিষয়টি ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কোটচাঁদপুর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে  জেল  জরিমানা   আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, ফ্যাসিস্ট হিসেবে এদের বিচার করতে হবে মৌলভীবাজারে সারজিস আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সেনা বাহিনীর নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার মৌলভীবাজারে আসছেন সারজিস নব-গঠিত ফ্রান্স যুবদলের নেতৃবৃন্দকে মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের অভিনন্দন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় – ডা.প্রনয় কান্তি দাস মৌলভীবাজার পেশাজীবী চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শ্রীমঙ্গল শেভরন বাংলাদেশের কনডেনসেট পাইপলাইনে ভয়াবহ আগুন নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না- পুলিশ সুপার

কোটচাঁদপুর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে  জেল  জরিমানা  

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ সাবেক চেয়ারম্যান নজুর সাত দিনের জেলঃ  ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি শফিকুল আযম চঞ্চলের বিশ্বস্ত সহযোগী ও আওয়ামীলীগের দোসর কোটচাঁদপুর বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুসহ তার পরিবারের ৬ সদস্যকে ৭দিনের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম নজু কোটচাঁদপুর থানার হাড়ভাংগা বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত লাল চাঁদ মিয়ার ছেলে। আদালত সুত্রে জানা যায় ২৪ সেপ্টেম্বর  বুধবার ঝিনাইদহ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক  আবজাল হোসেন ওই রায় প্রদান করেন। মামলা সুত্রে জানা যায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুর নির্দেশে আসামীরা বেআইনী জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ একই গ্রামের  বাবলু রহমানের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ওই ঘটনায় তখন কোটচাঁদপুর থানা মামলা নিতে অপারগতা প্রকায় করায় বাবলু আদালতের দ্বারস্থ হোন। ওই মামলায় বিচারক দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে নজরুল ইসলাম  নজুসহ তার পরিবারের ৭ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেক আসমীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। মামলার বাদী বাবলু জানান এক সময়ের সন্ত্রাসী নানা অপকর্মের হোতা অশিক্ষিত ব কলম চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুর দাপটে এলাকার সর্বসাধারণ অতিষ্ট ছিলো। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে পারতো না। নানা হুমকি ধামকির পরও আমি তার বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে গিয়েছি। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। উকিলের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনি  ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ইয়ারুল ইসলাম, তাসলিমা খাতুন, সাদ্দাম হোসেন, কল্পনা খাতুন, ও পাখি খাতুন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এড. আশরাফুল আলম মালিতা জানান আসামীরা একই পরিবারের সদস্য হওয়ায়  বিশেষ বিবেচনায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের সাঁজা কম দিয়েছেন, তবে একথা প্রমান হয়েছে  অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো আইনের উর্দ্ধে নয়, এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে  জেল  জরিমানা  

আপডেট সময় ০৪:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কোটচাঁদপুর( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ সাবেক চেয়ারম্যান নজুর সাত দিনের জেলঃ  ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি শফিকুল আযম চঞ্চলের বিশ্বস্ত সহযোগী ও আওয়ামীলীগের দোসর কোটচাঁদপুর বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুসহ তার পরিবারের ৬ সদস্যকে ৭দিনের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম নজু কোটচাঁদপুর থানার হাড়ভাংগা বিদ্যাধরপুর গ্রামের মৃত লাল চাঁদ মিয়ার ছেলে। আদালত সুত্রে জানা যায় ২৪ সেপ্টেম্বর  বুধবার ঝিনাইদহ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক  আবজাল হোসেন ওই রায় প্রদান করেন। মামলা সুত্রে জানা যায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুর নির্দেশে আসামীরা বেআইনী জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ একই গ্রামের  বাবলু রহমানের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ওই ঘটনায় তখন কোটচাঁদপুর থানা মামলা নিতে অপারগতা প্রকায় করায় বাবলু আদালতের দ্বারস্থ হোন। ওই মামলায় বিচারক দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে নজরুল ইসলাম  নজুসহ তার পরিবারের ৭ সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেক আসমীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। মামলার বাদী বাবলু জানান এক সময়ের সন্ত্রাসী নানা অপকর্মের হোতা অশিক্ষিত ব কলম চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুর দাপটে এলাকার সর্বসাধারণ অতিষ্ট ছিলো। তার ভয়ে কেউ কথা বলতে পারতো না। নানা হুমকি ধামকির পরও আমি তার বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে গিয়েছি। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। উকিলের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনি  ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ইয়ারুল ইসলাম, তাসলিমা খাতুন, সাদ্দাম হোসেন, কল্পনা খাতুন, ও পাখি খাতুন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এড. আশরাফুল আলম মালিতা জানান আসামীরা একই পরিবারের সদস্য হওয়ায়  বিশেষ বিবেচনায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের সাঁজা কম দিয়েছেন, তবে একথা প্রমান হয়েছে  অপরাধীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো আইনের উর্দ্ধে নয়, এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।