ব্রেকিং নিউজ
কোটচাঁদপুর স্ত্রীর অধিকার চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ১০:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ স্ত্রীর অধিকার চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী শেফালী খাতুন। বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগারে এ সম্মেলন করেন তিনি। ওই নারী স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মতিয়ার রহমানের মেয়ে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমি কোটচাঁদপুর মিনার ডেকোরেটরে রান্নার কাজ করি। সেই সুবাদে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা শোনা হয়। এরপর গেল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সাকিল নিয়মিত আমার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গড়ে তোলেন আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
সে সময় আমি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেই। এরপর সাকিল স্থানীয় এক মসজিদের হুজুরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। সে থেকে দুই জনই গেল ৮/৯ মাস আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলাম। আর সে সুবাদে সাকিল আমার কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালোংকার হাতিয়ে নেন। তারপর থেকে সে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এরপর সম্প্রতি আমি স্ত্রী দাবি নিয়ে তাঁর বাড়িতে গেলে সাকিল ও তাঁর মা আমাকে মারপিট করে বের করে দেন।
ll
আর আমি যে তাঁর স্ত্রী তা কেউ জিজ্ঞেস করলে, সে অস্বীকার করতে থাকে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় যেতে চাইলে,ঘটনাটি মিমাংসা করে দেবার আশ্বাস দেন স্থানীয় এক কাউন্সিলর। তারপরও কোন ফল না পেয়ে আমি আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। আপনারা ঘটনাটি আপনাদের পত্রিকায় তুলে ধরেন। যাতে করে সারা দেশের মানুষ জানতে পারে।
শেফালী খাতুন বলেন,হয় সাকিল আমার স্ত্রী মর্যাদা দিয়ে সাথে রাখুক। না হয় বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে নেয়া টাকা, মোবাইল ও স্বার্ণালোংকার ফেরত দিক। তা না হলে আমি আদালতে মামলা করবো। শেফালী খাতুন( ৩০)। সে কোটচাঁদপুর একটি ডেকোরেটরে রান্নার কাজ করে জীবন যাপন করেন। সংসার জীবনে সে এক সন্তানের জননী।
বিষয়টি নিয়ে সাকিল হোসেন বলেন,শেফালির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নাই। কেউ আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতে,তাকে দিয়ে এ সব করাচ্ছেন। আর আমি তাঁর কাছ থেকে কোন কিছু নেয়নি। সে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করছেন, তা সব মিথ্যা বানোয়াট। সাকিল আহম্মেদ কোটচাঁদপুর পৌর শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ার পিরু আহম্মেদের ছেলে বলে জানা গেছে। সে কোটচাঁদপুর মটর শ্রমিকের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
তবে ঘটনাটি কেউ কোন অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
ট্যাগস :











