ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পিতা বলেন,দীর্ঘ ১০/১১ বছর যাবৎ আমি ট্রেন ড্রাইভার আজিজ বিশ্বাসের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছি। নাজমুল হোসেন (মুন্না) ওই ড্রাইভারের জামাই। সে পুলিশে চাকুরী করেন। ইন্তি রহমান (২০) ওই পুলিশের ছেলে। দীর্ঘদিন এক বাসায় থাকার সুবাদে,তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল।
এ সুযোগে ইন্তি আমার ৫ ম শ্রেনীতে পড়া মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষন করে। এরপর তাঁর ভিড়িও ধারন করে, আমার মেয়েকে ভয় দেখায়। ভয়ে এতদিন সে আমাকে কিছুই বলেনি। এ সুযোগে ইন্তি প্রতারনা করে, বেশ কিছু দিন তাঁর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছি।
মঙ্গলবার রাতে ওই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা দেখেন,আমার মামাত বোন লিমা খাতুন। বিষয়টি আমার স্ত্রী জানার পর আমাকে বলেন।
আমি ওই রাতে প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে যায়। এরপর কোটচাঁদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ করি।
তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই রাতেই থানার উপপরিদর্শক (এস আই) সাজ্জাদ হোসেন ও সহউপরিদর্শক (এএসআই) আনিছ ঘটনাস্থলে আসেন। অভিযুক্ত ইন্তিকে ধরতে অনেক চেষ্টা করেন। তবে ওই সময় ইন্তি ঘরের দরজা দিয়ে ভিতরে থাকায়, আটক না করে, বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যান।এরপর ইন্তি ঘরের দরজা ভেঙ্গে কৌশলে পালিয়ে যায়।
ইন্তি কোটচাঁদপুর বাজেবামনদহ কলেজ পাড়ার ট্রেন ড্রাইভার আজিজুল বিশ্বাসের নাতি ছেলে। আর পুলিশের সহউপপরিদর্শক( এএসআই) নাজমুল ইসলাম (মুন্নার) ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন,এখনো পর্যন্ত অভিযোগ আকারে আছে। বিকেল ৫ টার মধ্যে মূল আসামি হাজির না হলে, মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে। মুরাদকে সহযোগী হিসেবে ধরা হয়েছে।