ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশনে এক প্রেমিকা শ্রীমঙ্গলে ঝুলে থাকা সাত ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন চাঁদনীঘাটে ২০ বছর আগে পাকা করা রাস্তা এখন বেহাল দশা ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জন সরকারি ও বেসরকারি কলেজের পরীক্ষাও স্থগিত দূর্গাপুরে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৪ দফা লিফলেট বিতরণ করলেন মাহামুদা হাবিবা ব্র্যাকের ব্রাম্মনবাজার শাখা অফিসের উদ্বোধন উন্নয়ন বঞ্চিত সিলেটের মানুষ ফুঁসে উঠার আগেই বিহিত ব্যবস্থা নি -আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ কোটচাঁদপুরে নতুন কুড়ি গানের প্রতিযোগিতায়  সেরা পাঁচে জায়গায় করে নিয়েছেন তরিতা মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে নানা আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন

কোটচাঁদপুর ৯ মালিকের ১৬ ছাগল চুরি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ এক মাসে এক গ্রাম থেকে ৯ মালিকের ১৬ ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হয়েছে পঙ্গু মইদুল ইসলামরেও ২ ছাগল। চোর আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ওই গ্রামের ছাগল মালিকেরা। ২ ছাগল চুরির কথা শুনেছেন চায়ের দোকানে,অভিযোগ করেনি কেউ, বললেন,পুলিশ ফাঁড়ির (এস আই) মিজানুর রহমান।
ভুক্তভোগীদের সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলাধীন পাঁচলিয়া গ্রাম। গেল এক মাসে ওই গ্রাম থেকে ৯ জন ছাগল মালিকের ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
যার মধ্যে রয়েছে,ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১ টি,তহিদুল ইসলামের ১ টি,আশরাফুল ইসলামের ৩ টি,সাইদুর ইসলামের ১ টি,জহির হোসেনের ১ টি,দুরুদ মন্ডলের ১ টি,তসলেম উদ্দিনের ২ টি,আবু কালামের ২ টি চুরি করে নিয়ে যান,আর মেরে রেখে যান আরোও ১ টি।
এ ছাড়া চোরের হাত থেকে রেহাই পাননি,ওই গ্রামের পঙ্গু মইদুল ইসলাম ও। চোরেরা নিয়ে গেছেন,তাঁর দুইটি ছাগল। যে দুইটি ছাগল ছিল, তাঁর একমাত্র অবলম্বন।
মইদুল ইসলাম বলেন, গেল ১০ বছর ধরে,আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম চলে। বাজার আর অন্যান্য ব্যয়ভার চলতো,আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল দুইটি পেয়ে ছিলাম,আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা।
তিনি বলেন,৩ ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারে আয়ের মানুষ আমি একাই। ছাগল গুলো নিয়ে বেড়াতাম। এখন বাড়িতে বসেই দিন কাটছে আমার।
এ দিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনা ঘটায়,নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ওই গ্রামের লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালন করে আসছি।
কোন দিন এমন সমস্যা হয়নি। এ বছর একের পর এক ছাগল চুরি হওয়ায়, কোন রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারছিনা। প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত পার করতে হচ্ছে আমাদের।
এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃংখলা সভাও তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই)  মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। ওতগুলো ছাগল চুরি হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। এ ছাড়া ওই ব্যাপারে আজও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগও করেনি।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোটচাঁদপুর ৯ মালিকের ১৬ ছাগল চুরি

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ এক মাসে এক গ্রাম থেকে ৯ মালিকের ১৬ ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হয়েছে পঙ্গু মইদুল ইসলামরেও ২ ছাগল। চোর আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ওই গ্রামের ছাগল মালিকেরা। ২ ছাগল চুরির কথা শুনেছেন চায়ের দোকানে,অভিযোগ করেনি কেউ, বললেন,পুলিশ ফাঁড়ির (এস আই) মিজানুর রহমান।
ভুক্তভোগীদের সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুর উপজেলাধীন পাঁচলিয়া গ্রাম। গেল এক মাসে ওই গ্রাম থেকে ৯ জন ছাগল মালিকের ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
যার মধ্যে রয়েছে,ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১ টি,তহিদুল ইসলামের ১ টি,আশরাফুল ইসলামের ৩ টি,সাইদুর ইসলামের ১ টি,জহির হোসেনের ১ টি,দুরুদ মন্ডলের ১ টি,তসলেম উদ্দিনের ২ টি,আবু কালামের ২ টি চুরি করে নিয়ে যান,আর মেরে রেখে যান আরোও ১ টি।
এ ছাড়া চোরের হাত থেকে রেহাই পাননি,ওই গ্রামের পঙ্গু মইদুল ইসলাম ও। চোরেরা নিয়ে গেছেন,তাঁর দুইটি ছাগল। যে দুইটি ছাগল ছিল, তাঁর একমাত্র অবলম্বন।
মইদুল ইসলাম বলেন, গেল ১০ বছর ধরে,আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম চলে। বাজার আর অন্যান্য ব্যয়ভার চলতো,আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল দুইটি পেয়ে ছিলাম,আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা।
তিনি বলেন,৩ ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারে আয়ের মানুষ আমি একাই। ছাগল গুলো নিয়ে বেড়াতাম। এখন বাড়িতে বসেই দিন কাটছে আমার।
এ দিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনা ঘটায়,নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ওই গ্রামের লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালন করে আসছি।
কোন দিন এমন সমস্যা হয়নি। এ বছর একের পর এক ছাগল চুরি হওয়ায়, কোন রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারছিনা। প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত পার করতে হচ্ছে আমাদের।
এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃংখলা সভাও তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই)  মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। ওতগুলো ছাগল চুরি হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। এ ছাড়া ওই ব্যাপারে আজও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগও করেনি।