ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গল গাঁজা ও নগদ অর্থসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রে/ফ/তা/র বাম জোটের সমাবেশ ও মিছিল ২ পুলিশ সদস্য বাধ্যতামূলক অবসরে মৌলভীবাজার সিলেট বিভাগসহ সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার সিলেটেগ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশনে সংবর্ধনা জাতিকে এগিয়ে নিতে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ডিআইজি প্রিজন্স মো: ছগির মিয়ার সাংবাদিক তুহিন হ/ত্যা/র প্রতিবাদে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের মানববন্ধন কুলাউড়ায় চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার,আটক -১ বাংলাদেশীদের ভিসা নিয়ে ভারতের নতুন ঘোষণা : আনন্দে ব্যবসায়ীরা কুলাউড়ার মেয়ে নীলিমা ফুল স্কলারশিপ অর্জন।পিএইচডি করতে যাচ্ছেন আমেরিকায়! তারেক রহমানের কাছে সন্ত্রাসবাদ-চাঁদাবাজের ঠাই নেই ঝুলন যাত্রা পূজা মন্ডপে- বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো

আপডেট সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ কোন দিন ভাবছিলাম না, আমার নিজের একটা ঘর হইবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল। মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ঘরের জমিসহ দলিল হাতে পেয়ে এ কথা বলেন স্বামী পরিত্যক্তা রোকেয়া খাতুন (৫০)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়,ছোট বেলায় কাগমারি গ্রামের পাশের পাড়ার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকেয়া বেগমের। বিয়ের পর, পরের জায়গায় ঘর করে থাকতাম। কোন জায়গায় জমি ছিল না স্বামীরও। পেশায় তিনি ছিলেন দিন মুজুর। পরের জমিতে কাজ করে চলে জীবিকা। সংসার জীবনে দুইটি কণ্যা সন্তানের জননী সে। পরে ফজলুর রহমান তাকে ফেলে রেখে চলে যান। ওই সময় কঠিন দিন আসে রোকেয়ার জীবনে।

আবারও দুই কণ্যা সন্তান কে নিয়ে ফিরে আসেন বাপের ভিটায়। সে থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই ওই দুই মেয়েকে নিয়ে।

রোকেয়া বেগম বলেন,এর আগে কাগমারি গ্রামের অনেকে এ ঘর পেযেছেন। আমারো স্বপ্ন ছিল। আমি যদি একটা ঘর পেতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরন হল প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর পেয়ে। আমার দীর্ঘ দিনের আশা আজ পুরন হয়েছে। এ উপহার পেয়ে আমি আজ খুব খুশি হয়েছি।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় মুজিব শতবর্ষের উপহারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর পেয়েছিলেন ৮২ টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে এ ঘর পাচ্ছেন ৯৭ টি পরিবার।
যার মধ্যে মঙ্গলবার ১৪ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমি সহ ঘরের দলিল বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে রোকেয়া বেগমে স্বপ্নের ঘরটিও। যা পেয়ে খুশি আজ রোকেয়া।