ঢাকা ১০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে প্রবাসীদের অর্থায়নে গেইট স্থাপন চাঁদা নিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আটক ৫ শেখ মোঃ আতিকুর রহমানকে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন

ক্রেতা থেকে পরকীয়ার এরপর ৪০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৪০০ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ক্রেতা থেকে পরকীয়ার শুরু। এরপর ৪০ লাখ টাকা কাবিনে হয়েছে বিয়ে। এ

 

ঘটনাটিই বুধবার রাত থেকে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে)। তবে পরিকল্পিত ভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোটচাঁদপুরের ঢাকা ইলেকট্রনিক্স শো- রুমের মালিক আলমগীর হোসেন।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ব্রীজঘাট মোড়ে ঢাকা ইলেকট্রনিক্সের শো-রুম। যার মালিক দুই সন্তানের জনক  আলমগীর হোসেন। ওই শো-রুমে ইলেকট্রনিকক্সের পণ্য কিনতে আসতেন বিদেশ প্রবাসির স্ত্রী মোছাঃ আদুরি খাতুন (জাকিয়া)। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুরের শালকোপা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। সে থেকে চেনা জানা তাদের। সম্পর্ক শুরু তাদের  মধ্যে। চলত মোবাইলে কথা বার্তা।

সম্প্রতি আদুরি খাতুন জানতে পারেন স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরছেন। সে থেকে বিয়ের জন্য চাপ শুরু হয় আলমগীরের উপর। তবে বিয়েতে মত ছিল না আলমগীরের। বিষয়টি বেশ কিছু দিন ধরে উভয়ের মধ্যে মতনৈক্যের সৃষ্টি হয়।
এরপর বিষয়টি মিমাংশার জন্য গেল মঙ্গলবার কালিগঞ্জের আলমগীরের বাড়িতে কথা বলার জন্য বসেন তারা ।

 

ওইদিনই ৪০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় তাদের। তবে বিয়েটা পরিকল্পিত ভাবে জোর পূর্বক করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলমগীর হোসেন। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়। ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক)। যা বুধবার সারাদিন ছিল টক অফ দি কোটচাঁদপুর।

 

ঢাকা ইলেকট্রনিকক্সের মালিক আলমগীর হোসেন কালিগঞ্জ ঘিঘাটি গ্রামের সবদুল হোসেনের ছেলে। তিনি ২০০৬ সালের দিকে কোটচাঁদপুর শহরে আসেন রেডিও,টিভির ম্যাকানিক হিসেবে। একটা ঘর ভাড়া নেন মৃত মহিদুল ইসলামে কাছ থেকে। যিনি বর্তমানে তাঁর শ্বশুর। এভাবে কয়েক বছর যাবার পর শুরু করেন টিভি,ফ্রিজের ব্যবসা। বাড়তে থাকে তাঁর দোকান। কিছুদিন পর বিয়ে করেন মইদুল ইসলামের মেয়ে ফরিদা খাতুনকে। ওই সংসারে রয়েছে তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। বর্তমানে তিনি কোটচাঁদপুর হাসপাতাল পাড়ার তাঁর নিজস্ব বাড়িতে থাকেন।

 

আলমগীর হোসেনের শ্যালক মনির হোসেন বলেন,১৫/১৮ বছর হল আমার বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তারা দুই সন্তানের জনক-জননী। এরপরও সে যে কাজ করেছেন,তা মানুষে করেন না।

 

তিনি বলেন,আলমগীর ৫ থেকে ৬ টি কোম্পানির ডিলারশীপ নিয়ে ব্যবসা করেন। তাঁর চরিত্র হবে পরিস্কার। আজ সে যে কাজ করেছেন, মানুষের কাছে মুখ দেখানো দায়। বিষয়টি নিয়ে আপনার  বোন মন খারাপ করছে কিনা,আর ওই ঘটনায় আপনারা কোন ব্যবস্থা নিবেন কি,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,সব কিছুর ভাগ মানুষ দেন,স্বামীর ভাগ কেউ দিতে চান না। আর ব্যবস্থা যা নেবার আমার আত্মীয় স্বজনরা নিবেন।

 

আলমগীর হোসেন বলেন,ওই নারী আমার শো- রুমের ক্রেতা ছিলেন। শো- রুম থেকে বেশ কিছু পণ্যও কিনেছেন। সে থেকে ওনার সঙ্গে পরিচয় হয়। সে থেকে সম্পর্ক শুরু। প্রায় দুই বছর ধরে ওনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক চলছিল। বেশ কিছু দিন ধরে সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকেন। আমি বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না ।

 

এ কারনে সে কৌশলে আমার কালিগঞ্জের বাসায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ডাকেন।

 

তিনি বলেন, আমি বাসায় যাবার কিছুক্ষন পর তাঁর সাজানো মানুষেরা আমাকে ঘিরে ধরেন। এরপর জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে সহি করিয়ে নেন। এ ছাড়া জোর পূর্বক মোবাইলে থেকে দুই লাখ ও নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান। তবে তাদের কাউকে আমি ওই সময় চিনতে পারিনি। তারা তাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর ঢাকা ইলেকট্রনিকক্সের মালিক আলমগীর হোসেন।

 

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,ঘটনাটি কোটচাঁদপুরে ঘটেনি। তবে ওনি আমার কাছে পরামর্শের জন্য থানায় এসেছিল। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রেতা থেকে পরকীয়ার এরপর ৪০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ ক্রেতা থেকে পরকীয়ার শুরু। এরপর ৪০ লাখ টাকা কাবিনে হয়েছে বিয়ে। এ

 

ঘটনাটিই বুধবার রাত থেকে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে)। তবে পরিকল্পিত ভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোটচাঁদপুরের ঢাকা ইলেকট্রনিক্স শো- রুমের মালিক আলমগীর হোসেন।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ব্রীজঘাট মোড়ে ঢাকা ইলেকট্রনিক্সের শো-রুম। যার মালিক দুই সন্তানের জনক  আলমগীর হোসেন। ওই শো-রুমে ইলেকট্রনিকক্সের পণ্য কিনতে আসতেন বিদেশ প্রবাসির স্ত্রী মোছাঃ আদুরি খাতুন (জাকিয়া)। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুরের শালকোপা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। সে থেকে চেনা জানা তাদের। সম্পর্ক শুরু তাদের  মধ্যে। চলত মোবাইলে কথা বার্তা।

সম্প্রতি আদুরি খাতুন জানতে পারেন স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরছেন। সে থেকে বিয়ের জন্য চাপ শুরু হয় আলমগীরের উপর। তবে বিয়েতে মত ছিল না আলমগীরের। বিষয়টি বেশ কিছু দিন ধরে উভয়ের মধ্যে মতনৈক্যের সৃষ্টি হয়।
এরপর বিষয়টি মিমাংশার জন্য গেল মঙ্গলবার কালিগঞ্জের আলমগীরের বাড়িতে কথা বলার জন্য বসেন তারা ।

 

ওইদিনই ৪০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় তাদের। তবে বিয়েটা পরিকল্পিত ভাবে জোর পূর্বক করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলমগীর হোসেন। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়। ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক)। যা বুধবার সারাদিন ছিল টক অফ দি কোটচাঁদপুর।

 

ঢাকা ইলেকট্রনিকক্সের মালিক আলমগীর হোসেন কালিগঞ্জ ঘিঘাটি গ্রামের সবদুল হোসেনের ছেলে। তিনি ২০০৬ সালের দিকে কোটচাঁদপুর শহরে আসেন রেডিও,টিভির ম্যাকানিক হিসেবে। একটা ঘর ভাড়া নেন মৃত মহিদুল ইসলামে কাছ থেকে। যিনি বর্তমানে তাঁর শ্বশুর। এভাবে কয়েক বছর যাবার পর শুরু করেন টিভি,ফ্রিজের ব্যবসা। বাড়তে থাকে তাঁর দোকান। কিছুদিন পর বিয়ে করেন মইদুল ইসলামের মেয়ে ফরিদা খাতুনকে। ওই সংসারে রয়েছে তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। বর্তমানে তিনি কোটচাঁদপুর হাসপাতাল পাড়ার তাঁর নিজস্ব বাড়িতে থাকেন।

 

আলমগীর হোসেনের শ্যালক মনির হোসেন বলেন,১৫/১৮ বছর হল আমার বোনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তারা দুই সন্তানের জনক-জননী। এরপরও সে যে কাজ করেছেন,তা মানুষে করেন না।

 

তিনি বলেন,আলমগীর ৫ থেকে ৬ টি কোম্পানির ডিলারশীপ নিয়ে ব্যবসা করেন। তাঁর চরিত্র হবে পরিস্কার। আজ সে যে কাজ করেছেন, মানুষের কাছে মুখ দেখানো দায়। বিষয়টি নিয়ে আপনার  বোন মন খারাপ করছে কিনা,আর ওই ঘটনায় আপনারা কোন ব্যবস্থা নিবেন কি,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,সব কিছুর ভাগ মানুষ দেন,স্বামীর ভাগ কেউ দিতে চান না। আর ব্যবস্থা যা নেবার আমার আত্মীয় স্বজনরা নিবেন।

 

আলমগীর হোসেন বলেন,ওই নারী আমার শো- রুমের ক্রেতা ছিলেন। শো- রুম থেকে বেশ কিছু পণ্যও কিনেছেন। সে থেকে ওনার সঙ্গে পরিচয় হয়। সে থেকে সম্পর্ক শুরু। প্রায় দুই বছর ধরে ওনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক চলছিল। বেশ কিছু দিন ধরে সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকেন। আমি বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না ।

 

এ কারনে সে কৌশলে আমার কালিগঞ্জের বাসায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ডাকেন।

 

তিনি বলেন, আমি বাসায় যাবার কিছুক্ষন পর তাঁর সাজানো মানুষেরা আমাকে ঘিরে ধরেন। এরপর জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে সহি করিয়ে নেন। এ ছাড়া জোর পূর্বক মোবাইলে থেকে দুই লাখ ও নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান। তবে তাদের কাউকে আমি ওই সময় চিনতে পারিনি। তারা তাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর ঢাকা ইলেকট্রনিকক্সের মালিক আলমগীর হোসেন।

 

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,ঘটনাটি কোটচাঁদপুরে ঘটেনি। তবে ওনি আমার কাছে পরামর্শের জন্য থানায় এসেছিল। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি।