খালেদা জিয়াকে একটি পার্শ্ববর্তী দেশ বিষক্রিয়া দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল’এম নাসের রহমান

- আপডেট সময় ০৯:৩২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এই পার্শ্ববর্তী দেশ বিষক্রিয়া দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এটা কিন্তু সত্য ঘটনা। এটা আরেকটা পরাশক্তি ধরে ফেলছিল । ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর কারারক্ষী হিসেবে ওই জেলখানায় ঢুকেছিল একবছর যাবত। সেনাবাহিনীর মেজর র্যান্কের। তার কাজ ছিল-ইযরাইল যেভাবে ইয়াসির আরাফাতকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলছিল, ওই সেইম বিষ দিয়ে এপ্লাই করার। তা ধরা পড়ে যায় এক মাস যাওয়ার পর পরেই। কিন্তু ওই বিষক্রিয়ায় কিছু প্রক্রিয়া হয়ে যাওয়াতে বেগম জিয়ার লিভারে অ্যাফেক্ট হয়ে যায়। এই হাসিনা ডাইনি বলেছিল,যারা মদ খায় তাদের লিভারসিরোসিস হয়। অথচ এই হাসিনা বিষ খাইয়ে ছিল বলেই ম্যাডামের লিভার সিরোসিস হয়েছে।
নাসের বলেন-আমি জানিনা আল্লাহ তায়াল্ াকোন আটটা দোজখ টিক রাখছেন হাসিনার জন্য। হয়তো হাসিনার জন্য নবম দোজখ ঠিক করবেন। এই বিষক্রিয়ার জন্য বেগম জিয়া শারীরিকভাবে দুর্বল হয়েছেন। নইলে তিনি এতটা দুর্বল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল না। এখন লন্ডনে ভাল চিকিৎসা নেয়ার পর তিনি অনেকটা ভাল এবং সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন-অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর দেশটা এ পর্যায়ে এসেছে। আগামী নির্বাচনে তারেক রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নয়া রাজনৈতিক দিগন্তের দিকে অগ্রসর হবে। তবে এ কথা ভুলে গেলে হবে না,যার সেক্রিফাইসের জন্য আমরা এ দেশটায় নতুন স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি,তিনি হলেন- দেশনেত্রী মাদার অব ডেমেক্রেসী বেগম খালেদা জিয়া। জীবনে সব চেয়ে বড় সেক্রিফাইজ তিনি করেছেন। আমরা কথায় কথায় সবাই ত্যাগী ত্যাগী নেতা বলে থাকি অথচ ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে তিনি যে ত্যাগ শিকার করেছেন তা ভুলারমতো নয়।
প্রবাসী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নাসের রহমান বলেন-গত সাড়ে পনের বছর হিটলারের পর বোধয় সবচেয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের অধীনে আমরা ছিলাম। এ রেজিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সবচেয়ে বেশী জুলুম নির্যাতনের শিকার বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী হয়েছেন।
সবচেয়ে বেশী জেলে গেছেন বিএনপি নেতাকর্মী। সবচেয়ে বেশী মামলা খেয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মী। সব চেয়ে বেশী গুমের শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মী। খুনের শিকার হয়েছে বিএনপি।
নাসের রহমান প্রশ্ন রেখে বলেন-আর মাত্র তিন সপ্তাহের একটা আন্দোলন করে বাচ্চারা কি হাসিনাকে সরিয়ে দিয়েছে ? এটা কি হয় ? কোনও ইতিহাসে ঘেঁটে পাবেন না। এর প্রেক্ষাপট টা সৃষ্টি করছে কে? বিএনপি। তিনি বলেন-একটা বিষয়ে সারা দেশের মানুষ একাট্টা ছিল,সেটাছিল হাসিনার পতন। তখন সময় ছাত্রদের এ আন্দোলন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন- এ আন্দোলনে বিএনপি সম্পৃক্ত নয়,মহাসচিবের একথাটা বলা ছিল- নিছক কৌশল মাত্র। এই যে,চৌদ্দশ মানুষ আন্দালনে মারা গেছেন,এর মধ্যে বিএনপিরই ৪২৫ জন মারা গেছে। যাদের বেশীর ভাগই ছাত্রদল ও যুবদলের মারা গেছে। আর পাঁচটা ছেলে সামনে এসে আন্দোলন করে হাসিনাকে সরিয়ে দিয়েছে,একথাটা কি আমরা বিশ্বাস করতে হবে? এই হাসিনা কে সরানোতে সাড়ে পনের বছর বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে বহু ত্যাগ তিতিক্ষা জীবন দিতে হয়েছে।
নাসের রহমান বলেন-আমরা ২০২৩ সালের জুলাই মাসে বিএনপি ঢাকায় শতবাধা বিপত্তি পেরিয়ে প্রায় সাত লাখ মানুষ নিয়ে বিশাল জনসভা করেছি। এর পরেরদিনই ঢাকা অবরোধের ডাক দিয়েছিল। সেদিনের অবরোধে আমরা নেতাকর্মী নিয়ে গদা হাতে নিয়ে রাজপথে ছিলাম। পুলিশ আমাদের গলির ভিতর দৌঁড়ানি দিয়েছে,এ ৬২ বছর বয়সে আমরাও পুলিশকে গদা নিয়া দৌঁড়ানি দিয়েছি। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াকু সৈন্য হয়ে আমরা মাঠে ময়দানে দাঁড়িয়েছি, এখন কিছু ভূয়া লোকেরা নিজেদের লড়াকু সৈন্য বানাচ্ছে। নাসের বলেন-এই বিএনপি সাড়ে পনেরবছর আন্দোলন সংগ্রামের প্রেক্ষাপট তৈরীর কারণেই তিন সপ্তাহের ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে হাসিনা বিদায় নিয়েছে।
পাঁচই আগস্ট ভারত থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি
নাসের রহমান আরও বলেন-‘আমরা একটা নতুন বাংলাদেশে আসছি। নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। একাত্তর সালে সোজা বাংলায় বলি,আমরা পাকিস্থান থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি। আর ২০২৪ সালে পাঁচই আগস্ট সোজা বাংলায় কোনও সন্দেহ ছাড়া ভারত থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি। এটা নিয়ে যদি কেউ তর্ক করে সে মূর্খের বাচ্চা। সোজা কথা ভারত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। অনেকেই বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা,আমিও সেটা মনে করি,ভারত থেকে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
তিনি বলেন- আজকে ১১ মাস আমরা পার হয়েছি। কিছু টানাপোড়েন গেছে। শেষ পর্যন্ত আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝা মাঝি ৮ থেকে ১২ তারিখের ভেতরে যদি সবঠিকঠাক থাকে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই নির্বাচনটা হবে ব্যাতিক্রমী নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তো নাই। আমরা সিলেটী ভাষায় বলি তারা গেছে,গাতর তলে। আওয়ামীলীগ এখন গাতর তলে। নাসের বলেন-আওয়ামীলীগের দুইটি বৈশিষ্ট্য আছে,এর একটা হল-তাদের হায়া লাজ শরম নাই,আর আরেকটা হল-তাদের অনুশোচনা নাই। হায়া শরম যদি না থাকে তাহলে অনুশোচনা এখানে বিষয় নয়। এ দুইটাই আওয়ামীলীগের চরিত্রে নাই। আর যখন এ দুইটাই নাই- এদেরকে মানুষ হিসেবে কনসিডার করা যায় কিনা এটা ভাবার বিষয়। এ রেজিম শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশুসহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নাসের রহমান বলেন-‘ এখন একটা ইসলামী দল-তারা খুব সোচ্চার। এ দলের নেতা আজ সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা পরেরদিন আরেক কথা,তাদের বুঝা মুশকিল। ভাবখানা এমন ক্ষমতাটা যেন তাদের কাছে চলে গেছে। কারণ সে দলের অ্যাসসিস্টেন্ট জেনারেল বলে তারা ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে। সবচেয়ে বেশি নাকি তারা নির্যাতিত হয়েছে। তাদের সেক্রেটারী জেনারেল বলে তার দল ক্ষমতা গ্রহণে প্রস্তুত। তাহলে বিএনপি কি সাড়ে পনের বছর ঘাস কেটেছে? বিএনপির ঘাঢ়ের ওপরে বসে এম পি পেয়ে মন্ত্রীত্ব পেয়ে এখন বলে-তারা না কি ক্ষমতা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
আরেকটা দল আছে,বরিশাল থেকে আসছে,চরমোনাই পীর,তাঁকে চাবি মেরেছে পিছন থেকে। তার কাজ হল বিএনপি কে গালি দেয়া। একসময় শেখ হাসিনার দালাল ছিল। এখন বিএনপিকে গালায়। তার পাকাধানে কি বিএনপি মই দিয়েছে? ঐ একটা দল চাচ্ছে -সব ইসলামীদলকে একাট্টা করে বিএনপির বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর। অথচ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে এরা সবাই বিএনপির সঙ্গে ছিল। তখন বিএনপিকে কেউ গালি দেয়নি।
পি আর সিস্টেম নিয়ে নাসের রহমান বলেন-‘সব কিছু ঠিকঠাক, ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এখন নতুন করে তারা দাবী তুলছে,পি আর সিস্টেম। এ ই পিআর সিস্টেম পৃথিবীতে দুইটা দেশে হয়। একটা হল -জার্মানি আরেকটা হল ইযরাইল। কোন সংখ্যাগরিষ্ট দল নাই। ইযরাইলের নেতানিয়াহু ১২০ সিটের মধ্যে মাত্র ৩২ সিট নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী। কট্টরপন্থীদের নিয়ে মিলে ক্ষমতায় থাকার জন্য জগাখিচুরী সরকার প্রতিষ্ঠিত। আর জার্মানিতে ইলেকশন হওয়ার পর একটা গর্ভমেন্ট ফর্ম হতে মিনিমাম সময় লাগে দুই মাস। দরকষা কষি চলতে থাকে। ১১ দল বলে ১৫ আনা দেয়া লাগবে। এটা কেউ সহ্য করবে ? পি আর সিস্টেমে রুল অব দ্য মেজরটি,যারা মেজরটিকে ভোট দিয়েছে,তার কোন গুরুত্ব নাই,তখন জনভিত্তিহীন দল তখন সে দলও ভাগ বসাবে।
নাসের রহমান নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে বলেন-‘২০২৩ সালে আওয়ামীলীগের নেতারা মিলে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আয়োজনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে একটি মানবন্ধনকে বানচাল করার জন্য আওয়ামী ছাত্র লীগের গোন্ডারা ইট পাথর ছুঁড়ে মেরেছিল। সেদিন আমার চোখের নীচে পাথরের চোট লেগে রক্তাক্ত জখম করে।
লন্ডনে বসবাসরত মৌলভীবাজার জেলার সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মীদের বলেন-২০১১ সালে এরকম একটি মতবিনিময় সভা হয়েছিল। আজ চৌদ্দবছর পরে আবার সুন্দর ভাবে যুক্তরাজ্য বসবাসরত মৌলভীবাজার জেলার সর্বস্তরের বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছি। এতে আমার ও আমার পরিবারের সকলের খুবই ভাল লাগছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে লন্ডনে হোয়াইট চ্যাপল মাইদা গ্রীল হল রুমে যুক্তরাজ্যস্থ মৌলভীবাজার জেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী ও সফিকুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন- মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক জসিম উদ্দিন চৌধুরী জেরিস।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কদ্দুস চৌধুরী শায়েস্তা,বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রাজনগর উপজেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি নুরুল ইসলাম শেলুন,যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি শাহ সাইফুল আখতার লিখন।
এতে বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন,জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আলহাজ অদুদ আলম, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সভাপতি নাসিম আহমেদ,কেন্ট বিএনপির সভাপতি রুহুল ইসলাম রুলু,মৌলভীবাজার সদর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আখতার সেকুল,যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আহাদ।
উপস্থিত ছিলেন- কার্ডিফ বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তফা সালেহ লিটন,সোয়ানসি বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলান আহমদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মামুন,কানাডা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহিন আহমদ,যুক্তরাজ্য কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুর বক্স আহমদ, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি আফজল হোসাইন,জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যর সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আহমদ,ওল্ডহাম স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ মো.রায়হান, যুক্তরাজ্য যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলাদ হোসেন রুবেল, যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী ফোরাম শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি মো.মহসিন আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম সামাদ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী তৈমুর,যুব ফোরামের সভাপতি রাজুর আহমদ,সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কাঞ্চন সাগর,জাতীয়তাবাদী ফোরামের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রুমেল আহমদ,ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাহাত আহমদ প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় আরও ছিলেন এম নাসের রহমানের স্ত্রী রোজিনা নাসের ও তাঁর দুই কন্যা ,এক মাত্র পুত্র ও পুত্রবধু।
মতবিনিময় সভায় প্রবাসীনেতাদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া তুলে ধরেন-এর মধ্যে ছিল শমসেরনগর এয়ারপোর্ট চালুকরণ,ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে স্পেশাল ট্রেণ চালু ,বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ স্থাপন।
এদিকে এম নাসের রহমান যুক্তরাজ্য অবস্থানকালীন প্রবাসীদের নিয়ে ম্যানচেষ্টার,ওল্ডহাম,বার্মিং হাম,পোষ্টমাউথ ও কেন্টে মৌলভীবাজারের প্রবাসীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় যোগ দানের কথা রয়েছে।
