ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি কোটচাঁদপুরে ঋণ প্রদান কারি প্রতিষ্ঠানের কারসাজি বেকায়দায় স্কুল শিক্ষক খাইরুল ইসলাম  রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আসনে জামায়াতের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা মনিপুরী মহা রাসলীলা উৎসবে শুভেচ্ছা আর ভালবাসায় সিক্ত হন মহসিন মিয়া মধু আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাবো,আপনাদের ছেড়ে যাবো না সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু মৌলভীবাজারে স্কুল ছাত্রীর মৃ ত দে হ উ দ্ধা র মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব তানিম মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো ছাত্রদল মৌলভীবাজারে ই য়া বা সহ এক ব্যক্তি গ্রে ফ তা র টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট পরির্দশনে রন্ধন শিল্পী টনি খান

খুলনায় সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্য নিহত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।

 

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়

 

রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) অবস্থায় সাতজনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু ঘটে। এরপর তারা মিছিল সহকারে মজিদ সরণি হয়ে সোনাডাঙ্গা থানার দিকে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ সদস্যরা থানার ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে হরিণটানা থানায়ও ইটপাটকেল ও খালি বোতল নিক্ষেপ করে। এ সময় থানার প্রধান ফটক বন্ধ ছিল।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

খুলনায় সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেট সময় ০৯:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

খুলনায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সুমন নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।

 

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনার জিরো পয়েন্ট, গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়

 

রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, সংঘর্ষে আমাদের ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল মো. সুমন নিহত হয়েছেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অথচ আমার এক ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও শটগানের ছররা) অবস্থায় সাতজনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু ঘটে। এরপর তারা মিছিল সহকারে মজিদ সরণি হয়ে সোনাডাঙ্গা থানার দিকে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সোনাডাঙ্গা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ সদস্যরা থানার ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে হরিণটানা থানায়ও ইটপাটকেল ও খালি বোতল নিক্ষেপ করে। এ সময় থানার প্রধান ফটক বন্ধ ছিল।