ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গল ২৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএস মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ  আসামিকে জামিনের প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রে/ফ/তা/র ইউএনডিপির স্টোরি টেলিং অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মৌলভীবাজারের সিপন দেব গ্রীন মৌলভীবাজার গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি ATN বাংলা ইউকে প্রতিদিন হলেন মৌলভীবাজার শাওন মৌলভীবাজার সড়ক দু/র্ঘ/ট/না/য় পৌরসভার কর্মচারী নি/হ/ত ৪৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করেছে জুড়ীর ছেলে কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের নতুন নেতৃত্বে পারভেজ ও সুমন ৩৬ দিন ব্যাপি নানা কর্মসূচী মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লবের স্থির চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

গৃহবধূর লা-শ উ-দ্ধা-র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬২৪ বার পড়া হয়েছে

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আফনান বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা (ব্রাক্ষ্মণপাড়া) গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মেয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

তবে আফনানের বাবার অভিযোগ, প্রবাসী স্বামীর নির্দেশে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে আফনানকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে তা প্রচার করছে। অন্যদিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, আফনান আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ বলছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার করে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

নিহত আফনান উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা (ব্রাক্ষ্মণপাড়া) গ্রামের দুবাই প্রবাসী সাহিদ আহমদের স্ত্রী এবং বিওসি কেছরিগুল (ডিমাই) গ্রামের শুক্কুর আলমের মেয়ে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রেম করে পরিবারের অমতে উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা (ব্রাক্ষ্মণপাড়া) গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে সাহিদ আহমদকে বিয়ে করেন বিওসি কেছরিগুল (ডিমাই) গ্রামের শুক্কুর আলমের মেয়ে আফনান বেগম। বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামী দুবাই চলে যান। এরপর মুঠোফোনে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো আফনানের। বৃহস্পতিবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এর জের ধরে ওইদিন বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আফনান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত আফনানের বাবা শুক্কুর আলম শুক্রবার বিকেলে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। স্বামীর নির্দেশে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতর করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি আমার মেয়ের দাফনকাজে ব্যস্ত। পরে আমি থানায় মামলা করব।

বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস বলেন, বিয়ের পর আফনানের স্বামী বিদেশে চলে যান। এরপর ফোনে তাদের ঝগড়া হতো। এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। সুরতহালের সময় গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখা গেছে। যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মেয়ের বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গৃহবধূর লা-শ উ-দ্ধা-র

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আফনান বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা (ব্রাক্ষ্মণপাড়া) গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মেয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

তবে আফনানের বাবার অভিযোগ, প্রবাসী স্বামীর নির্দেশে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে আফনানকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে তা প্রচার করছে। অন্যদিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, আফনান আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ বলছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার করে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

নিহত আফনান উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা (ব্রাক্ষ্মণপাড়া) গ্রামের দুবাই প্রবাসী সাহিদ আহমদের স্ত্রী এবং বিওসি কেছরিগুল (ডিমাই) গ্রামের শুক্কুর আলমের মেয়ে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রেম করে পরিবারের অমতে উপজেলার দক্ষিণ গ্রামতলা (ব্রাক্ষ্মণপাড়া) গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে সাহিদ আহমদকে বিয়ে করেন বিওসি কেছরিগুল (ডিমাই) গ্রামের শুক্কুর আলমের মেয়ে আফনান বেগম। বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামী দুবাই চলে যান। এরপর মুঠোফোনে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো আফনানের। বৃহস্পতিবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এর জের ধরে ওইদিন বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আফনান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত আফনানের বাবা শুক্কুর আলম শুক্রবার বিকেলে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। স্বামীর নির্দেশে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতর করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি আমার মেয়ের দাফনকাজে ব্যস্ত। পরে আমি থানায় মামলা করব।

বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস বলেন, বিয়ের পর আফনানের স্বামী বিদেশে চলে যান। এরপর ফোনে তাদের ঝগড়া হতো। এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। সুরতহালের সময় গলায় ফাঁসের চিহ্ন দেখা গেছে। যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মেয়ের বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।