ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নারী আইনজীবী আটক  রাজনগর উপজেলা বিএনপির নির্বাচন সম্পন্ন সভাপতি সেলুন সাধারণ সম্পাদক আব্বাস বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস আর প্লাজার মালিক আব্দুর রকিব আর নেই হযরত শাহ্ আজম রহ. দরগাহ্ শরীফের পীর ছাহেবের ৪তম মৃ ত্যু বার্ষিকী বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত রাজনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিদর্শনে এম নাসের রহমান নবগঠিত রেড ক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের পরিচিতি সভা সাবেক জেলা আমিরেে কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন আমীরে জামায়াত কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির পথচলা

গোপনে ছবি তুলে সাংবাদিককে হয়রানির চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯৬৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:: সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি হোসাইন আহমদের সাথে দেখা করে গোপনে দৃশ্যধরাণ করে হয়রানির চেষ্টা চালানো হয়েছে।

বুধবার ১৭ আগস্ট দুপুরের মৌলভীবাজারের মামার বাড়ি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাংবাদিক হোসাইন আহমদ মৌলভীবাজার মডেল থানায় জিডি করেছেন। জিডি সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের মনু নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একাধিক চক্র। ১৭ আগস্ট দুপুরে রাজনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাম্মু দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি হোসাইন আহমদের সাথে দেখা করার জন্য কল করেন। যুগান্তরের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ স্থানীয় মামার বাড়ি রেস্টুরেন্টে দেখা করার জন্য বলেন।

আব্দুল্লাহ আল সাম্মু তার সাথে করে মনু নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রিমি নির্মান সংস্থা (জেভি) এর ঠিকাদার লিমনকে সাথে নিয়ে আসেন। রেস্টুরেন্টের কেবিনে বসা অবস্থায় হোসাইন আহমদ লক্ষ করেন বাহির থেকে একজন মুঠোফোন দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারন করছে। তারপর তাকে ডেকে মোবাইল চেক করে দেখা যায়, গোপনে সে মোবাইল দিয়ে ছবি ধারণ করেছে।

পরে মোবাইলটি উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মডেল থানা সাধারণ ডায়রি দায়ের করেন যুগান্তরের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ ও বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে মোবাইল সেটটি রাখা হয়েছে।

প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ জানান, হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজারের মনু নদীর ভাঙন হতে কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলা রক্ষা প্রকল্পের অনিয়ন ও দুর্নীতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের আমি দুইটি প্রতিবেদন করি। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমার সাথে দেখা করে সেই ছবি তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য ব্যবহার করবে বলে আমি আশঙ্কা করি। বর্তমানে আমি থানায় জিডি করেছি ও বেআইনি কাজে ব্যবহুত মোবাইল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, সাংবাদিক হোসাইন আহমদ থানায় জিডি করেছেন। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোপনে ছবি তুলে সাংবাদিককে হয়রানির চেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:: সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি হোসাইন আহমদের সাথে দেখা করে গোপনে দৃশ্যধরাণ করে হয়রানির চেষ্টা চালানো হয়েছে।

বুধবার ১৭ আগস্ট দুপুরের মৌলভীবাজারের মামার বাড়ি রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাংবাদিক হোসাইন আহমদ মৌলভীবাজার মডেল থানায় জিডি করেছেন। জিডি সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের মনু নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একাধিক চক্র। ১৭ আগস্ট দুপুরে রাজনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাম্মু দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি হোসাইন আহমদের সাথে দেখা করার জন্য কল করেন। যুগান্তরের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ স্থানীয় মামার বাড়ি রেস্টুরেন্টে দেখা করার জন্য বলেন।

আব্দুল্লাহ আল সাম্মু তার সাথে করে মনু নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রিমি নির্মান সংস্থা (জেভি) এর ঠিকাদার লিমনকে সাথে নিয়ে আসেন। রেস্টুরেন্টের কেবিনে বসা অবস্থায় হোসাইন আহমদ লক্ষ করেন বাহির থেকে একজন মুঠোফোন দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারন করছে। তারপর তাকে ডেকে মোবাইল চেক করে দেখা যায়, গোপনে সে মোবাইল দিয়ে ছবি ধারণ করেছে।

পরে মোবাইলটি উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মডেল থানা সাধারণ ডায়রি দায়ের করেন যুগান্তরের প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ ও বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে মোবাইল সেটটি রাখা হয়েছে।

প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ জানান, হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজারের মনু নদীর ভাঙন হতে কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলা রক্ষা প্রকল্পের অনিয়ন ও দুর্নীতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের আমি দুইটি প্রতিবেদন করি। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমার সাথে দেখা করে সেই ছবি তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য ব্যবহার করবে বলে আমি আশঙ্কা করি। বর্তমানে আমি থানায় জিডি করেছি ও বেআইনি কাজে ব্যবহুত মোবাইল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, সাংবাদিক হোসাইন আহমদ থানায় জিডি করেছেন। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।