ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি দাঁড়িপাল্লার পক্ষে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার

সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে সদস্য সচিব রিপন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন- ” ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা থেকে জেলার নেতৃত্ব নির্বাচনে এখন দলের কাউন্সিলরদের রায়ই চূড়ান্ত”।

ফয়জুল করিম ময়ূন আরও বলেন, “আগে বিএনপির কমিটি জেলা থেকে চাপিয়ে দেওয়া হতো। এখন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন দলের কাউন্সিলরা। জুড়ি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল কাউন্সিলরই এখন নেতা নির্বাচনের মূল চাবিকাঠি।

যিনি নেতা হতে আগ্রহী, তাকে এখন নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমর্থন আদায় করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচনের যে পদ্ধতি চালু করেছেন, তা দলের গণতান্ত্রিক চর্চার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এখন আর জেলা থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয় না। নেতারা নিজ নিজ এলাকার পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিচ্ছেন। তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে, এবং অনুপ্রবেশকারীদের (দোসর) যেন কোনোভাবে কমিটিতে কিংবা নতুন সদস্য সংগ্রহে অন্তর্ভূক্তিতে স্থান না পায়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় এম. জেড. কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা ও বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জুড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাকিম হোসেন বাবুল। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মাসুম রেজা।

বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন মিঠু ।

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন জুড়ি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান চুনু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী হেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান আসকর, আব্দুল মোহিত নামর এবং এম. এ. মোহাইমিন শামীম।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন বলেন- ‘দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের উপহার হিসেবে যে উপজেলা জুড়িবাসী পেয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপহার দিচ্ছেন একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উপজেলা কমিটি। আগামী ১২ আগস্ট ব্যালটের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন – “বিএনপি এখন দলীয় অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা করে। কোনো কমিটি আর কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয় না। দলের কাউন্সিলররাই ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করছেন। জুড়ি উপজেলা কমিটিও সেই ধারাবাহিকতায় গঠিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন আওয়ামী লীগের কোনো পদধারী বা তাদের সহযোগী কেউ বিএনপির কমিটিতে স্থান না পায় কিংবা নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। দলের স্বার্থে এবং আদর্শগত শুদ্ধতা বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে সদস্য সচিব রিপন

আপডেট সময় ০৪:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন- ” ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা থেকে জেলার নেতৃত্ব নির্বাচনে এখন দলের কাউন্সিলরদের রায়ই চূড়ান্ত”।

ফয়জুল করিম ময়ূন আরও বলেন, “আগে বিএনপির কমিটি জেলা থেকে চাপিয়ে দেওয়া হতো। এখন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন দলের কাউন্সিলরা। জুড়ি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সকল কাউন্সিলরই এখন নেতা নির্বাচনের মূল চাবিকাঠি।

যিনি নেতা হতে আগ্রহী, তাকে এখন নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমর্থন আদায় করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচনের যে পদ্ধতি চালু করেছেন, তা দলের গণতান্ত্রিক চর্চার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এখন আর জেলা থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয় না। নেতারা নিজ নিজ এলাকার পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিচ্ছেন। তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে, এবং অনুপ্রবেশকারীদের (দোসর) যেন কোনোভাবে কমিটিতে কিংবা নতুন সদস্য সংগ্রহে অন্তর্ভূক্তিতে স্থান না পায়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় এম. জেড. কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা ও বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জুড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাকিম হোসেন বাবুল। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মাসুম রেজা।

বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন মিঠু ।

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন জুড়ি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান চুনু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী হেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান আসকর, আব্দুল মোহিত নামর এবং এম. এ. মোহাইমিন শামীম।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন বলেন- ‘দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের উপহার হিসেবে যে উপজেলা জুড়িবাসী পেয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপহার দিচ্ছেন একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত উপজেলা কমিটি। আগামী ১২ আগস্ট ব্যালটের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন – “বিএনপি এখন দলীয় অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা করে। কোনো কমিটি আর কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয় না। দলের কাউন্সিলররাই ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করছেন। জুড়ি উপজেলা কমিটিও সেই ধারাবাহিকতায় গঠিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন আওয়ামী লীগের কোনো পদধারী বা তাদের সহযোগী কেউ বিএনপির কমিটিতে স্থান না পায় কিংবা নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। দলের স্বার্থে এবং আদর্শগত শুদ্ধতা বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি।